গত দুই বছর পূর্বে সিলেটের রত্নগর্ভা কন্যা রুশনারা আলীকে লন্ডনের বেথনাল গ্রীন ও বো নির্বাচনী এলাকা থেকে লেবার পার্টি প্রার্থী ঘোষনা করেছিল। প্রার্থী ঘোষনার পর থেকেই রুশনারা আলী কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রচারণা চালান। বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারাও রুশনারাকে বিজয়ী করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। এমনকি বাংলাদেশ থেকে নির্বাচনের পূর্বে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ অনেকেই লন্ডনে গিয়ে রুশনারাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালান। রুশনারা বিশ্বনাথে এলে নিজ জন্মস্থান বিশ্বনাথের মানুষও রুশনারার সকল সভায় ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত আত্মীয় স্বজনকে ফোনের মাধ্যমে রুশনারাকে ভোট প্রদান করতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু এতে খুশি হতে পারেনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাতে ইসলামী। তারা জর্জ গ্যালওয়ের রেসপেক্ট পার্টির আবজল মিয়াকে জিতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। সিলেটের স্থানীয় জামাতের নেতারা আবজল মিয়াকে নিয়ে বিশ্বনাথে নির্বাচনী জনসভা ছাড়াও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আত্মীয় স্বজনদের ঘরে ঘরে গিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। জামাতি নেতারা সবসময়ই চেয়েছিল প্রবাসীদের ভোট ভাগাভাগি করে রুশনারাকে ফেল করিয়ে আবজল মিয়াকে জিতিয়ে আনা যায়। কিন্তু জামাত শিবিরের সেই কুটিল ষড়যন্ত্র প্রবাসী বিশ্বনাথ তথা সিলেটবাসীর বুঝতে অসুবিধা হয়নি। যারা আবজল মিয়ার পক্ষে মরিয়া হয়ে ক্যাম্পেইন করেছিল তারাই নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশের পর খোলস পাল্টে রুশনারাকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্বনাথে মিছিল করে। তা দেখে স্থানীয় জনসাধারনের হাসির উদ্রেক হয়। অনেকেই মন্তব্য করেন এটা জামাতি টেকনিক। তবে রুশনারার গ্রামের বাড়ীর আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি বুঝতে বাকী না থাকায় গ্রামের বাড়ীতে বিশাল বিশাল আনন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেনি এসব জামাতের নেতাকর্মীরা।
শুধু তাই নয়, এবার জামাতিদের নতুন মিশন হিসেবে টার্গেট রয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়র নির্বাচন। এই নির্বাচনেও জামাতিদের বেশ কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়ন গ্রহণ করবে বলে জানা যায়।