আজ থেকে বিশ বছর আগে (৫ ই জুন, ১৯৮৯ সালে) গনতন্ত্রের জন্য ছাত্র আন্দোলন আন্দোলন চীন সরকার কঠোর হাতে দমন করে। ধারনা করা হয় শত শত ছাত্রকে হত্যা করা হয় তিয়েনামেন স্কয়ারে। চীন সরকার এই স্বৈরাচারী হত্যাকান্ড কখনই স্বীকার করনি। সেই আন্দোলনের একটি ছবি নিচে দেয়া হলো। কিছু কিছু ছবি আছে হাজার যার বর্ননা নিস্প্রয়োজন। এটি তেমনি একটি ছবি। একজন প্রতিবাদী মানুষ আদর্শের জন্য জীবন উৎসর্গ করার জ্বলন্ত উদহারন। সামরিক বাহিনী পারেনি এরকম প্রতিবাদীর উপর দিয়ে ট্যাংক তুলে দিতে।
পরবর্তিতে দুজন পথচারী এই দুর্দান্ত সাহসী ব্যাক্তিকে সরিয়ে নিয়ে যায়। বহু চেস্টা করেও এই ব্যাক্তির খোঁজ আর কেউ বের করতে পারেনি। ধারনা করা হয় চীন সরকার এই বিদ্রোহীকে পৃথীবি থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
সম্প্রতি এই ঘটনার ভিডিও youtube (Tank man ) পাওয়া যাচ্ছে। চারজন ফটোগ্রাফার লুকিয়ে এই ঘটনার চারটি ছবি তোলেন। ছবি গুলো ফটোগ্রাফাররা জীবন বাজী রেখে লুকিয়ে তাদের সম্পাদকের হস্তান্তর করে। পরবর্তি ঘটনা ইতিহাস (বিস্তারিত আছে এই লেন্স জার্নালে )। এই ছবিগুলো চীনের জন্য চিরদিনের লজ্জায় পরিনত হয়।
যখনই এই ছবিগুলো আমি দেখি, আমাদের নুর হোসেনের কথা মনে পরে যায়। নুর হোসেনও মানবতার আদর্শকে বিশ্বাস করে জীবন দিয়েছিল। বুকে লিখেছিল "স্বৈরাচার নিপাত যাক" এবং পিঠে লিখেছিল "গনতন্ত্র মুক্তি পাক"। এরশাদের স্বৈরাচারী দোসরা তাকে ১৯৮৭ সালের ১০ই নবেম্ভর গুলি করে হত্যা করে। নুর হোসেনও বিশ্বাস করে ছিল আদর্শের মূল্য জীবনের মূল্যের চেয়েও বেশী।
নুর হোসেন এবং এই নাম না জানা চাইনিজ যুবকের মতো প্রতিবাদীরা ঘরে ঘরে জন্মায় না। জাতি হিসাবে আমরা ভাগ্যবান যে, নুর হোসেনের মতো আমরা একজন এই বাংলার বুকে জন্ম নিয়েছিল। তিয়েনামেন স্কয়ার বিপ্লবের দু-দশক পূর্তিতে রইল এই দুই বিপ্লবী যুবকের প্রতি রইল আমার সশ্রদ্ব স্মরণ এবং সালাম।
ইউটিউব ভিডিওটি নিচে দেয়া হলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৭:৩০