গুগল আর্থ-এ চন্দ্রমহল
পরিচিতি:
মরহুম জনাব সৈয়দ আনোয়ারুল হুদা ও মরহুমা লতিফা হুদার জেষ্ঠ্যপুত্র সৈয়দ আমানুল হুদা ১৯৭৪ সালে ৩০ মে উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৯ বছর বয়সে অস্ট্রিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। সেখানে প্রথমে ম্যানেজমেন্ট ও তার সাথে ট্যুরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর উপর উচ্চ শিক্ষালাভ করেন। ১৯৮৩ সালে অস্ট্রিয়াতে চাকুরিরত অবস্থায় দেশে কুষ্টিয়ার অধিবাসিনী নাসিমা হুদা চন্দ্রার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৫ সালে তিনি জার্মান আমেরিকান জাহাজে দায়িত্বশীল পদে চাকুরি নেন। ১৯৯৭ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন ও গার্মেন্টস শিল্পের সঙ্গে জড়িত হন। ২০০৬ সালে বাগেরহাট সদর উপজেলার রণজিৎপুরে চন্দ্রমহলের স্বপ্ন পূরণের কাজ শুরু করেন ও ২০০৯ সালে আংশিক কাজ সম্পন্ন হওয়ায় দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করেন।
চন্দ্রমহলের নির্মাণ প্রক্রিয়ায় যাঁদের অবদান রয়েছে তাদের মধ্যে তার কনিষ্ঠ মামা জনাব সৈয়দ আবু ইউসুফ ও শিল্পী ওয়াহিদ, শিমুল, খেলাফত মাস্টার, সুনিল মিস্ত্রি, জাহিদ মিস্ত্রিদের অবদান উল্লেখ্যযোগ্য। এ চন্দ্রমহল তৈরির সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তার স্ত্রী নাসিমা হুদা চন্দ্রার।
যেভাবে যাবেন:
বাসে ঢাকা বা খুলনা থেকে বাগেরহাট জেলার মোংলাপোর্টে যেতে রামপাল উপজেলার সোনাতুনিয়া বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। এখান থেকে হাতের বামে ভ্যানে জনপ্রতি দশটাকা ভাড়ায় চন্দ্রমহল যেতে হবে। রাস্তা মাত্র ২ হাজার ফুট ইট বিছানো এবং এবরো থেবরো। ভ্যানগুলো সিরিয়াল মেইনটেন্স করে প্রাপ্তবয়স্ক চারজন যাত্রী নিয়ে যায়। ভ্যানে ঝাকুনি খেতে খেতে যাওয়ার চেয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া অনেক অনেক ভাল। আপনার ব্যক্তিগত কোন যান এ রাস্তায় নিতে পারবেন না। সোনাতুনিয়া বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং প্লেস আছে সেখানে নির্ধারিত ফি’র বিনিময়ে পার্কিং করে রাখতে হবে।
গাড়ি পার্কিং ফি:
বাস: ২০০ টাকা, পিকআপ: ১০০ টাকা, মাইক্রোবাস: ৫০ টাকা, প্রাইভেট কার: ৪০ টাকা, টেম্পু: ৩০ টাকা, ইজি বাইক: ২০ টাকা, মটরসাইকেল: ১০ টাকা।
চন্দ্রমহল ইকোপার্কে প্রবেশ:
হেঁটে এসে বা ভ্যান থেকে নেমে জনপ্রতি ৩০ টাকার টিকিট কেটে চন্দ্রমহলে প্রবেশ করতে হবে। চার বছরের নিচে শিশুর টিকিটের প্রয়োজন নেই।
যা যা দেখবেন:
চন্দ্রমহল: তাজমহলের আদলে তৈরি; ৪০ ফুট উচ্চতা, ৫০ ফুট প্রসস্থ ও ৪০ ফুট দৈর্ঘের আর.সি.সি. কলাম ও দেশি প্রথায় লিংটন প্রযুক্তিতে তৈরি। বাহির এবং অন্দরে উন্নতমানের টাইলস্ ও মার্বেল পাথর দ্বারা আবৃত। নীচতলায় ৩টি কক্ষ ও ২টি গোসলখানা রয়েছে। পাতালপুরিতে ১টি কক্ষ ও দোতলায় ৩টি কক্ষ রয়েছে। প্রধান শয়নকক্ষ হতে ছাদে যাওয়ার সিঁড়ি আছে। ছাদের তিন কোণায় ৩টি গম্বুজের নিচে বসার স্থান ও একপার্শ্বে ব্যক্তিগত নামাজের স্থান রয়েছে। মহলের প্রধান গম্বুজ দশটি ভাগে ভাগ করা ও তার মধ্যে ৫টি অংশ সোনালি আয়না দ্বারা আবৃত।
দূর থেকে চন্দ্রমহল
পাতাল সুড়ঙ্গ
চারপাশে পানি বেষ্টিত চন্দ্রমহলে প্রবেশের জন্য পাথর ও রড-সিমেন্ট দ্বারা তৈরি একটি পাতাল সুড়ঙ্গ রয়েছে। এটি ৩০ ফুট লম্বা এবং ১৪ ফুট পানির নিচে দিয়ে তৈরি। সুড়ঙ্গে চারটি কাচের জানালা আছে- যা দ্বারা বাহিরের মাছ দেখা যায়।
মিনার
চন্দ্রমহলের ১৫ ফুট অদূরে প্রেমের সাক্ষীস্বরূপ ৫০ ফুট উচ্চতার একটি মিনার আছে। এর উপরে ওঠার সিঁড়ি আছে কিন্তু বসবাসরত দেশীয় প্রজাতির পাখির জন্য তা বন্ধ রাখা রয়েছে।
যাদুঘর
চন্দ্রমহলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত একটি যাদুঘর আছে। ডাকটিকিট হতে প্রাচীন মুদ্রা, পুরাকৃতি, হস্তশিল্প, তলোয়ার, চিত্রশিল্পসহ নানান জিনিস রয়েছে।
মহলের ভিতরের বিভিন্ন ছবি
সৈয়দ আমানুল হুদা ও নাসিমা হুদা চন্দ্রা
শ্বেতপাথরের দাবা
প্রাচীনতম গ্রামোফোন!!
আছে চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক ও নানা স্থানে ভাস্কর্য:
গান্ধী ও তেরেসা
ফালানীর কথা কি মনে আছে?
এটা কিন্তু জ্যান্ত সাদা ময়ূর
ময়ুরপঙ্খী নাও
চন্দ্রমহলের সীমানার মধ্যেই ১০টি পুকুরের চারপাশে রয়েছে সুদৃশ্য নারকেল বাগান। বাগানে দলবেঁধে পিকনিক করে আসতে পারেন। পিকনিক স্পট ভাড়া চারশ টাকা; আর আছে ফ্রেস হওয়ার জন্য ২টি রেস্টহাউস।
এটা আমার পিচ্চি
ইনি আমাদের বিদ্যালয়ের পিয়ন; তার নাম সত্য সত্যই- বাচ্চু;
বাচ্চু রাজাকারের ভূমিকায়
একাত্তরের রাজাকার
যোগাযোগ:
মো. মুরাদ, ম্যানেজার।
মোবাইল : ০১৯২০-৭৬০৬২৯ , ০১৭৪৫-৭৮৮০০৯
শেখ আবু সাঈদ, দাঁড়িওয়ালা এ বয়সী মানুষটি চন্দ্রমহল নির্মাণকাল থেকেই আছেন। ওনার মোবাইল নম্বর: ০১৯২৩-০৪০৩৯৪
প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ আমানুল হুদার সাথেও কথা বলতে পারেন।
তার মোবাইল নম্বর: ০১৭১১-৫৪১৮৮১
বি.দ্র. ছবিগুলো মোবাইলে তোলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:২৩