ভাষা আন্দোলনের চেতনা বুকে নিয়ে প্রতি বছরের মত এবারও জমে উঠেছে একুশের বই মেলা। অজস্র নতুন-পুরাতন বই আর লেখক-পাঠকের পাশাপাশি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দদের পদচারনায় মুখরিত বইমেলা তাই আজ প্রাণের মেলায় রূপ নিয়েছে। এবারের বইমেলা প্রকৃতি, সময় ও প্রাচুর্যের দিক থেকে আনুকূল্য পেয়েছে বলেই তা জমে উঠেছে সবদিক থেকেই। সবকিছু দেখে মনে হয়েছে আয়োজনে কোন কমতি নেই। তবুও আমার কাছে একুশের বইমেলা আজ আর বাঙ্গালীর একার বইমেলা নয়, তা আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত। তাই আয়োজনটাকে আরও সমৃদ্ধ করে আন্তর্জাতিক মানের হতে পারত। এব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত কিছু সুপারিশ এই ব্লগে প্রকাশের ধৃষ্টতা দেখাচ্ছিঃ
১) মেলার স্টলগুলো আকৃতি ও প্রকৃতিতে আরও আধুনিকভাবে উপস্থাপন করা যেত।
২) প্রতিটি স্টলের জন্য সমান মাপের সাইনবোর্ড ব্যবহার করা যেত যা মেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হত।
৩) হকারদের মেলাপ্রাঙ্গণের ধারে-কাছে অবস্থান রোধ করা উচিত ছিলো।
৪) মেলার জন্য নির্মিত মঞ্চের সামনে দর্শকের অডিটরিয়াম বা চেয়ার গুলো আরও উন্নত করা যেত।
৫) মেলাকতৃপক্ষের উদ্যোগে বিদেশি বই প্রকাশকের কিছু সংখ্যক স্টল থাকলে অনেক পাঠকের জন্য ভাল হত।
৬) একটি সমৃদ্ধ ইনফরমেশন সেল গঠন করে পাঠক বা ক্রেতা সাধারনকে সহযোগিতা করা যেত।
৭) বই পাঠ কিংবা সংরক্ষণের সহায়ক পন্যের স্টল বরাদ্দ থাকলে মেলা আরও জমজমাট হত।
৮) নতুন লেখকদের পরিচিতি পর্বের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ছোট আকারের পি.এ. সিস্টেম বা হ্যান্ডমাইকের ব্যবস্থা থাকলে মন্দ হতনা।
৯) মেলাপ্রাঙ্গণে নতুন বইয়ের প্রচারের জন্য আধুনিক অডিও ভিজুয়্যাল প্রচার সেল হলে বইপ্রেমিদের সুবিধা হত।
১০) সর্বপরি এরকম প্রাণের মেলার জন্য আরও বড় পরিসর আবশ্যক।
উপরোক্ত বিষয়ে বইমেলার সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সবশেষে, ব্লগের পাঠকগণ আমার সাথে একমত হলেই আমার লেখা সার্থক হবে।