ধরা যাক প্রতিপক্ষ দল ১৫০ রান করেছে, বাংলাদেশ ৮০ বলে ১০০ করেছে এবং ৫ উইকেট মুশি পর্যন্ত পড়ে গেছে, মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ার পরে বাকি ৫ উইকেটের সবাই মিলে বাংলাদেশকে ৪০ বলে ৫০ রান করে দিবে এমন কেউ কি টিমে আছে? যদি না থাকে তাহলে আইসিসি বাংলাদেশকে কোয়ালিফাইং খেলিয়ে কি এমন অন্যায় করলো? বোলিং করতে কয়জন বোলার লাগে? ৫ জন ভালো বোলার আর ১জন/২জন মমিনুল সাব্বিরের মত বোলার। তাহলেই তো যথেষ্ঠ, এটা হলে বাংলাদেশে কয়জন ফ্রেশ ব্যাটসম্যান নেয়া যায়? মাহামুদুল্লাহ রেজাকে কিজন্য দলে রাখা? আমাদের টিমে শামসু এবং মমিনুল খুব সহজেই জায়গা পেতে পারে।
ব্যাটিং: তামিম, এনামুল, শামসুর, সাকিব, মুশফিক, মমিনুল, সাব্বির, জিয়াউর।
বোলার: সাকিব, মাশরাফি/আলআমিন, গাজী/আরাফাত সানী, জিয়াউর, মমিনুল, সাব্বির। (মাশরাফি/আলআমিন, গাজী/আরাফাত সানী এই চারজন থেকে ৩ জন: বাই ডিফল্ট ২ জন স্পিনার, কিন্তু শিশির থাকলে ২ জন সিমার)
এই ১১ জনের দলে ৮ জন ব্যাটসম্যান আছে, ৭ জন বোলার আছে। ব্যাটিংয়ে ডেপথ বাড়লো। বোলিংয়েও অপশন থাকলো। তা না করে মমিনুল শামসুর মত জেনুইন ব্যাটসম্যানকে মাঠে রোদ পোহানোর জন্য বসিয়ে রাখে। যদি অফ-ফর্মের নাসির, মাহামুদুল্লাহ আর রেজার পরিবর্তে শামসুর, মমিনুল, জিয়াউরকে দলে নেয়া যায় ব্যাটিং ডেপথ বাড়লো কিনা? আর আরাফাত সানীকে রাজ্জাকের জায়গায় এজন্য যে, দরকারের সময় রাজ্জাক প্রথম বলেই আউট হয়। ঐ পজিশনের খেলোয়াড় যদি ক্রিজের অপর প্রান্তের খেলোয়াড়কে সঙ্গ দিতে পারতো তাহলে আমরা অনেকগুলো ম্যাচ জিততে জিততে হারতাম না।
ভাইরে ভালো ব্যাটসম্যান থাকলে প্রতিপক্ষ কত রান টার্গেট দিবে? সবই তাড়া করা যায়। হল্যান্ড কালকে করে দেখিয়েছে, আমাদের সেটাই নেই। ৫ জন ব্যাটসম্যান নিয়ে মনের জোরে ব্যাটিং করা যায় না। কারণ ৩ উইকেট পড়ার সাথেই সাকিব-মুশফিকের মনে একটি কথাই কাজ করে আমরা আউট হলেই বাংলাদেশ শেষ, এটা যদি মাথায় থাকে ছক্কা মারা আসে না মনে। সাকিব মুশির পরে যদি মমিনুল, সাব্বির, জিয়াউর গাজী থাকতো তাহলে সাকিবদের মনে বল থাকতো, আয় কয়জনকে আউট করবি খেলা তো ২০ অভার।
গত কদিনের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের খেলায় এটা প্রমানিত হয়েছে যে বাংলাদেশের এখন যে দল আছে তারচেয়ে আয়ারল্যান্ড হল্যান্ড বেটার টিম, সুতরাং আইসিসি বাংলাদেশকে কোয়ালিফাইং খেলিয়ে কি এমন অন্যায় করেছে?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৫৪