
এখন পর্যন্ত এই বিশাল বিশ্বব্রম্মান্ডে আমারা আমাদের পৃথীবির কোন সঙ্গী খুজে পাইনি। এই একা একা পথ চলা কি শেষ হতে চললো? এর উত্তর জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও তিনটি বছর। এই সপ্তাহে নাসা (NASA), কেপলার নামে একটি মহাকাশ যান পাঠাবে, যাতে থাকবে বিশেষভাবে তৈরী করা একটি টেলিস্কোপ এবং যার উদ্দেশ্য হলো আমাদেরই মতো গ্রহের সন্দ্বান করা।

সব কিছু ঠিক থাকলে, এই শুক্রবার এই যানটি সূর্যের দিকে যাত্রা শুরু করবে। সূর্যের কক্ষপথে এই টেলিস্কোপ স্থাপন করা হবে। কেপ্লার মহাকাশযানটি আগামী তিন বছর বিরামহীন ভাবে খুজে যাবে পৃথীবি সদৃশ গ্রহ যেখানে প্রানের অস্তিত্ব সম্ভব। এর উদ্দেশ্য হলো, খুবই উত্তপ্ত নয় আবার খুবই ঠান্ডা নয়, এমন গ্রহ খুজে বের করা, যেখনে পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে। আর পানির অস্তিত্ব থাকলে, সেখানে প্রানের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব।
নিচের ছবিটিতে দেখানো হলো এই টেলিস্কোপটি কি পরিমান কোণ স্কান বা অভিবীক্ষন করবে।

কেপ্লার টেলিস্কোপটি আসলে খুজবে আমাদেরই মতো পৃথীবি ছায়া। এই টেলিস্কোপটিএ প্রস্থে ৫৫ ইঞ্চি এবং এতে আছে ৯৫ মেগাবাইট ডিজিটাল ক্যামেরা। প্রতি ঘন্টায় এই ক্যামেরা ২ লক্ষ তারার আলোর উজ্জ্বলতার পরির্বতন নির্নয় করবে।
আমাদের পৃথীবির মতো গ্রহের সন্ধান নতুন নয়। বিজ্ঞানীরা ১৯৯৫ সালে প্রথম এইরকম পৃথীবি সদৃশ গ্রহের সন্ধান পায়। এখন পর্যন্ত ৩৪০ টি এই রকম গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কোনটিতেই প্রানের অস্তীত্ব পাওয়া যায়নি।
দারুন হবে, যদি কেপ্লার খুজে পায় আমদেরই মতো কোন গ্রহ। তার মানে এই বিশাল মহাশূন্যে প্রানের অস্তিত্ব খুবই সাধারন ঘটনা। এর পরের ধাপ হবে, সেই নতুন পৃথীবির ছবি তোলা এবং সেই গ্রহের প্রানীদের সাথে যোগাযোগ তৈরী করা।
আর, যদি না পাওয়া যায়, তাহলে বলতে হবে, আমাদের মতো পৃথীবি এই মহাশুন্যে খুবই দূর্লভ। প্রানের অস্তীত্ব হয়তোবা আছে, তবে তার প্রমান দেয়া হবে খুবই কঠিন। আমাদের একাকীত্বের শুরু।
আরও যদি জানতে চান,
কেপ্লার প্রযেক্ট