লাখ লাখ শহীদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করাতে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর । জনগণের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত এ যাদুঘরটি সেগুনবাগিচায় একটি ভাড়াকৃত জায়গায় অবস্থিত এবং একটি ট্রাস্ট বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত ।যাদের নিয়ে ট্রাস্ট বোর্ড গঠিত :
১.ড.সরওয়ার আলী
২.জ.তারিক আলী
৩.এইচ. আক্কু চৌধুরী
৪.মফিদুল হক
৫.রাকিবুল হাসান
৬.আসাদুজ্জামান নূর
৭.আলী জাকের
৮.সারা জাকের
যাদুঘরটিতে ১০,৭০০ টির বেশি কালেকশন রয়েছে । অথচ জায়গার অভাবে মাত্র ১৩০০ টি প্রদর্শন করতে পারে ।
বর্তমানে যাদুঘরটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে :
১.নতুন যাদুঘর : প্লট-এফ১১এ , প্লট-এফ ১১বি, আগারগাও, ঢাকা ।
২.বধ্যভূমি : জল্লাদখানা,মিরপুর, সেক্টর-১০, ঢাকা ।
৩.এছাড়াও বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের চত্তরের বধ্যভূমিও এর আওতাধীন রয়েছে ।
যাদুঘরটির জন্যে সরকারের বরাদ্দকৃত কিছু অর্থ রয়েছে । এছাড়াও বোর্ডের সদস্যরাও চাঁদা দিয়ে থাকেন । তবে নতুন যাদুঘরের জন্যে দেশে ও বিদেশে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে । দেশের আপামর জনতার সাথে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্মৃতিকে পরিচয় করিয়ে দিতে আমাদের সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা দরকার ।
যেকোন ব্যক্তি বা সংগঠন যাদুঘরটি নির্মাণের জন্যে কমপক্ষে ১০,০০০ টাকা অথবা ইট দেয়ার মাধ্যমে তাদের নাম দাতা-তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে পারবে । আর এই সহযোগিতাটি করা যাবে সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের অফিসে সরাসরি চেক প্রদান অথবা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর নির্মাণ নামে জনতা ব্যাংক (এ/সি#৩৬০০০৪০৮) অথবা ব্র্যাক ব্যাংক (এ/সি#১৫০১১০১৬৫৮৬৩৭০০১) এ দেয়ার মাধ্যমে ।
যে কোন যোগাযোগ :
মাহবুবুল আলম ,জেনারেল ম্যানেজার, ০১৭৩১৮১৪৩৫৩
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর,
৫,সেগুন বাগিচা,ঢাকা -১০০০
ইমেইল[email protected] , [email protected]
ওয়েবসাইট :: http://www.liberationwarmuseum.org
আসুন আমরা সবাই নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত করি টাকা দিয়ে , সম্প্রচার করে ও সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে ।