আর আজ যখন তারা সদর্পে নিজেদের সর্বজ্ঞাত কুকীর্তির কথা অস্বীকার করে, বরং যারা এই দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে তাঁদেরকে কটু কথা বলে, তাঁদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অপমাঞ্জনক, লজ্জাজনক, অশ্লীল শব্দ উচ্চারণের ধৃষ্ঠতা দেখায় - তখনও মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করা এই বীর জাতি, তাদের ব্যাপারে কিছু করতে ইতস্তত করি! এতদিন যারা দেশ শাসন করেছে তারা কেন কিছু করে নাই বলে কেউ এড়িঁয়ে যেতে চান, কেউ বলেন বহু বছর কেটে গেছে এখন আর কিছু করার নাই, কেউ বলেন এটা অনেক জটিল ব্যাপার।
আসলে ব্যাপারটা কী! কারো কি আদৌ ইচ্ছা নাই, নাকি ইচ্ছা থাকলেও সৎসাহস নাই? আজকের এই দ্বিধাদ্বন্দ দেখেই বোঝা যায়, এতদিন এই ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হইনি কেন। এমনকি এখন এই ব্যাপারে যে আলোচনা-প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তাও ওই মুজাহিদ-কাদের মোল্লা-শাহ আব্দুল হান্নানেরা দম্ভোক্তি করেছে বলেই।
আসলে ব্যাপারটা এমন নয় যে দেশের সাধারণ মানুষ এইসব ঘৃণ্ণ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, সবাই চায়। কিন্তু কেন যেন যাদের চাওয়া সত্যিকারের সাফল্য বয়ে আনতে পারে, সত্যিকারের পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে, আজ অবধি তারা এ ব্যাপারে বিস্ময়কর নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছেন। তা-সে ডানপন্থী বা বামপন্থী হোক, জাতীয়তাবাদী বা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি হোক। ক্ষমতায় গিয়ে কেন যেন তারা জনগণের এই দাবিটির কথা, বীর শহীদদের রক্তের এই দায়ভারটির কথা বেমালুম ভুলে যান, এড়িঁয়ে যেতে চান।
প্রতিবন্ধকতাটা কি এই ব্যাপারে? কেন আমরা আজও এই গুরুদায়িত্বের বোঁঝা বয়ে চলেছি? কবে বাঙালী জাতির এই কলঙ্কের দাগ ঘুঁচবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:১৩