১.ভন্ডপীরের আসর ।বাবা গম্ভীর কন্ঠে বললেন -আজকের মজলিসে স্বয়ং নাবী কারীম সাঃ উপস্হিত হবেন ।তাঁকে সবাই দেখতে পাবে ।গায়ে থাকবে সাদা জোব্বা আর মাথায় সবুজ পাগড়ী ।তবে যাদের জন্মে দোষ তারা দেখতে পাবেনা ।
বলে তিনি মিলাদে টান দিলেন ।কিছুক্ষণ পর জানতে চাইলেন ,কি দেখছো কে কে ?সবাই সমস্বরে বলে উঠল আমি আমি ।
২.দেশে জাদুকর এসেছে ।জাদুর বাকসো দিয়ে মৃত বাবা মাকে দেখায় ।সবাই দলে দলে টিকিট কেটে দেখে আর বের হয়ে খুব খুশী ।রাজা গেলেন ক্ষেপে ।বাস্তবতা যাচাই করতে তিনিও টিকিট কেটে বাকসোর ভেতরে ঢোকার আগমূহুর্তে যাদুকর বললো ,আপনার মা ব্যাভীচারী হয়ে থাকলে কিছুই দেখতে পাবেন না ।রাজা বাকসো ভেতরে বসেই জোরে কেঁদে দিলো মা তোমায় কতদিন পর দেখলাম বলে ।
৩.মাদরাসায় থাকি ।একরাতে একছাত্রী ঘোষনা দিলো সে বেলকনীতে ভুত নড়াচড়া করতে দেখেছে ।এরপর আমরা প্রতিরাতেই ভুতের আনাগোনা টের পাই ।একসময় আবিস্কৃত হলো ,ভুতগুলো আমাদেরই শুকাতে দেয়া কাপড় ।
৪.প্রিয় নাবী সাঃ ইন্তেকাল করলেন ।চাঁদের গায়ে একটা দাগও পড়লো না ।হাজার হাজার সাহাবী শহীদ হলেন কত জিহাদে ,চাঁদ একদিনও নিয়মের ব্যাত্যায় ঘটালো না ।হোসাইন রাঃ কারবালায় শহীদ !চাঁদ একটু গ্রহণ ও লাগলো না ।একজনার ফাঁসির রায় শুণে ফেললো চাঁদ !আজীব !
৫.চাঁদের সাথে সখ্যতা অনেক পুরোনো তার কাছেই জানতে চাইলাম ঘটনা ।
শুল্ক পক্ষে চাঁদ অনেক উজ্জল থাকে ফলে তার গায়ের দাগ গুলো দেখা যায় না ।কিন্তু কৃষ্ণপক্ষের শেষরাতের মলিন চাঁদের গায়ে কালো ছোপ যা চাঁদের পাহাড় সেটাকে বেশ স্পষ্ট দেখা যায় ।সেই দাগগুলোকে মানষচক্ষে সাজিয়ে আপনি ইচ্ছা মত আঁকিবুকি কাটতে পারেন ।বাংলাদেশের ম্যাপ ,হাতি ঘোড়া কিংবা সাঈদী ।বিশ্বাস না হলে হাতে পানি নিয়ে ঝাপটা মারুন দেয়ালে ,এবার দেখুন কি দেখতে চান ।আপনি যাই ভাববেন তার সাথেই কোনো না কোনো সাদৃশ্য দেখতে পাবেন পানি দ্বারা তৈরি রেখাচিত্রে ।চাইলে সাঈদীকেও দেখে নিতে পারেন ।
৬.সকাল থেকে মানুষকে এই কথাটা বোঝাতে বোঝাতে ক্লান্ত ।আগে থেকেই যদি কেই ৬০% বিশ্বাস নিয়ে তাকায় চাঁদ কেন যে কোনো যায়গায় সাঈদীকে দেখা যেতে পারে ।