স্কুলে ক্লাস ফাইভে থাকতে সাবিল নামের এক মেয়েকে ভাল লেগে যায়।
অনেক সাহস করেও সাবিলকে বলতে পারছিলাম না ভাল লাগার কথা।
আমার এক বন্ধু বুদ্ধি দিল সাবিলকে গান শোনানোর,
গান শুনালে নাকি মেয়ে পটানো যায়।
অবশেষে সেই শুভদিন এল,সকাল বেলা দেখলাম সাবিল মাথার দুই দিকে দুইটা ঝুটি বেঁধে,
কাঁধে
ব্যাগ নিয়ে স্কুলে ঢুকতেছে।
আমি অনেক সাহস করে এগিয়ে গেলাম...
আমিঃ গুড মর্নিং সাবিল তোমাকে একটা গান শুনাতে চাই?
সাবিল: হি হি...তুমি গান গাইতে পারো নাকি?...
শোনাও দেখি গান...
আমি গান গাওয়া শুরু করলাম...
আমিঃ "পড়েনা চোখের পলক,টিং...
কি তোমার রুপের ঝলক,টিং...
সাবিল কি বুঝল কে জানে,
দেখলাম গাল ফুলিয়ে রাগ করে চলে গেল,
চোখে পানি টলটল করতেছে...
ক্লাস শুরু হওয়ার পর সাবিল স্যার কে বিচার দেওয়া শুরু করল...
সাবিল: স্যার,ও আমাকে খারাপ কথা বলেছে...
স্যারঃ কি বলছে?
সাবিল: ও আমাকে বলছে,"পড়েনা চোখের পলক,টিং...
কি তোমার রুপের ঝলক,টিং"
স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে বুঝালেন,
তোমরা সবাই এখন অনেক ছোট,
এইগুলা করবানা তাহলে সবাই তোমাদের খারাপ বলবে।
সব শেষে স্যার একটা প্রশ্ন করলেন,"আচ্ছা তুমি যে বললা।
,"পড়েনা চোখের পলক "টিং"...এই "টিং" জিনিস টা কি?"
আমিঃ স্যার টিভিতে যখন গানটা দেখি তখন পড়েনা
চোখের পলক বলার পরে টিং করে একটা শব্দ হয়,
আমি ওই শব্দটা মুখ দিয়ে করছি,
গানটা সুন্দর করে গাওয়ার জন্য।
স্যারঃ আর এইগুলা করবানা,এখন ক্লাসে যাও,মন দিয়ে পড়াশোনা কর।
আসার সময় শুনলাম স্যার
বিড়বিড় করে বলতেছে,"ছেলে এই বয়সেই টিং টিং করে,
বড় হলে জানি কি করবে"
(আমি এখনও বুঝি না টিং টিং এর মানে কি )