বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার আকবর সোবহান পুরা মাছের তেলে কই মাছ ভেজে ফেলেছেন। বাফুফেকে এমন দুটি খেলার মাঠ তিনি উপহার দিয়েছে যেটা ঢাকা শহরের বন্যার পানি নিস্কাশনের রাস্তা এবং সেখানে রাজউকের নিয়ম অনুসারে কোন বিল্ডিং উঠানো যাবেনা। নাও এখন করো খেলার মাঠ!! অনেক মামলার আসামী আকবর সোবহান সাহেব লাভের গুড় কিভাবে উঠাবেন সেটা হয়তো তিনি আগেই তার ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে ঠিক করে রেখেছেন আপাতত সেটা আমাদের বুদ্ধির বাইরে। মঈন উ সাহেব ও হাসিমুখে উপহার কবুল করেছেন। যে বসুন্ধরা তার ক্লায়েন্টদের বছরের পর বছর নানা টালবাহানা করে ফ্ল্যাট দিতে দেরী করে তারা হটাৎ কেন এমন দিল দরিয়া হয়ে গেল সেটাও চিন্তার বিষয়!!
দেশের ক্রীড়া জগতের এই মাঠ সংকটের মাঝে আমিও এগিয়ে আসতে চাই। আমি আমার বাসার ছাদ বিসিবিকে ক্রিকেট মাঠ হিসেবে দান করতে চাই এবং উচ্চ কন্ঠে দাবী জানাই আগামী বিশ্বকাপের অন্তত একটি ম্যাচ যেন এই মাঠে অনুস্ঠিত হয়।
তবে এখানে একটা কথা আছে। আমাদের ছাদে ক্রিকেট খেলার কিছু নিয়ম কানুন আছে, সবার সূবিধার জন্য নিয়ম কানুন গুলো জানিয়ে দিতে চাই.....।
রুল-১.
ছক্কা মারিয়া বল ছাদের বাহিরে ফেলিলে ব্যাটসম্যান আউট ঘোষিত হইবেন এবং ব্যাটসম্যানকেই নিচে গিয়া বলটি আনিয়া দিতে হইবে। অন্যথায় তিন ম্যাচের বহিস্কার।(শুধু এই ম্যাচের জন্য বহিস্কার করিলে ব্যাটসম্যান ফিল্ডিং না করিয়া পালিয়া যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই তিন ম্যাচ বহিস্কার।)
রুল-২.
বল পাশের বাড়ির সুন্দরীর রুমে ফেলিতে পারিলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ তবে খালাম্মার হতে বল পড়িলে আউট এবং একটা নতুন বল ও টেপ জরিমানা।
রুল-৩.
বোলার উল্টা পাল্টা স্পিন করিয়া বল ছাদের বাহিরে ফেলিলে বোলার আউট এবং তার ওভার বাতিল ঘোষণা। এক্ষেত্রে বোলারকেই বলটি নিচ হতে উঠাইয়ে নিয়া আসিতে হইবে।
রুল-৪.
কোন ফিল্ডার নিচে দাড়াইয়া ফিল্ডিং করিতে পারিবেনা , সবাইকে ছাদেই দাড়াইতে হইবে। ছাদে দাড়াইয়া আশেপাশের ছাদে ফিল্ডিং দেয়া যাইবেনা তবে আম্পায়ার সব জায়গায় ফিল্ডিং দিতে পারিবেন।
রুল-৫.
বয়সে ছোট বলিয়া কাউকে পরে ব্যাটিং এ পাঠানো যাইবেনা ,টস করিয়া যার নাম উঠিবে সেই ব্যাটিং এ যাইবে।
রুল-৬.
আগে ব্যাটিং করিয়া পরে ভাগিয়া যাওয়া যাইবেনা অবশ্যই ফিল্ডিং খাটিয়া দিয়া যাইতে হইবে।
ইত্যাদি ইত্যাদি.......।
বি:দ্র: (ছাদটা আসলে আমার না বাড়িওয়ালার , চামে দান করিয়া দিলাম ,মঈন উ সাহেব আশা করি আপত্তি করিবেননা।)

