এই ব্লগটা লিখতে আমার কষ্ট হচ্ছে। কখনো এই ধরনের কিছু আমাকে লিখতে হবে সেটা ভাবি নি।
ব্লগের শুরু থেকেই আমি নিয়মিত কৌতুক লিখতাম। কৌতুক লেখার কারন হল তখন আমার টাইপিং স্পীড ভালো ছিল না। ভাবলাম কৌতুক লিখলে তাড়াতাড়ি স্পীড বাড়বে আর এগুলা লেখাও সহজ। যেহেতু আমি সরাসরি কম্পুতে লিখে ব্লগে দিয়ে দেই তাই স্পীড কম থাকায় লেখাগুলা অগোছালো হয়ে যাচ্ছিল। কৌতুক অগোছালো আর এলোমেলো হলেও কোন সমস্যা নাই। তাই সেদিকে ঝুকে পড়লাম।
প্রথম আমাকে ১৮+ বলে চিহ্নিত করলেন ব্লগার কাকন। আমি মজাই পাইছি। আস্তে আস্তে আমার নাম ফেটে গেল ১৮+ হিসাবে। ইমেজটা পাল্টাতে আমি তেমন একটা চেষ্টাও করি নাই।
ব্লগে নিয়মিত লিখলে কারো সাথে কাইজ্যা হবেই। এই ব্যাপারে সন্দেহ নাই। আমি চেষ্টা করেছি কাইজ্যা থেকে বাচিয়ে চলতে। ধর্ম নিয়া পোষ্ট দেই নাই, রাজনীতি নিয়া লেখি নাই, মুক্তিযুদ্ধের ব্লগে চুপচাপ প্লাস দিয়ে চলে আসছি- বিশেষ শ্রেনীর বিশেষ ছিদ্র মারার কোন কথা বলি নাই।
এত চেষ্টা করেও আমি বাচতে পারি নাই। ছাগু গালি শুনে ফেলছি। ঠিক কি কারনে আমাকে ছাগু বলা হল, আমার নিজের ব্লগে এসে ছাগু বলে গেল- সেটা আমি এখনো পরিস্কার বুঝি নাই। কিন্তু ছাগু আমি শুনছি। প্রথমবার শুনে চুপ ছিলাম। উত্তর দেই নাই। কিন্তু সে আবার এসে ছাগু ডেকে গেল। তখন খুব একটা ছেড়ে কথা বলি নাই। কিন্তু এই ছেড়ে না বলা কথাগুলাতেও আমি গালিগালাজ করি নাই।
গতকাল আমার সম্পর্কে জনৈক ব্লগার বলছেন-
দেশের মানুষকে অভুক্ত রেখে , শ্রমজীবিদের শ্রমের অর্থ নিশ্চিত না করে ১৮+ পোস্ট দেয়া আর দিন রাত চুমু খাওয়ার ফ্যান্টাসিতে ভুগাটাও আমার কাছে চরম হিপোক্রেসি মনে হয় ।
অবশ্য মাথাবেচা বুদ্ধিজীবি হতে হলে এইসব বোলচাল দিতেই হবে । সেইভাবে ভাবলে ঠিকই আছে । সময় আসলেই নীতিবমি করতে হবে , আর বাকি টাইম কোবতে গান , চুমুর নেশায় মশগুল থাকতে হবে।
আমি এর উত্তরেই ফাইজলামি টাইপ কিছু বলে সটকে পড়েছি। আমি কড়া ভাষায় কিছু বলতে চাই না। কিন্তু ১৮+ কৌতুক লিখলে আর সিরিয়াস কিছু লেখা যায় না, এই কথাটা আমার জানা ছিল না। এটা যেন ন্যাংটা পাগলের কাহিনী। সারাদিন সে বাজারে ন্যাংটা ঘুরত। কিন্তু যেদিন এক মাহফিলে সে জামা-কাপড় পড়ে চলে আসল। পাবলিকের আর ভালো লাগে না।
আমি ১৮+ লিখেছি। চুমু নিয়ে কবিতা লিখেছি। তাই বলে আমি গাজা বা
ফিলিস্তিন নিয়ে কিছু লিখতে পারব না। শুধু ১৮+ ই আমার পরিচয়? shrek এর মত আমারো বলার ইচ্ছে, they judge me, even before they know me.
আমার মন খারাপ। বুদ্ধুজীবি হিসাবে আমি কবে নিজেকে জাহির করেছি তা আমি জানি না। এক দিন মজুরের মেয়েকে আমার দেখা সবচে সুন্দর মেয়ে মনে হয়েছে-সেই কথা স্বীকার করার পরও আমি হিপোক্র্যাট।
আমাকে আক্রমন করার পরও আমি চুপ থাকব। পালটা কিছু বলব না।রবীন্দ্রনাথের কথাই মনে রাখব।
-তারা এমন অস্ত্র দিয়ে আমাকে আঘাত করে যে আমি রক্তাক্ত হই, কিন্তু ফিরে আঘাত করি না। কারন সেই অস্ত্র ছুয়ে দেখতেও আমার ঘৃনা হয়।