
কেমন ঠান্ডা পড়েছে তা সবাই মোটামুটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সব চেয়ে বেশী ঠান্ডা পড়েছে দেশের উত্তরে। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে। তবে উত্তর বঙ্গের সর্বত্র একই রকম তাপমাত্রা নয়। কোথাও ২/১ ডিগ্রী বেশি কোথাও কম। সাধারন ভাবে বলা হয় হিমালয়ের দিকে যত যাওয়া যাবে তত তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
আমার শহর থেকে সেই যে ৩১শে ডিসেম্বর বিকাল তিনটার সময় শেষ বছরকে বিদায় জানানোর বেদনায় সূর্যিমামা ডুব দিলেন উনি আর উঠতে পারলেন না। যদিও উঠেন বেদনারত বিমর্ষ মুখখানি ২/১ঘণ্টা দেখিয়ে বিদায় নেন। সেই সূর্যের নাই কোন রাগ নাই তাপ আছে শুধুই দীর্ঘ শ্বাস। সেই শ্বাসে আমাদের উত্তরবঙ্গবাসীর হাড়ে কাঁপন ধরে যায়। হাড় মাংস গরম করবার জন্য সময় বেড়ে গেল ব্যাডমিন্টন খেলার। কিন্তু বাধ সাধলো বাতাস।
বাতাসের জন্য ব্যাডমিন্টন খেলা বন্ধ। ব্যাডমিন্টন বন্ধ তো কি হয়েছে, শুরু হল এলিট শ্রেনীর লনটেনিস খেলা। বিধাতা মনে মনে হাসলেন। দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা। সন্ধ্যা আসতেই দুহাত ভরে অকৃপন হাতে ঢালতে শুরু করলেন কুয়াশা। সে এতই ঘন কুয়াশা যে সার্চ লাইটের আলোকে মনে হয় ৬০ ওয়াটের বাল্ব। যে আলো ভূমিতে পৌঁছায় না। অতএব খেলা বন্ধ।
গত দেড় সপ্তাহ জুড়ে সূর্যিমামার যে কি হয়েছে উনি একবারের জন্যও আর উঁকি দিচ্ছেন না। চা নামিয়ে ঠোঁট ছোঁয়াবার আগেই তা ঠান্ডা। ঘরে দিনরাত রুম হিটার চলছে তারপর ও হাত পা সব অবশ । ঘড়ির দিকে তাকালাম তাপমাত্রা কত দেখবার জন্য। দেখি ১১’সেঃ দেখাচ্ছে। মাথায় কি যে চাপলো ঘড়ি নিয়ে বারান্দার মেঝেতে রাখলাম, ঘড়ি কি বলে দেখার জন্য। ঘড়ি মূহুর্তেই একলাফে ৮’সেঃ এ চলে গেল। তারপর গেল ৫’সেঃ এ। এর পর একলাফে চলে এল ১৫’সেঃ এ। সেখান থেকে হয়ে গেল ঘড়ি পাগলা।

