somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

!!এহা কোন রম্য গল্প নহে!!(তাও আপ্নেরা হাসলে আমি মাইন্ড করুমনা)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সকাল থেকে মেজাজ খুব খারাপ হয়ে আছে, রাতে ভাল ঘুম হয়নাই তার উপর বাড়ি বর্তি মেহমান। বাপের বড় ছেলে বলে কিনা জানিনা দুনিয়ার সকল জঞ্জাল আমার উপ্রে আইসা ভর করে। সয়তান একটা আছে একটু পর পর মেসেজ, দেয় জান্টু পাখি কি করো, কলিজাটা নাস্তা করছো। আজিব সাত সকালে সামনে থাকলে মনেহয় একটা বন থাপ্পড় খাইত। আর আমার বাপ জানের কথা আর কি কমু দুনিয়ার সমস্ত দায়িত্ব তার নেয়াই লাগে। ফুপাত ভাই আসছে বিয়া করতে ওনাদের নিজের ভাড়ি আছে তাও আমাদের বারিতেই বিয়ার আয়োজন করতে হবে কিন্তু নিজের পোলার বিয়ার বয়স পার হইয়া যাইতাছে কোন খবর নাই।

ভাইয়া (আমার ফুপাত ভাই, যার বিয়া নিয়া এই কাহিনী) আমাকে এসে জিজ্ঞেশ করে কিরে তুই বলদের মতো এমন গুরিস কেন যা গোসল কইরা রেডি হ। আমি কইলাম কেমনে কি? সকালে আলমারি খুইলা দেখি একটাও ক্রিম কালারের পাঞ্জাবী নাই( ভাই ক্রিম কালারের শেরওয়ানী পরবে সে যন্য হগলের ঐ কালার এর পাঞ্জাবী পরা লাগবো , অদ্ভুৎ)।হেয় কয় আগে কবিনা ছাগল( বড়রা কি যে মনে করে নিজেদের, বলদ , ছাগল, গাধা এইসব গালি মুখে লাইগাই থাকে) নে ধর কইয়া ৩০০০টাকা দিলো পাঞ্জাবী কিনতে। টেকা দেইখা মনটা ভাল হইয়া গেল। গেলাম পাঞ্জাবী কিন্তে ২ ঘণ্টায় ৩০টা দোকান গুইরা হালার ক্রিম কালারের পাঞ্জাবী পাইনা। আমার পোরা কপালের শুরু সেখান থেইকা। যাইহোক শেষমেশ বসুন্ধরায় গিয়া পাওয়া গেল। তারা হুরা কইরা আইতে গিয়া দোকানে পাঞ্জাবী থুইয়া আরেক মহিলার শাড়ি নিয়া বাসায় আইসা পরছি। সবাই আগ্রহ নিয়া পাঞ্জাবী দেখার লাইগা প্যাকেট খুইলা দেখে শাড়ি , ওনাদের আর পায় কে!!হাসির শব্দে আমার সুইসাইড খাইতে মঞ্চাইলো। দৌড়াইয়া গেলাম আবার, মহিলা দেখি দোকানে বইয়া রইছে এই শাড়ি না নিয়া যাইবনা।মাগমা কি বেডির বেডি!! আমি পুরুষ পোলা তাও আর কিছুক্ষণ ঐখানে থাকলে আমার বাচ্চা প্রসব হইয়া যাইত।

যাক পাঞ্জাবী নিয়া বাসায় আইসা গোসল দিয়া হেব্বি একটা মাঞ্জা মারলাম। ওম্মা রুম থেইকা বের হতেই আমার বাপে কয় বাবা তারা হুরার বিতরে পানের জর্দা আনতে ভুইলা গেছিগা । একটু দৌড় দিয়া লইয়া আয়। আমার মেজাজ কোন পর্যায়ে কি আর কইতাম। মোরে আইসা জর্দা কিনলাম রিক্সা নিয়া বাসায় যাইতাছি, হটাৎ দেখি বুকের কাছটা গরম গরম লাগে , হাত দিয়া দেখি ভিজা ভিজা !!কি হইলো?? পাশে দাড়িয়ে থাকা বাসের জানলায় দেখি এক বুড়া বেটায় তরমুজের বিচির মতো দাঁত বের কইরা হাসে, কয় বাবা মাফ কইরা দেও আমি দেখিনাই। পাঞ্জাবির দিক চাইয়া দেখি লাল রঙের পানের পিক দিয়া পুরাটা ছাপা। অতি রাগে বোদাই হইয়া গেলাম , মুখ দিয়া দেখি কিছু আর বের হয়না। বাসায় গিয়া আবার সাওয়ার নিলাম আলমারি থেকে মেরুন কালারের একটা পাঞ্জাবি পরলাম। ততক্ষণে সবাই চলে গেছে।আহারে আমি আমার এক দোস্তরে নিয়া বাইক দিয়া রওয়ানা দিলাম। হালায় কয় ও চালাইব ,বাইক চালায় না বুলেট ট্রেন চালায় আল্লাই যানে(রোলার কোস্টারে উডনের কতাডা মনে পইরা গেল) আমিতো চোখ বন্ধ কইরা খিচ মাইরা রইলাম আর মনে মনে ওয়াদা করলাম এই জীবনে আর কারো বাইক-এর পিছনে উডুমনা (নিজের বাইক এর লাইগা বড় মায়া হইলো)। বিয়া বাড়িতে গিয়া দেখি সবাই খাওয়া দাওয়া শুরু কইরা দিছে।

আথকার মইধ্যে এক বেডি আমারে ডাক দিয়া কয় ঐ ওয়েটার এইদিকে আসো দেখনা টেবিলে রাইস নাই রাইস নিয়া আস, তোমরা এত কাম চোর কেন? খালি হাওয়া লাগাইয়া গুরো কে!! টিপস নেওনের সময় তো দৌড়াইয়া আসো। আমি তো টাস্কি এডা কি হইলো?? মহিলার কতা হুইনা সব আমার দিকে বেটকি মাছের মত চাইয়া রইছে। মহিলা আবার কয় খারাইয়া রইছস কেন বেটা দৌড়দিয়া যা। ভাবির বাপে আইসা কয় আপা এইটা আমাগ জামাইয়ের ভাই। মহিলা এই কতা হুইনা আমার দিকে একবার তাকাইয়া কয় জামাইর ভাই তাইলে ওয়েটারগো ড্রেস পীনসে কেন?? চার দিক তাকাইয়া দেখি কতা ঠিক সব ওয়েটার মেরুন কালারের পাঞ্জাবী পরা। ভাবির বাপে সখ কইরা এই আয়োজন করছে, সব ওয়েটাররে একটা কইরা মেরুন পাঞ্জাবী কিনা দিছে। কি আর কইতাম চুপ চাপ ভাইয়ের সাইডে গিয়া বইয়া রইলাম। একটু পরে বেয়াইনরা আইসা কয় দুলা বাই আপ্নের ভাই ওয়েটার সাইজা আইসে কেন? ভাইও দেখি ওগো লগে মজা লইতাছে। মনের দুঃখে না খাইয়া বাসায় আইয়া পরলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২০
৫১টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×