সামাজিক অশান্তির অবসানে বিশ্বনবী [সা] বিশ্ব মানবের কল্যাণ সাধনের এক পরিপূর্ণ নকশা পেশ করেছেন। একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ ও পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে সুখী সমৃদ্ধিশালী জীবন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তথা মানব জীবনের সাফল্যের জন্য এক পরিকল্পনাপূর্ণ বাস্তবায়ন পূর্বশর্ত।
তিনি প্রতিবেশীর হক পালন ও কল্যাণ সাধনের তাকিদ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেনঃ “যে ব্যক্তির অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশী নিরাপদ হতে পারে না। সে বেহেশতে যেতে পারবে না।”
তিনি আরো ইরশাদ করেনঃ “প্রতিবেশীর উপকার কর। তাহলে তুমি প্রকৃত মুমিন হতে পারবে।”
১০। প্রতিশ্রুতি ও আমানতদারী রক্ষায়ঃ
যে সমাজে ছলচাতুরী, ধোকাবাজী, অঙ্গীকার ভঙ্গ করার ন্যায় আত্মঘাতিমূলক আচরণ ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার, সেই সমাজে তিনি ওয়াদা পালন করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার মহান আদর্শ পেশ করেন। এ জন্যই তাকে আরববাসী ওয়াদা পালনকারী খেতাব দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেনঃ “মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি -ওয়াদা পালন না করা, মিথ্যা কথা বলা, আমানতে খেয়ানত করা।” তাই আরববাসী তার এ অভিনব চরিত্রগুলোর পরিচয় পেয়ে বিস্মিত হয়ে বিমুগ্ধ হন।
১১। সমাজ হিতৈষণাঃ
মানুষের প্রতি মানুষের মায়া-মমতা সমাজ হতে যখন বুদবুদের মত উড়ে গিয়েছিল, কোমলতা, মহানুভবতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও সহিষ্ণুতা যখন অচিন্ত্যনীয় ছিল, ঠিক এমনি এক সময়ে মহানবী [সা] মানব সমাজের প্রতি আহ্বান জানালেন -সদয় হও, তাহলে উর্ধ্বলোকের প্রভুও তোমাদের প্রতি সদয় থাকবেন। মানবের সেবায় মহানবী [সা] স্বীয় জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। পীড়িত ব্যক্তির শুশ্রুষায় তার নিকট
শত্রু-মিত্র ধর্মী-বিধর্মী, মুমিন-কাফির ভেদাভেদ ছিল না। তিনি নিজ হাতে সর্ববিধ পীড়িতের সেবা করতেন। (চলবে)
৫ম পর্ব ৪র্থ পর্ব ৩য় পর্ব ২য় পর্ব শুরু পর্ব