somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লিমিটস অব টাইম (আর পথ নেই )

০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মধ্যরাত এলিয়ে যায়। শহরের ব্যস্ততা ক্রমে বাড়ে,এক ফালি চাঁদের উপলক্ষ্য মানুষের নিত্যকার অভ্যাস ভুলিয়ে রেখেছে বেশকয়েকদিন ধরেই । সমস্তটাই প্রিয়জনকে ঘিরে-সান্নিধ্যের উপহারে ও উপহারের উপলক্ষ্যে। ছুটছে সবাই, গতিময় আনন্দযাত্রা। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে সকল বিরহ ঠিকানা,ফিরছে যে যার প্রিয়প্রাণে অথবা ফিরে আসছে ভালবাসার তৃষ্ণার্ত বুকে। অথচ আজ আমার কোন গন্তব্য নেই। না ফিরে যাবার না ফিরে আসার । আমি জানে,মায়া বা ভালবাসার বুক নিয়ে আমার জন্য কোন চৌকাঠে দাড়িয়ে থাকবে না কেউ। কারও তীব্র আকাংখিত অপেক্ষার আনন্দ অশ্রু কোন দৃশ্যমান কারণ আমি হব না। চারপাশ হাতরে অবলম্বন অনুভব করার শৈশব অভ্যাস এখন আমার যৌবনকে তাচ্ছিল্য করে,আঠার ইঞ্চি দুরত্বের এই শূন্যতা মাঝে মাঝে ঘুম ভাঙ্গিয়ে অসহায় করে রাখে। একটি অবলম্বন অস্থিত্বের আশায় আমার ভেতর বাহির অনন্তের দৃষ্টি নিয়ে পথ চলে। কোথাও নেই রক্ত সম্পর্কের কোন প্রিয়জন,হৃদয় রেখে আসা কোন নীড়,কোন উষ্ণ শরীর। উৎসবের উপলক্ষ্যে নিজেকে অনাহুত ভাবতে ইচ্ছে করে না। চারপাশের আবহ জানান দেয় আজ চাঁদরাত। আমি খুঁজিনি,তাকায়নি ঐ আকাশের পাখায়। বিছিন্নতাকে আমি স্বীকৃতি দিয়ে ফেলেছে। জড়িয়ে থাকার মোহের মতো কারো আশেপাশে থাকার তীব্র ইচ্ছাকে দলিত মথিত করে যুক্তিকে বারবার জাবর কাটি- উৎসব উদযাপন স্বাতন্ত্র্যেও আমি বহিরাগত।

পানপাত্র শূন্য হয় আবার ভরে উঠে। রাংলাই ওর নিজস্ব রেসিপিতে এই পাহাড়ী মদের নাম দিয়েছে জংগল জুস। ক্রমাগত তৃষ্ণা বাড়তে থাকে। এই তৃষ্ণা অনেকটা ফুয়েলের মত। শরীর যন্ত্রের পিস্টনের ঘাত প্রতিঘাতে প্রচন্ড গতিময়তায় মস্তিস্কের নিউরনগুলো দিগভ্রান্ত ছুটাছুটি শুরু করে। আমার সৃত্মি থুবড়ে পড়ে শৈশবের উৎসব উপলক্ষ্যে, যখন আমি কাংখিত ও আমন্ত্রিত। ক্রমে অতীত স্নাপশটে তলিয়ে যেতে থাকি আমি-এইতো সেদিনও সেমাই চিকন হাসিতে এই ঈদের চাঁদ উঠত স্বাধীনতার পতাকা হয়ে। বাঁকা চাঁদ ফুক করে হাসি দিয়ে বলত-

দেখেছিস খুশির হাসি
ফোকলা দাঁত, দুধদাঁত,পোকা দাঁত- যার যা আছে
যেমন পারিস তেমন হাসি,
তিরিং বিড়িং
মাততে থাক যত্তো খুশি।

আকাশের ওই চাঁদতো মিলিয়ে যেত ক্ষণিকেই। তার খোঁজ আর কে রাখে। আমাদের নিস্পাপ খুশির মিছিলে পাড়ার বয়সীরা এইবার চাঁদের নাচন দেখত। মায়েরা চৌকাঠে এসে দাঁড়াত,তরুনী আর যুবতীরা উঠোনে এসে সেই মিছিল থেকে কারো কারোকে ছো মেরে কোলে তুলে চুমু দিত। চাঁদ উঠছে চাঁদ উঠছে, ঈদ ঈদ,হৈ হৈ,বিচিত্রসব চিৎকার-চেচামেচির মধ্যে কোত্থেকে যেন মক্তবের হুজুর এসে হাজির হতেন। জোব্বার টুকরি থেকে চকলেট বের করে বিলিয়ে দিতে দিতে বলতেন-বেহেশতের বাচ্চারা,বেহেশতের বাচ্চারা। তারপর একটু সন্ধ্যা গড়ালে বড়রা হাত পটকা,চকোলেট পটকা,তারবাত্তি,আটাশ পটকা ও আরও কত নামের পটকা ফুটাতো। পিচ্চিরা তখন তাদের পিছনে ঘুরঘুর করতো,পটকা ফুটলেই হুল্লোড় করে উঠতো। মাঝে মাঝে দু একটি হাত পটকা মুখের হাওয়ায় গরম করে আমরাও ছুড়ে মারত। আধো আলো আধারিতে লুকোচুরি,ছোয়াছুয়ি খেলতে খেলতে মধ্যরাত ছুয়ে আসত। পরম তৃপ্তির ক্লান্ত অনুভুতি নিয়ে ছোটরা যে যার বাসার পথ ধরত। বড়রা সে রাতে চৌধুরী বাগানের ডাব চুরির অভিযানে রওনা হত। ঘরে ঢুকেই আমি উঁকি দিতাম রান্না ঘরে। সেখানে তখন মহাযজ্ঞ। চার পাঁচজন মহিলা আর কিশোরীকে নিয়ে মা আমার মসলা বাটা ও রান্নার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এরমাঝেই মা টুক করে উঠে এসে আমাকে কোলে তুলে নিতেন। আঁচল দিয়ে কপালের ঘাম ও মুখ মুছে দিয়ে বলতেন-সোনাপাখি আমার ঘরে ঘরে ঈদ বিলিয়ে ক্ষুধার কথা ভুলে বসে আছে। খোদেজার মাকে দুধ গরম করতে বলে হাত মুখ ধুইয়ে মা আমাকে নিয়ে ঊঠোনে আসতেন। আকাশের দিকে এদিক ওদিক তাকিয়ে বলতেন,কই চাঁদটা কই? তখন আমিও আকাশ ঘুরে চাঁদ খুঁজতাম। এরপর মা চুমু খেয়ে আমায় আরো জোরে বুকে চেপে নিয়ে বলতেন-এইতো আমার ঈদের চাঁদ,আমার বুকে। খোদেজার মা দুধের গ্লাস আর ছোট্ট প্লেটে ভাত দিয়ে যেত। আমি খেতে চাইতাম না,মা কিভাবে যেন না খাওয়ার মনইচ্ছা ভুলিয়ে ফেলতেন। উঠোনজুড়ে তিনি হাঁটতে হাঁটতে কখন যে দুধভাতের থালা শেষ হতো আমি তা টেরই পেতাম না। খুশির তোর সইতে না পেরে পরদিন ভোরেই যেন সকাল এসে বসে থাকত। ঘরে ঘরে সমস্ত ব্যস্ততাই এসময় আনন্দের অনুষঙ্গ। ঘরময় নতুন সাঁজ-অন্যসময়ের কোন নতুন কখনও এমন নতুন হতে দেখেনি কেউ। বিছানার চাদরের মত সকালের আলো আর হাওয়াও বদলে গিয়ে দোল দেয় নতুন। বিছানা থেকে কোলে তুলে মা আমাকে গোসলঘরে নিয়ে যেতেন। সেখানে আগে থেকেই বালতি ভর্তি ভাপ উঠানো কুসুম গরম পানি,নতুন সাবান,নতুন তোয়ালে আর সুগন্ধির যোগাড় হয়ে থাকত। কোল থেকে নেমেই পানি ছিটিয়ে টিটিয়ে এটা ওটা করে মাকে অস্থির করে তুলতাম আমি। সাবান মাখতে মাখতে মা হাফ প্যান্ট খুলতে গেলে আমি তা টেনে ধরে রাখতাম,মা তখন চেঁচিয়ে বলতেন-খোদেজার মা,দেখোতো আমার সোনাপাখির বান্ধবীরা এদিকে যেন না আসে। ওদের শরম ভরম নেই তাই না সোনা। আমি আহ্লাদে হু করে বলতাম,কেউ আসবে না কিন্তু..। তবুও সবই যেন সিনেমার মত স্ক্রিপ্টে লেখা। মাথায় চোখা শিং এর মত ঝুটি উচিয়ে,দুহাত ভর্তি লাল নীল কাচ চুরি,বিচিত্র রঙ্গিন পোশাক ও গাল ঠোঁট লাল করে ঠিকই শম্পা,সুরাইয়া,ঈশিতা,পিঙ্কিরা এসে হাজির হত গোসলঘরের সামনে। এইবার দুহাতে শিশ্ন ঢেকে নিয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করতাম আমি। মা আবার চেঁচিয়ে উঠতেন,খোদেজার মা। তাকে তখন মায়ের কন্ঠ সীমানায় খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু শম্পাদের কিছু বলতেন না বরং মিটিমিটি হাসতেন তিনি। আর এই কুট্টি কুট্টি মেয়েরা পুতলের মত দাড়িয়ে থেকে নাদুস নুদুস চোখে আমার দিকে তাকিয়ে থাকত। আমার ভারি রাগ হত। গোসল শেষে তোয়ালে মুড়িয়ে ঘরের দিকে যেতে যেতে মায়ের কোল থেকেই ওদের মুখ ভেঙ্গাতাম আমি। নতুন ছোট্ট রঙিন কাবুলীতে মায়ের মমতার হাতে সেঁজে উঠতাম ছোট্ট আমি। তারপর বাবার আঙ্গুল ধরে ঈদগাহের পথে রওনা দিতাম । মা এসময় পথের অনেকটা এগিয়ে আসতেন। চোখের আড়াল না হওয়া পর্যন্ত তাকিয়ে থাকতেন। ছোট্ট পায়ে আমি বাবার আগে আগে ছুটতাম,কিন্তু আঙ্গুল ছাড়তাম না কখনও। ঈদের নামাজের মধ্যে ভুল করে কখনও তিন সিজদা দিয়ে ফেলতাম।নামাজ শেষে বাবা হাটু গেড়ে বসে আমার সাথে বুকে বুক মেলাতেন। তারপর.....।

হঠাৎ যেন সৃত্মির আবছায়া সরে যায় প্রখর রৌদ্র ঝলসানিতে । আমি ঝাঁকিয়ে উঠি,আমার তো এসব সৃত্মি জাবর কাটার কথা নয়। শূন্য গ্লাসে আবার মদ ঢালি আমি। কেন যেন বিস্বাদ লাগে। মস্তিস্কের নিয়ন্ত্রণ ঢিলে হয়ে আসে। হঠাৎ চিৎকার করে উঠি । বিরবির করে বলতে থাকি,মৃত্যু থেকে জন্ম হয়েছে আমার,শুক্রাণুর অধিকার আমি অস্বীকার করি। আমি কাউকে চিনি না,চিনি না। বিস্ফোরিত চোখে মুখ তুলে দৃষ্টি পথে গ্লাস ছুড়ে মারি। মূহুর্তেই সামনের দেয়ালে আছড়ে গিয়ে ভেঙ্গেচুরে ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে গ্লাস টুকরো। সৃত্মি থেকে বেরিয়ে আসা বাবার বিভ্রম অস্থিত্বকেও সামনে থেকে তাড়িয়ে দেই।

২.
মধুপল্লীর নিত্যকার জীবন কোলাহলের মগ্নতায় হঠাৎ করেই প্রতিদিনের সূর্যদয় একেকটি সংসার বিদায়ের সকাল হয়ে আসতে শুরু করে। দলে দলে শূণ্য হয়ে যেতে থাকে বাবুই কুড়েঘরগুলো। মুধুপল্লীর বাসিন্দারা যাত্রা করে নতুন গন্তব্যে। একসময় পড়ে থাকে শুধু মধুপল্লী। বৃক্ষের দেহাংশ হয়ে যাওয়া বাবুইবাসার মত মধুপল্লী কোলের কুড়েগুলোর শূণ্যতা বাড়তে থাকে। ঝরাপাতায় উঠোনগুলো ভরে যায়,উস্কখুস্কু দেখায় ছাউনির ছনপালক। মধূপল্লী কিছু বুঝে উঠতে পারে না,ছত্রিশটি বছর ধরে চির সবুজ মমতার কোলে আগলে রেখেছিল এই সংসারগুলো। নৈসর্গ চঞ্চল হয়ে ওঠে,হঠাৎ হঠাৎ হাওয়ার অস্থির ইতিউতিতে অসময়ে জলপাই ডাল ভাঙ্গে। ছোট্ট ছোট্ট কুড়েঘরের বাঁশফালির সেলাই দেয়ালের অজস্র ফাঁক দিয়ে সকালের আদুরে রোদ ঢুকে যায় ঠিকই কিন্তু ছোয়াছুয়ি খেলার সাথী খুঁেজ পায় না আর। দিনযায়,মধুপল্লী নিজেকে পরিত্যক্ত ভাবতে শুরু করে।

মধুপল্লী তোমার মত আজ আমিও নিজেকে পরিত্যক্ত ভাবতে শুরু করেছি। কিছু সম্পর্ক,কিছু বিশ্বাস,কিছু অবলম্বন আর জীবনকে প্রত্যাখানের আবেগ-স্রোতের গতিময়তায় তোমার দীর্ঘশ্বাস আমি অনুভব করি। জীবন সংসার আমার বিদায় নিয়েছে তোমার সময়েই। আর সেই নি:সঙ্গ দীর্ঘশ্বাসের প্রতিফলিত আলোর তরঙ্গ এখন আমার দৃষ্টিতে আটকে যায়। মধুপল্লী,কেমন আছে আমার অর্কিড বাগান? বাঁশফালির দেয়াল কেটে ওদের জন্যই আমি দখিনের জানালা খুলেছিলাম। শেষ সময়ে কেন যেন বুনো অর্কিডগুলো পোষ মেনে বেশ আদুরে হয়ে উঠেছিল। ওরাই যে আমার প্রথম প্রেম চুম্বনের সাক্ষী। জানি, জীবনের অসংখ্য চুম্বন মিছিলে সে চুম্বন কখনও হারিয়ে যাবে না। প্রিয় অর্কিডরা স্বত্ব ছেড়ে আসা তোমাদের বাগানে আমার জন্য এক গর্তের জায়গা হবে?

এ নিয়ে দ্বিতীয় বার,আমি বেঁচে আছি। এভাবেই একদিন চলে যাব। হয়তো বাথটাবে, হয়তো কোন নিস্তব্ধ রাস্তার ড্রেনে অথবা অচেনা কোন অবস্থানে। সেসময় এক স্তুপ উদগিরণ সমেত পড়ে থাকা এই অসামাজিক পাপীর কোন স্বীকার খুঁজে পাওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত আমি জড়িয়ে থাকব বৃত্তহীন বিন্দুতেই। বন্ধনের সম্পর্কে ক্রমাগত বৃত্ত তৈরির যে নিয়ম বাস্তবতা তা রুখে দেয়ার সময়ে আমি জন্মাইনি। আর জন্মালেও নীরব প্রস্থানের পথেই আমার ধূসর গন্তব্যের নিয়তি।

থ্রি ইডিয়স দেখে অপর্ণা বলেছিল,নীল এক যুগ ছাড়িয়ে যাওয়া তোর সেই ’অল ইজ ওয়েল’ কন্সেপ্ট আমির খানের ফিল্মে এপ্লাই হয়েছে দেখলাম।আমি বলেছিলাম, রাখ ওসব বালছাল। ও তখন কেমন ম্রিয়তা জড়িয়ে বলল,তুই এমন কেন? অপর্ণা, আসলেইতো আমি এমন কেন? অবিনাশটা জাপান গিয়ে আর ফিরল না। বগুড়ায় আমরা যখন ক্লাস সেভেনে তখন স্কুলের টিউবওয়েলে লাল পানি ওঠত বলে ও বাসা থেকে কি এক জুসের বোতলে পানি নিয়ে আসত। আমি একদিন সেই বোতলে কাগজের ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছিলাম। ওর ওই বোতল পানির নাম দিয়েছিলাম ’মাম’। শালা অবিনাইশশা,দেশে এসে দেখে যা ’মাম’ নামে বোতল পানি বিক্রি করে এখন এক কোম্পানী কি মাল কামাচ্ছে। অবিনাশ তোর জন্য আরেকটি খরব আছে। জলেশ্বরী তলায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দুজন মিলে যে মেয়েটির সাথে আমরা প্রেম করতাম সম্ভবত সেই মেয়েটি এখন দেশের নামকরা সেলিব্রেটি। আহা,কি বোকা ছিল মেয়েটি। আড্ডার আড়ালে দুজনেই যে ওর প্রেমে ইশক ইশক হয়ে যেতাম তার কিছুই বুঝতনা ও। ওহহো,তোর ‘মাম’ ঘটনার সাথে আরেকটা ঘটনা আছে। ২০১১র একুশে বই মেলায় গিয়ে দেখি হুমায়ন আহমেদ তার বেশকিছু লেখা সমগ্রের নাম রেখেছেন ’আমি’। মেলার মাস পাঁচেক আগে ’আমি’ শিরোনামের ওই নাম কন্সেপ্টের আমার উপন্যাসের একটি পর্ব গল্পের ফর্মে ছেপেছিল সমকাল। হা হা হা ভালই,কি বলিস অবিনাশ - চাপাবাজির উপলক্ষ্য একটু বাড়ল আরকি। আচ্ছা, সুমির কথা মনে আছে তোর। একদিন লেডি বেঞ্চে জায়গা না পেয়ে আমার বেঞ্চে বসতে আসলে আমি যখন সরছিলাম না ও তখন তেতিয়ে বলে উঠল,আমাকে পছন্দ হয় না। সেই থেকে ওকে দেখলে তুই আমাকে বলতি-আমাকে পছন্দ হয় না,আমাকে পছন্দ হয় না। আর আমি তার উত্তরে বলতাম,হয় হয়। আজ কত বছর পর যদি ওর দেখা পেতাম। সত্যিই,হৃদয় থেকে বলতাম-‘তোমাকে পছন্দ হয়,পছন্দ হয়। শুধু ওই বেঞ্চ কেন এই হৃদয়ের সব জঞ্জাল পরিস্কার করে দেব তোমার জন্য,তুমিই বসবে বলে ’। ২০১১ ফেব্রয়ারিতে ঢাকায় এসে ওমন রাসটানা ডেসপারেড অথচ মায়া মায়া একজনের সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে ঊঠছে। না বন্ধু,এখন পর্যন্ত তা বন্ধুত্বের সম্পর্কই।
(চলবে),আল-আমীন দেওয়ান উইথ হিজ লাইফ





সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১১ রাত ২:৩০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নীলপরী আর বাঁশিওয়ালা

লিখেছেন নিথর শ্রাবণ শিহাব, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৪৮

আষাঢ়ের গল্পের আসর

সন্ধার পর থেকেই ঝুম বৃষ্টি। থেকে থেকে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে দিনের মত আলো করে। কান ফাটিয়ে দেয়া আওয়াজ। কারেন্ট নেই প্রায় তিন ঘণ্টার ওপর। চার্জারের আলো থাকতে থাকতে রাতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামে ক্ষমার অফারের সাথে শর্তগুলো প্রচার হয়না কেন?

লিখেছেন আফনান আব্দুল্লাহ্, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫১

ইসলামে পাহাড়সম পাপও ক্ষমা পাওয়ার যে সব শর্টকাট অফার আছে, সেগুলোতে ব্ল্যাক হোলের মতো কিছু গভীর, বিশাল এবং ভয়ঙ্কর নোকতা যুক্ত আছে। কোনো এক অজানা, অদ্ভুত কারণে হাজার বছরের ইবাদত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা যদি পুড়ি, তবে তোমরাও আমাদের সঙ্গে পুড়বে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:০১


২২ বছর ধরে একচ্ছত্র ক্ষমতা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দখল, বিরোধীদের দমন—এরদোয়ানের শাসনযন্ত্র এতদিন অপ্রতিরোধ্য মনে হতো। কিন্তু এবার রাজপথের তরুণরা সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। তুরস্ক এখন বিদ্রোহের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। ইস্তাম্বুলের জনপ্রিয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

চেংগিস খান: ব্লগের এক আত্মম্ভরী, অহংকারী জঞ্জাল

লিখেছেন আমিই সাইফুল, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৪

ব্লগ জগতে অনেক ধরনের মানুষের দেখা মেলে—কেউ লেখে আনন্দের জন্য, কেউ লেখে ভাবনা শেয়ার করতে, আর কেউ লেখে শুধু নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে। কিন্তু তারপর আছে চেংগিস খানের মতো একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া নষ্ট প্রজন্ম

লিখেছেন Sujon Mahmud, ২৮ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩৬

৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর ধর্ষিতা বাঙালি নারীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে, তারা কীভাবে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×