কয়েকটি মিডিয়া সারাক্ষণ বিভন্ন উপায়ে জামায়াতের তাণ্ডব জামায়াতের তাণ্ডব বলতে বলতে দখোতে দেখাতে এমন অস্থির হয়ে উঠেছেন যে যদি কোনও প্রবাসী বাংলাদেশে আসতে চান সে নির্ঘাত সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য হবেন। কিন্তু যারা জামায়াতের এতো তাণ্ডবের খবর বলে বেড়াচ্ছেন, তারা এত বড় সন্ত্রাসী দলের বিরুদ্ধে এতো কথা কী করে বলছেন? আবার তাদের কারওই কিছু হচ্ছে না। তাহলেকি ধরে নেবো ওইসব মিডিয়া জামায়াতের টাকায় ওইসব প্রচারণা চালাচ্ছেন? নাকি ধরে নেবো তারা মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন? জামায়াত কোনও দানবীয় সংগঠন নয়।....এ যাবত জামায়াতের তাণ্ডবে ১৭০ জন জামাতী মারা গেছে (মরার আগে জামাতী ছিল মরার পরে অন্য দলের বা সাধারণ মানুষ হয়ে গেছে) বিপরীতে যারা মেরেছে সেই পুলিশের মারা গেছে মাত্র ৭জন। যদি জান বাঁচাইতে ১০ হাজার সাঈদী ভক্ত একটা করে থাপ্পরও মারে তাতেও আরও বেশি পুলিশ মরার কথা। কিন্তু তাহলে পুলিশ এত কম মরলো কেন? আসলে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে মারেনি, কতিপয় পুলিশ সেদিন হাজার হাজার মানুষের মিছিল দেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার হুকুমে গুলি চালাতে ভয় পেয়ে যায়। অতপর পুলিশের পোষাকপরা লীগ ক্যাডাররা ওই ভীতু নির্দেশ অমান্যকারী পুলিশদের পিটিয়ে মেরে ফেলে কাউকে গুলিও করে....অতএব পুলিশ ভাইরা যদি মনে করেন চাকরি বাঁচাতে সাধারণ মানুষকে গুলি করে নিজেরা বেঁচে থাকবেন থাকতে পারেন, কিন্তু স্থানীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশ অমান্য করলে মৃত্যু নিশ্চিত।...
জামায়াত যদি তাণ্ডবই চালাতো তাহলে তাদের হামলায় ১৭০জনের বিপরীতে অন্তত অপরপক্ষের ৫০জন মানুষ মরতো...তাকি কেউ দেখাতে পেরেছে? উল্টো পুলিশ লাশ গুম করার জন্য টুকরো টুকরো করে নর্দমায় ভাসিয়ে দিয়েচে অনেককে...আর এইভাবে সঙখ্যা কমিয়ে মগা সঙসদে মাত্র ৬৭জনের লাশ উল্লেখ করেছে।
জামায়াত যদি সন্ত্রাসই হতো মিথিলা-শ্যামল-বাবু-নবনীতারা এবং কতিপয় রিপোর্টার এমন বাজখাই গলায় জামায়াতের সমালোচনা কোনওদিনই করতে পারত না....
অতএব কতিপয় মিডিয়া জামায়াত-শিবিরের হাতে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে প্রমাণ করুন জামায়াত নিয়ে আপনারা যা বলছেন তা সত্য!......যেভাবে কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিয়াছিল সে মরে নাই....