আমি যখন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হই তখন ড্রাইভার পিছনের সিটে বসে থাকে। আমি নিজেই ড্রাইভ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। (কেউ আমাকে চালাচ্ছে এটা বোধ হয় আমার ভেতরটা মানতে পারে না)। ড্রাইভিং সিটে বসার পরেই সাধারনত: এফ এম টিউন করি। বছর ক্ষানেক হোল এ অভ্যাসটা হয়েছে, আর এফ এম এসেছে তাও বেশী দিন হয়নি। যতক্ষন স্টেয়ারিং এ থাকি গানের মিছিলের মাঝে ৪ টি সেন্টারে সার্ফিং করাটাই আমার কাজ হয়। তবে "আর জে" দের বাংলা উচ্চারন আমার ভালো লাগে না। অনেকে বলে শহুরে বাংলার তিনটা রকমফের - কোলকাতিয় বাংলা (অতিব শুদ্ধ), ঢাকার বাংলা (সেমি আন্চলিক মিস্রন), ডিজ্যুস বাংলা (বাংলিশ)। এফ এম চালায় "ডিজ্যুস" স্টাইলে। এতে কেউ কেউ আশংকা করেন বাংলা বুঝি আরো এক ধরনের বিকৃতির দিকে যাচ্ছে। আমি মনে করি এটা কোন সমস্যাই না। ডিজ্যুস স্টাইল বেশী দিন থাকবে না। এফ এম ওয়ালারা হয়তো ভাবছে তার শ্রোতারা যেহেতু বয়সে তরুন সেজন্য এরা সবাই বুঝি ডিজ্যুস ঘরানার। আসলে এদের সংখ্যা নিতান্তই কম। নতুন এফ এম - এ বি সি রেডিও বোধ হয় ঠিক ধরেছে, তারা ডিজ্যুসের রাস্তায় যায়নি। পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে থেকেও তারা এখনি বেশ জনপ্রিয়।
গান, সুর, ভাষা, উচ্চারন, সাহিত্য এ সব নিয়ে কত শত পরীক্ষা যে হয়েছে, তার অনেক টিকেছে আবার অনেক হারিয়েও গেছে। খেয়াল করলেই দেখা যাবে এ পর্যন্ত এমন কিছুই টিকে নি যা শেষ বিচারে গ্রহনযোগ্য না। মানুষের পছন্দ না হলে কোন কিছু টিকে না। ছল চাতুরী কিংবা "অনুপ্রবেশ" দিয়ে মানুষের পছন্দকে কেউ বদলাতে পারে না। আর যত বেশী পরীক্ষা নিরীক্ষা হবে ততই ভালো। ভয়ের কিছু নেই।