ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ফিফা ব্যলন ডি'অর জিতে কেঁদেই ফেলেছেন। মুখে না বললেও বোঝাই যাচ্ছে কতটা অপেক্ষা করে ছিলেন এই পুরস্কারের জন্য। পুরষ্কার ঘোষণার পরে নিজেই বলেছেন, "এই মুহুর্তকে প্রকাশ করার কোন ভাষা আমার জানা নেই।", চোখের জল যেখানে আনন্দ প্রকাশে যথেষ্ট, সেখানে কথা বলার কি দরকার আছে? সেই ২০০৮ সালে জিতেছিলেন এই পুরস্কার। মাঝখানে চার বছর ২০০৯, ২০১০, ২০১১ এবং ২০১২ হেরেছেন মেসির কাছে। ২০১০ ছাড়া বাকি ৩ বারই সর্ট-লিস্টে ছিলেন দ্বিতীয় সেরা হয়ে। আক্ষেপ কি আর এমনি এমনি আসে? বারবার অল্পের জন্য এমন সম্মান হাতছাড়া হলে কার ভাল লাগে? এই পুরস্কারের ফলে সত্যিই FIFA World Player of the Year পুরস্কার আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠলো। কারণ রোনালদো আসলেই অনেক ভাল খেলেই এই পুরষ্কার জিতলো। ২০১৩ সালে ৫৬ ম্যাচ খেলে ৬৬ গোল করে ব্যাক্তিগত পারফরমেন্সে মেসি (৪৫ ম্যাচে ৪২) রিবেরির (৫২ ম্যাচে ২২) চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন তিনি। যদিও রোনালদো জিতেছেন এই পুরস্কার তার পরেও খুব বেশি পিছিয়ে ছিলেন না অপর ২ প্রতিদ্বন্দি মেসি ও রিবেরি। ভোটাভুটিতে রোনালদো পেয়েছেন ১৩৬৫ ভোট, যেখানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেসির ভোট ১২০৫ ও তৃতীয় হওয়া ফ্র্যাঙ্ক রিবেরির ভোট ১১২৭ । এর আগে এতো হাড্ডঢাড্ডি ভোটের লড়াই আমি দেখিনি। এখানে রিবেরি ও মেসিকে খাটো করার কোন উপায় নেই। ওরাও অসাধারণ খেলোয়াড়।
পুরস্কার ঘোষনা করার মুহুর্ত দেখতে ক্লিকান।
http://www.youtube.com/watch?v=1r0YfOkNhJ8
পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিও দেখতে নিচে ক্লিকান। এখানে দেখতে পাবেন পেলে ৫০ বছর পরে এসে ব্যাতিক্রম ধর্মী ব্যালন ডি'অর (সোনার বল) পেয়ে কাঁদলেন। পেলেকে সোনার বল দেয়া হলো কারণ, তখনকার দিনে এরকম কোন পুরষ্কারের ব্যাবস্থা ছিলো না। থাকলে নিশ্চিত ৮/১০ টি ব্যালড ডি'অর পেতেন তিনি।
http://www.youtube.com/watch?v=4RC5d5mI9PY
২০১৩ সালের ফিফার ঘোষিত সেরা ১১ দিয়ে গড়া টিম:
(গোলকিপার)
ম্যানুয়েল নয়্যের
(ডিফেন্ডার)
ফিলিপ লাম
সার্জিও রামোস
থিয়েগো সিলভা
দানি আলভেজ
(মিডফিল্ড)
আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা
জাভি
ফ্রাংক রিবেরি
(ফরোয়ার্ড)
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো
জ্লাতন ইব্রাহিমোভিচ
নিউনেল মেসি