অধ্যাপক হুমায়ূণ আজাদের কথা মনে আছে? বেশ কয়েক বছর আগে তিনি আততায়ীর হাতে নৃশংসভাবে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন। বইমেলা থেকে ফেরার সময়ে তাঁকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়।
এ হত্যাকান্ডের কিনারা হয়েছে কিনা, জানি না। কিন্তু পাক সার জমিন সাদ বাদ নামক একটি বইয়ের জন্যই তাঁকে হত্যার চেষ্টা হিসাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।
সে ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর একইভাবে, অত্যন্ত নৃশংশভাবে খুন হলেন ব্লগার থাবা বাবা (রাজীব শোভন)। ধারণা করা হয়, থাবা বাবাও একই কারণে খুন হয়েছেন। মূলত ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরোধীতা ও শাহবাগ প্রজন্ম স্কয়ারের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণেই ঘাতকদের টার্গেটে তিনি পরিণত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৃশংস এ হত্যাকান্ডের খুনীদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে আগামীতে এ ধরনের নৃশংস হত্যাকান্ড রোধ করা সম্ভব বলে মনে করি।
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনও অনুরূপভাবে ঘাতকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাকে হত্যা করতে পারেনি। দমাতে পারেনি তার ব্লগিং।
আর কোন ব্লগার মৌলবাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হোক-এটা চাই না। পাশাপাশি বিশ্বজিৎ বা এরকম যে কোন হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি একমাত্র শাস্তি বলে মনে করি। যেমনটা মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সময় বিরোধীতাকারী মানবতার বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করেছেন-তাদের ক্ষেত্রে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৩