চট্রগ্রাম ওয়ানডের আগে তামিমকে হোটেল থেকে বের করে করে দিতে না পারলেও এবার আশরাফূলকে হোটেল থেকে বের করে দিল ।
প্রিমিয়ার ক্রিকেটের দলবদলে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে নিবন্ধন করাতে সিসিডিএমে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ওখানেই ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার সাব্বির খানের ফোনটা পেলেন। যা নিয়ে শঙ্কায়, সাব্বির খান সে বার্তা-ই দিলেন, হোটেল ছেড়ে দিতে হবে।
খবরের কাগজ পড়ে সকালেই আশরাফুল জেনেছেন, ঢাকা টেস্টে তাঁকে দলে রাখা হবে না। তখনও বিসিবি পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো হয়নি বলে, অনুশীলনে অংশ নিলেন। স্টুয়ার্ট ল’র ক্লাসের সবচেয়ে মনযোগী ছাত্রটি কঠোর পরিশ্রমও করলেন। কোচিং স্টাফদের মনযোগও ছিলো আশরাফুলের দিকে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল জানালেন,‘আমি যতদূর জানি সে (আশরাফুল) স্কোয়াডে আছে এবং সেজন্যই প্র্যাকটিসে। আমাদেরকে অন্য কোন কিছু জানানো হয়নি। হতে পরে এটা একটা অনুমান, যা দুনিয়া জুড়েই হয়ে থাকে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেই রান করতে ব্যর্থ হওয়ায়; আশরাফুলকে সিরিজের শেষ টেস্টের স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়ে নাঈম ইসলামকে এবং চোটাক্রান্ত রুবেল হোসেনের পরিবর্তে পেসার শফিউল ইসলামকে অন্তর্ভুক্ত করেন জাতীয় দল নির্বাচকরা। বুধবার বিকেল ৫টায় ১৪ জনের একটি তালিকাও দেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগকে। এক রাত পার হয়ে গেলেও আশরাফুলকে খবরটা দেয়নি তারা। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেনের ভাষ্য,“আশরাফুল খেলবে না নির্বাচকরা তাঁকে জানিয়ে দিয়েছে। সে হোটেল থেকে চলে যাবে, নাঈম হোটেলে আছে। শফিউল বগুড়া থেকে ঢাকা আসছে।”
একদিন অনুশীলনের পর অশ্বস্তির মুখে আশরাফুলকে হোটেল ছাড়তে হলো। অথচ সমাধানটা আগেই হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিলো বলে মনে করেন বিসিবির নির্ভরযোগ্য একজন পরিচালক। খেলা চলাকালে বিতর্ক এড়াতে নাম গোপন রাখার শর্তে বাংলানিউজকে তিনি বলেন,“নির্বাচকরা যদি দায়িত্বশীল হন তাহলে চট্টগ্রামে খেলা শেষ হওয়ার পরই তো আশরাফুলকে জানিয়ে দেওয়ার কথা। হোটেলে নিয়ে এসে আশরাফুলের মতো একজন খেলোয়াড়কে এভাবে তাঁড়িয়ে দেওয়ার কোন মানে হয় না!”
এবিষয়ে এনায়েত হোসেনের নির্বিকার প্রতিক্রিয়া,“আশরাফুল তো আমাদের খেলোয়াড়। সে অনুশীলন করছে ভালো হয়েছে।’
আশরাফুলের বিষয়ে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে চাচ্ছেন প্রধান নির্বাচক আকরাম খান,“আমরা তো দল আগেই দিয়েছি। এখন সেটা যদি খেলোয়াড়কে না জানানো হয়, তাহলে আমরা কি করবো? আমরা দল দিয়েছি। তা খেলোয়াড়কে জানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিভাগের।”
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিসিবি সভাপতির অনুমোদন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ দলে পরিবর্তনের বিষয়টি গোপন রাখতে চেয়েছে। খেলার দুই দিন আগে জাতীয় দলের এমন হজবরল অবস্থা দেখে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের ভ্যবাচ্যকা খাওয়ার যোগার।
সূত্রঃ Click This Link
আশরাফূলকে কেনই বা দলে নেয়া হল, আর যখন নেয়াই হল তখন হোটেল থেকে কেন বিদায় করতে হবে । আগে যখন দল ঘোষণা করতে পারেনি তখন দলের সাথেই থাকত আশরাফূল কিন্তু খেলাত না । একজন খেলোয়ার কয়দিন হোটেলে থাকলে বিসিবির কর্মকর্তাদের কতই বা লস হত !