
জার্মানীতে একদল ব্যক্তিমালিকাদিন সংগ্রহক প্রথম এই ফসিলটির সন্ধান পায় প্রায়। ফসিলটি পরে নরওয়ের ওসলো নেচারেল হিস্ট্রি মিউজিয়াম গবেষণার জন্য কিনে নেয়।

গত একবছর ধরে এই ফসিলটি বিভিন্ন পদ্দ্বতিতে বিশ্লেষণ করে হয়। তার মাঝে একটি হলো CAT স্ক্যান। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষন করে দেখা যায় এই ফসিলটি প্রায় ৪ কোটি ৭০ লক্ষ্য বছঅর পূর্বের। এই ফসিলটি সেই সময়কার যখন জীবনের বিবর্তনপ্রক্রিয়া বানর, গেরিলা এবং মানুষ তৈরী হচ্ছিল। এই অসাধারন আবিস্কারটি জীবনের বিবর্তনপ্রক্রিয়া বুঝতে সাহায্য করবে।

এই গবেষনার বিস্তারিত বর্নণা পাবলিক লাইব্রেরি অফ সাইন্স (PLoS) পত্রিকায় এই সপ্তাহে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীরে হিসাব করে পেয়েছেন যে ফসিলটি প্রায় ৯ মাস বয়সের (অর্থাৎ ৬ বছর বয়সী মানুষের সমান)। পরিপক্ক বয়সে এটির প্রায় দু ফুট লম্বা হতো (শরীরের অধিকাংশ হতো এর লেজ) এবং এর ওজন হতো প্রায় দু পাউন্ড।

বলা হচ্ছে এই ফসিলটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রাইমেট (বুদ্দ্বিমান স্তন্যপায়ী প্রানী) আবিস্কার। এটি একটি তরুনী এবং সাইজে অনেকটা ছোট বানরের মতো। এটির শুধুমাত্র নিচের একটি বাহু বিচ্যুত। ফসিলটি অসাধরনভাবে সংরক্ষিত। এমনকি নরম দেহ এবং তার লোমের আকার এবং আকৃতি এখনো সহজেই বুঝা যায়।
এই যুগান্তকারী আবিস্কারের মূল সরাংশ হলো মানুষের বিবর্তন হলো এমন একটি প্রানী থেকে যা অনেকটা বর্তমানের লেমুরের মতো দেখতে (নিচের ছবিতে দেখুন)।

এই আবিস্কার একটি যুগান্তকারী আবিস্কার যা আমদের জীবনের উৎপত্তির অনেক রহস্য সমাধানে সহায়তে করবে।
লিংক:
পাবলিক লাইব্রেরি অফ সাইন্স
নিউইয়র্ক টাইমস
ওয়াল স্ট্রিট জার্ণাল