অন্য পুরস্কারগুলোতে এত জয়জয়াকার না হলেও নোবেল শান্তি পুরস্কারে নারীদের জয়জয়াকার অবস্থা। অন্যসব বিভাগের চেয়ে এ বিভাগেই সবচেয়ে বেশি পুরস্কার জিতেছেন নারীরা। ১৯০৫ সালে প্রথম শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন অস্ট্রিয়ার শান্তি আন্দোলন নেত্রী এবং 'লে ডাউন ইওর আর্মস' এর লেখিকা বার্থা ভন স্ট্যানার ।
এরপর তিন বার লম্বা বিরতিতে ১৯৩১ সালে এ পুরস্কারটি পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জেন অ্যাডামস, ১৯৪৬ এ একই দেশের এমিলি গ্রিন বালচ এবং ১৯৭৬ সালে যৌথভাবে পেয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের মেরিড কোরিগ্যান এবং নেদাল্যান্ডের ব্রেটি উইলিয়াম। এরপর এ পুরস্কারটিতে নারীদের তালিকা এসেছে খুব দ্রুত। মাঝে ব্রেক টাইম খুব কম । ১৯৭৯, ১৯৮২, ১৯৯১, ১৯৯২, ১৯৯৭, ২০০৩ এবং ২০০৪ বছরগুলোর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন নারীরাই। আর সর্বশেষ ২০১১ সালেও বিভাগটিতে পুরস্কারের জন্য নাম এসেছে তিন মহিয়সী-র। শান্তিতে প্রত্যক্ষভাবে অবদান রাখার জন্যই তাদেরকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। কেন এ তিন নারী কে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলো জানেন? কারণ তারা, 'নারীর সুরক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণের অধিকার আদায়ের অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় তাঁদেরকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে'৷(কোট বাই নোবেল কমিটির প্রেসিডেন্ট টবইওন ইয়ার্গল্যান্ড)
এ তিন নারীর মধ্যে প্রথম জন হচ্ছে জনসন-সার্লিফ। ৭২ বছর বয়সি এ নারী আফ্রিকার প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট৷ ২০০৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তিনি৷ সেসময় সার্লিফ ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত এবং অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত একটি দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেকটাই বদলে দিতে পেরেছেন তার দেশের পরিস্থিতি। অন্তত নোবেল সংশ্লিষ্ঠরা তেমনটিই মনে করেন।
এ বছরের দ্বিতীয় নোবেল বিজয়ীর নাম হলো লিমা বোউই। তিনি একজন শান্তিকর্মী। লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন তিনি৷ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণের অধিকারের দাবিতেও সংগ্রাম করেন লিমা।
২০১১ সালের শান্তিতে নোবেল জয়ী তৃতীয় নারী হচ্ছেন একজন সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী। নাম তাওয়াকুল কারমান। আরব বিশ্বে নারীদের প্রেক্ষাপট পরিবর্তণে আন্দোলন করেন তিনি। আরব বিশ্বের প্রথম প্রথম নারী হিসেবেও তিনি নোবেল জয় করলেন।
বিজয়ী তিনজন নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করলেন গত পরশু, শনিবার ।
নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে আমার মাথাব্যাথা ছিলোনা কোনকালে, এমনকি আগে কখনো এ নিয়ে ঘাটাঘাটিও করিনি তেমন। তবে আজকে এ বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে ইচ্ছে হলো একটা কারণে। সেটিই এখন বলবো। সামাজিক যোগাযোগের সাইট আর ব্লগসাইটগুলোর কল্যানে হয়ত রুমানা মনজুরের সঙ্গে তার ইরানি বয়ফ্রেন্ডের ছবিগুলো দেখে থাকবেন। ছবিগুলো থেকে একটি ছবি আমি ফেইসবুকে দিয়েছিলাম, ব্যাস! যা হওয়ার তাই হলো। কথিত কিছু নারীবাদী ঝাপিয়ে পড়লো। আমার মেইল বক্স রুমানা ম্যাডামের স্তুতি এবং প্রশংসা সহ প্রতিবাদের ভাষায় ভরে উঠলো। কেউ কেউ তো বিষয়টি এমন ভাবে উপস্থাপন করলো যেন রুমানা ম্যাডাম এখানে ধোয়া তুলসী পাতা আর হাসান সাঈদ একজন নিকৃষ্ট কীট।

বিনীতভাবে সেখান থেকে কিছু মেসেজের রিপ্লাই দিলাম, হাসান সাঈদ একটা খারাপ কাজ করেছে, ঠিক আছে, এজন্য তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। রুমানা ম্যাডাম যত খারাপ কাজই করুক না কেনো এজন্য তাকে অন্তত অন্ধ করে দেয়ার মতো কাজ সাঈদ করতে পারেন না। কিন্তু তিনি নরপশুর মতো এ আচরণটি করেছেন। কিন্তু রোমানা ম্যাডামও যে একেবারে দুধে ধোয়া তুলসী পাতা না তা অন্তত তার ছবিগুলো দেখে বোঝা যায়।
আমার রিপ্লাই পেয়ে মেসেজ দাতারা যেন আরোও বেশি খ্যাপা হয়ে যান। ছবিগুলো আমার অনেক ফেইসবুক বন্ধু ই শেয়ার করেছেন, সেখানকার মন্তব্যগুলো লক্ষ্য করেও যা বুঝলাম, হ্যাঁ, সবদোষ হাসান সাঈদেরই! রুমানা ম্যাডাম এখানে কিছুই জানেন না, উনি একেবারে নিশ্পাপ। বরং তিনি হাসান সাঈদ কে সারাজীবন ধুকে ধুকে মরার চেয়ে দ্রুত সময়ে শান্তিতে মরার একটা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন!
হ্যা, এটি অন্তত কিছুটা গ্রহণযোগ্য মন্তব্য বটে। রুমানা ম্যাডামের সঙ্গে থাকলে হয়ত সাঈদকে সারাজীবন জ্বলে পুড়েই মরতে হত, অত্যাচার সহ্য করতে হত (যে অত্যাচারের অভিযোগ মরার আগে উনি নিজেই করে গেছেন)। আগে ভাগে মরে যাওয়ায় তিনি সে অত্যাচার থেকে বেচে গেলেন। শান্তিতেই চলে যেতে পারলেন!! আর এই শান্তির পিছনে ব্যাপক অবদান রাখলেন শান্তিকামী রুমানা ম্যাডাম! (হাসান সাঈদের মৃত্যু পর্যন্ত)
১৯০৫ সালে এই শান্তিকামী হিসাবেই নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন এ বিভাগের প্রথম নারী বার্থা ভন স্টানার। আর সর্বশেষ নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী তিন মহিয়সীও পুরস্কার পেয়েছেন শান্তিকামনা এবং শান্তি আনার জন্য। তারা হয়ত নির্দিষ্ট জাতী এবং গোষ্ঠীর জন্য শান্তি এনেছেন, তাই তিনজনে মিলে একটা নোবেল পেয়েছেন।
আমাদের রুমানা ম্যাডাম অন্তত একজন মানুষকে চির শান্তি দিয়েছেন! এ কথা আমাদের স্বীকার করতেই হবে। তার ভক্তদের দাবী, তাকে এ শান্তির স্বীকৃতি তাকে দেয়া হোক।

