০১
জন রবিকে বলতাছে, দুস্ত। ছুটি আসতাছে। এইবার আবার ঘুরতে যামু। তয় তোর কথা আর শুনমু না। এখন থেকে নিজের পছন্দমত জায়গায় ছুটি কাটাতে যাব।
-ক্যান! কি হইছে?
-তোর কথা শুইন্যা কয়েক বছর আগে হাওয়াই গেলাম। কি হইল?? মারিয়া প্রেগন্যান্ট হইয়া গেলো। দুই বছর আগে কইলি বাহামা দ্বীপে যাইতে। গেলাম। কি হইল? মারিয়া প্রেগন্যান্ট হইয়া গেলো। এখন থেইক্যা একটু অন্যরকম কইরা ছুটি কাটামু।
-কই যাবি?
-এইবার যামু ইন্দোনেশিয়া... আর মারিয়ারে লগে লইয়া যামু।
০২
বব বারে ঢুকে ১২ পেগের অর্ডার দিল। বারটেন্ডার জিজ্ঞেস করল,
- আপনার কি হইছে? মন খারাপ?
-হ। আজকে জানলাম আমার বড় পোলা গে।
-থাক মন খারাপ করবেন না। এই রকম ত হয়।
পরের সপ্তাহে বব হাজির। এইবার পনের পেগের অর্ডার দিল।
বারটেন্ডার জিজ্ঞেস করে,
-এইবার কি হইছে?
-আজকে জানলাম আমার ছুটু পোলাও গে।
বারটেন্ডার বলে, আফচুস!
এর পরের সপ্তাহেই বব হাজির। বিশ পেগের অর্ডার দিল।
বারটেন্ডার জিজ্ঞেস করে,
-আজকে আবার কি হইল???? আপনার ফ্যামিলীতে কি কেউ নাই যে মেয়েদের পছন্দ করে?”
বব বলে, আজকে জানলাম আমার বউই মেয়েদের পছন্দ করে।
০৩
এক পুলিশ হাইয়েতে যাচ্ছে। পথের মধ্যে দেখে এক লোককে ন্যাংটা করে কেউ গাছে সাথে বেধে রেখেছে। লোকটা কাদছে। পুলিশ গাড়ি থামাল। লোকটার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
-আপনার কি হইছে?
- আজকে আমার দিনটাই খারাপ। সকালে বউয়ের সাথে ঝগড়া হল। গাড়ি নিয়ে বের হলাম,ওভার স্পীডের জন্য জরিমানা দিলাম। পথের মাঝে একলোককে লিফট দিলাম। অই ব্যাটা গাড়িতে উঠে আমার আমার বুকে বন্দুক ধরল। সে আমার সব টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। আমার জামা কাপড় নিয়ে গেছে। আমার গাড়িটাও নিয়ে গিয়ে আমাকে গাছের সাথে বেধে রেখে গেছে।
পুলিস সব শুনে একটু চিন্তা করল। এরপর নিজের প্যান্ট খুলা শুরু করল। লোকটা বলল, কি করছেন আপনি?
পুলিশ মুচকি হেসে বলল, “ হ! আজকে আপনার দিনটাই খারাপ”
০৪
শিক্ষক ক্লাস শেষ করছেন। “আগামী সপ্তাহে ক্লাস টেস্ট। সবাইকে থাকতে হবে। কোনো ধরনের আপত্তি শুনা হবে না। শুধু কারো আত্মীয় মারা গেলে বা বড় রকমের মেডিকেল কন্ডিশন হলে ছাড় পাবে।“
এক ছাত্র উঠে জিজ্ঞেস করল, স্যার, extreme sexual exhaustion কি মেডিকেল কন্ডিশন হিসাবে ধরা হবে?”
পুরা ক্লাস হাসিতে ফেটে পড়ল। শিক্ষক কিছুক্ষন অপেক্ষা করে বললেন, “না ধরা হবে না। তুমি লেখার জন্য অন্য হাত ব্যবহার করবে।“
০৫
জজ কোর্ট। জজ আসামীর দিকে তাকিয়ে রায়ের আদেশ পড়ছেন। “ তুমি বউকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত।“
দর্শকদের ভিতর থেকে একজন চিৎকার করে বলল” হারামজাদা!”
জজ রায় পড়ে যাচ্ছেন। “ তুমি তোমার শাশুড়িকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মেরেছো”
দর্শকদের ভিতর থেকে সেই লোকটা আবার বলে উঠল” হারামজাদা!!”
এইবার জজ লোকটাকে বললেন, “আমি আপনার রাগের কারন বুঝতে পারছি। কিন্তু এটা কোর্টরুম। আর একবার আপনি এই রকম চিৎকার করলে আপনাকে বিচারে বাধা দেয়ার জন্য গ্রেফতার করা হবে। বুঝছেন?
এইবার লোকটা দাঁড়িয়ে বলল,” আমি গত পনের বছর ধরে হারামজাদার প্রতিবেশি। যতবারই আমি তার কাছে একটা হাতুড়ির ধারের জন্য গেছি, সে বলছে তার কাছে হাতুড়ি নাই।“