আজ দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ছেলেটার সাথে ।মেয়ে খেলছিলো বারান্দায় ।এক সময় ঘুমের মধ্যেই মেয়ের ডাক শুনতে পেলাম -আম্মু ভিক্ষুক এসেছে চাল দেবো ?-চাল কিভাবে দেবে ?কোথায় ভিক্ষুক ?আমি চোখ না খুলেই জানতে চাইলাম ।
-রাস্তায় ,দারোয়ান ঢুকতে দেয় নি ,তুমি দরজা খুলে দাও আমি চাল দিয়ে আসি ।
-টাকা দাও বেলকনী থেকে ফেলো ,নিচে যেতে হবে না ।
টাকা খুঁজে পাচ্ছিনা ,বলে ওর মাটির ব্যাংকটা ভেঙে ফেললো ঠাস করে ,পয়সা হাতে করে দৌড়ে ব্যালকনীতে গেলো -আমিও ওর পেছন পেছন ছুটলাম , ততক্ষণে ভিক্ষুক চলে গেছে ।
ওমনি মেয়ে কান্না জুড়ে দিলো -অনেক বুড়ো একজন লোক দাড়ি টুপি আছে ,ঠিক দাদুর মত ,তুমি নিচে চলো এক্ষুণি ! ওর অমন বুকভাঙা কান্না দেখে আমি প্রথমে হচকিয়ে গেলাম ।তারপর বোরকা পড়ে ছেলেটাকে কোলে তুলে ছুটলাম নিচে ।মেয়েও দৌড়ালো পয়সা হাতে ।কিন্তু কোথাও কেউ নেই ।ছেলে কোলে মেয়ের হাত ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলাম ,কিন্তু কোথাও পেলাম না তাকে ।কত রাস্তা কত গলির এই শহর আমার অচেনা ।তাছাড়া একজন ভিক্ষুক কোনদিকে গেছে সেটা কারো কাছে জানতেও চাওয়া যায়না ।প্রায় ঘন্টাখানেক পর ঘরে ফিরে এলাম ।অন্য কোনো ভিক্ষুকও পেলাম না ।ফিরে এসে মেয়ে সোজা ওর রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো ।কিছুক্ষণ পর গিয়ে দেখলাম ঘুমিয়ে আছে দু চোখের কোণে শুকিয়ে আছে জলের রেখা -দু হাতের মুঠিতে দুটো পয়সা .. . . . .