জলিল সাহেবের সাম্প্রতিক বক্তব্য পড়ে তার জন্য আমার করুণা হচ্ছে! আমাদের এসব মহান (!) রাজনীতিবিদরা যখন বঞ্চিত হন তখনই তাদের মুখ থেকে বেশ দামি কথা শোনা যায়। সমস্যা হচ্ছে এ ক্ষেত্রে তারা সত্যি কথা বললে ও তার গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
এর অন্যতম প্রধান কারণ - দল ক্ষমতায় থাকার সময় ওনারা সভানেত্রীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন তার কোন নজির সম্ভবত নেই। এ মুহূর্তে এমন কোন নজির মনে পড়ছে না। হয়তো আমাদের নেত্রীরা ফেরেশতা (!) তাই তারা কোন ভূল করেন না। অথবা ভূল করলে ও তা জানার যোগ্যতা জনগণের নেই। কারণ তাদের কাছে দেশ ও জনগণের চেয়ে দল বড়। ক্ষেত্রবিশেষে দলের চেয়ে ক্ষমতা বড়।
আমাদের দুটি প্রধান দলের নেতাদের একই সমস্যা। দুটি দলেরই সংস্কারপন্থী নেতারা নেত্রীদের কোণঠাসা অবস্হায় সংস্কার চেয়েছিলেন। নেত্রী মুক্ত থাকা অবস্হায় তারা এ ব্যপারে কোন ইচ্ছা পোষণ করেছেন বলে শোনা যায় নি। অথবা ইচ্ছা থাকলে ও হয়তো সাহস করতে পারেন নি।
আমার যেটা সবচেয়ে দুঃখ লাগে দেখি এসব তথাকথিত উচ্চমার্গের নেতারা দলের বাহিরে গিয়ে নির্বাচন করার সাহস দেখাতে পারেন না। তাদের নূ্ন্যতম আত্মসম্মানবোধ থাকলে দল থেকে বেরিয়ে নতুন দল করতে পারতেন।
আবার যারা সাহস করে নির্বাচন করেন তারা দেখি অনেক ক্ষেত্রে গো হারা হারেন। তাহলে তারা যদি নিজ এলাকার জনগণকেই প্রভাবিত করতে না পারেন তবে পুরো দেশকে কিভাবে করবেন?
আসুন আমরা দোয়া করি আমাদের নেতারা যেন সত্যিকারের কর্ডাটা অর্থাৎ মেরুদন্ডী প্রাণীতে পরিণত হোন। আমীন!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫১