মাস ক্ষানেক হোল বিদ্যূৎ আর আগের মতন যাওয়া আসা করে না। ঢাকার বিদ্যৎ ব্যাবস্থার এই উন্নতির কারণটা কি ঠিক জানি না। টিভিতে কিংবা পত্রিকায় এই ভালো পরিবর্তন নিয়ে কোন রিপোর্ট আমার চোখে পড়েনি। অবশ্য ভালো কিছু নিয়ে রিপোর্ট করার প্রবণতা এমনিতেই কম। যাই হোক, এই উন্নতির কারণটা আসলেই বা কি?
এক হতে পারে এ সময়ে বিদ্যুতের ব্যাবহার কম। কিংবা বিতরণ ব্যাবস্থার উন্নতী হয়েছে। কিংবা বিদ্যূত উৎপাদন কেন্দ্র গুলোতে মেরামতি হয়েছে। কিংবা পুরো দেশ কে অন্ধকারে রেখে শুধু ঢাকাকেই আলোকিত রাখার ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। এতগুলো যদি আর কিণ্তু দিয়েতো সঠিক কারণ বের করা সম্ভব নয়।
জেনেরেটর থাকার কারণে বিদ্যুত চলে গেলেও আমার বাসায় কিছু বাতি আর ফ্যান চলে । তবে এ দিয়ে টিভি কিংবা কম্পিউটার চলে না। মজার ব্যাপার হোল যখনই বিদ্যুত চলে যায় তখনই আমার স্ত্রী (লিপু) খুশি হয়ে উঠে। আমিও যে আনন্দিত হই না তা না। কারণটা হোল যখনই বিদ্যুত চলে যায় তখনই আমাদের একমাত্র ছেলে দৌড়ে আমাদের পাশে এসে বসে। টিভি কম্পিউটারহীন একটা ঘন্টা হয়ে উঠে পরিবারের জন্য একান্তই এক্সক্লুসিভ। এ দূর্লভ প্রাপ্তি দিনের মাঝে কমকরে হলেও দুই থেকে তিনবার তো হোতই।
লোড সেডিং অবস্থার উন্নতীর সাথে সাথে আমাদের সেই সুখের সময়েরও শেষ হোল। (যদিও জানি সেই সুখ আবারও ফিরে আসবে খুব তাড়াতাড়ি)। তবে এরই মাঝে লিপু প্রস্তাব করলো টিভি কম্পিউটার আর মোবাইল বিহীন একটা দিবস পালন করার। আমরা তিনজনই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিলাম একবার এ কাজটা করে দেখবো। দেখি সেই দিবসটা আমাদের জন্য কতটা কঠিন হয়। এমনও হোতে পারে এটা খুব আনন্দের হয়ে উঠেছে।