আধুনিক সভ্যতা নামক বিষবৃক্ষের আরেকটি বিষফল হচ্ছে মাদকাসক্তি। এ মাদকাসক্তি শুধু বাংলাদেশে নয় গোটা বিশ্বকে এবং বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বকে রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে। মাদকাশক্তির বিরুদ্ধে অনেক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিলেও এর যথার্থ কোন ফল পাওয়া যায়নি। মাদকতা বিরোধী সর্বপ্রথম কর্মসূচী গ্রহণ করেন হযরত মুহাম্মাদ [সা]। তিনি ছিলেন মাদকতা বিরোধী এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার অসাধারণ নীতিমালা কঠোর আইন প্রয়োগে তৎকালীন সময়ে ভারসাম্য সমাজ বিনির্মাণে সহায়ক হন। কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছেঃ
“হে বন্ধু! লোকেরা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাস করে। বল উভয়ের মধ্যে মহাপাপ। মানুষের জন্য উপকারও আছে কিন্তু উহার উপকারের তুলনায় ক্ষতিই বেশী।” মহান আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র ঘোষণা করেছেনঃ
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের কাছেও যেয়ো না।”
৩। সন্ত্রাস প্রতিরোধে মহানবী [সা]
সন্ত্রাস প্রতিরোধে হযরত মুহাম্মাদ [সা] কর্তৃক এ শান্তিবাহী কমিটির তৎপরতা ছিল প্রবল। অন্ততঃ প্রাথমিকভাবে সমাজের সাধারণ মানুষকে সন্ত্রাসের বিভীষিকাময় যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে এ কমিটির অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। শুধু তাই নয় সমাজে সন্ত্রাসের সৃষ্টিকারী হোতারা এটাও বুঝতে পারলো যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এক আদর্শ যুব গোষ্ঠির আবির্ভাব ঘটেছে। ঐতিহাসিক হিলফ উল ফুজুল জীবনের একমাত্র কৃতিত্ব ছিল হযরত মুহাম্মাদ [সা]-এর। আর কোন নেতা সন্ত্রাস দমনে এ অভিনব ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে পারেনি।
অতঃপর নবুয়ত প্রাপ্তির পরে মহানবী [সা] নানা রকম সন্ত্রাস প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি নেন। এজন্য আল্লাহই তাঁর প্রিয়নবীকে ব্যাপক সহায়তা দান করেন। পবিত্র কুরআনে সন্ত্রাসকারীদের পরিচিতি দিয়ে সূরা বাকারায় বলা হয়েছেঃ
“যখন তাদের বলা হয় তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে ফ্যাসাদ তথা সন্ত্রাস সৃষ্টি কর না। তখন তারা বলে আমরাতো শুধু শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান নিশ্চয়ই এরা সন্ত্রাস তথা ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী, অথচ তারা এ ব্যাপারে উপলব্ধি করতে পারছে না।”
আরো বলা হয়েছেঃ
“সুতরাং পাপাচারীদের সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধ করতে গিয়ে হযরত মুহাম্মাদ [সা]-কে বিভিন্ন যুদ্ধের সম্মুখীন হতে হয়েছে।” (চলবে)
২য় পর্ব শুরু পর্ব