শুনেছি গাধা পানি ঘোলা করে খায় আর আমাদের সরকার ঘোলা করার পর গু-মুত মিলাইয়া খাইতেছে।পদ্মা সেতুর জন্য এত তাড়াহুড়ার দরকারটা কি ? ৪০বছর গেছে।আরো ৫ বছর দেরী হলে কি হবে?আমাদের সরকারকে এখন আমেরিকা যেইভাবে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরাচ্ছে সেটা একটা স্বাধীন দেশের জন্য খুবই অপমানজনক।যদি শর্ত মানবে তবে এত বাগাড়ম্ভরের কি প্রয়োজন ছিল?আমরাতো সরকারের কথায় মনে করে ছিলাম বিশ্ব ব্যাংকে ঝেঁটিয়ে এদেশ থেকে বিদায় করবে।তাতো হলোইনা বরং আমাদের এখন উট পাখির মতো মুখ লুকাতে হচ্ছে।মুখ লুকালে কি বেজ্জতি এড়ানো যাবে?
পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে এডিবি ও জাইকা তাদের ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়ালেও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি কার্যত কোনো অগ্রগতি হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে আগামী জাতীয় নির্বাচনপদ্ধতি নির্ধারণ ও গ্রামীণ ব্যাংক তথা ড. ইউনূস-ইস্যু। এ দুই ইস্যুতে এখনই একটি সমাধানে পৌঁছাতে গত বুধবার থেকে হঠাৎ সক্রিয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের পদ্ধতি বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
সূত্রমতে, ঋণচুক্তি পুনর্বিবেচনায় সরকারের সামগ্রিক তৎপরতার ওপর নজর রাখছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছে তারা। সরকারের নানা পর্যায় থেকে লবিয়িং হলেও ইতিবাচক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। অন্যতম ৪ শর্তের মধ্যে পদত্যাগ করেছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। ছুটি নিয়েছেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। দুর্নীতি তদন্তে দুদকের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি রাখা এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের পদত্যাগের বিষয়টি এখনও ঝুলে আছে।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের এসব শর্ত মূল বিষয় নয়। আলোচনার পর্যায় এখন এমন যে সরকার যদি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে চায়, তবে ইউনূস ও আগামী নির্বাচন-ইস্যুতে একটি সমঝোতায় আসতে হবে। সেই ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকে একটি সম্মানজনক অবস্থান দিয়ে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে এমডি নিয়োগ দিলেও তা হতে হবে ড. ইউনূসের মতামত নিয়ে। তার সম্পর্কে সব অপপ্রচার এবং তদন্ত বন্ধ করতে হবে।
এ ছাড়া বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সূত্রমতে, গত বুধবার ড্যান ডব্লিউ মজীনা ওই দুটি ইস্যু নিয়ে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছাড়াই অর্থ মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বলেছেন, এসব বিষয় সমাধানে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। দুটি ইস্যুতে সরকার সম্মত হলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে রাজি করাতে ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেবে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ-ও বলা হয়েছে, সরকার ওই দুটি ইস্যুতে সমঝোতায় এলে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি তদন্তে একটি নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করা হবে না কিংবা নামমাত্র তদন্তে অনেকগুলো বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হবে। যাতে সরকার আরো বেশি বিব্রত না হয়। বলা হচ্ছে, সঠিক তদন্ত হলে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সরকারের শীর্ষপর্যায়ের অনেকেই।
সূত্রমতে, যুক্তরাষ্ট্রের দূতিয়ালিতেই এডিবি ও জাইকা তাদের ঋণচুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ওই দিন রাতেই মজীনা হঠাৎ ছুটে যান বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার বাসায়। প্রায় ঘণ্টা খানেক আলোচনায় এসব বিষয় স্থান পেয়েছে বলে জানা যায়। ওই দিন দুপুরে মজীনা জামায়াতে ইসলামীর অফিসে যাওয়ার নির্ধারিত সূচি থাকলেও শেষ পর্যন্ত আকস্মিকভাবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কারণে তা বাতিল করেন।
সূত্র জানায়, ইরান সফর থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে যুক্তরাষ্ট্রের এসব প্রস্তাব নিয়ে অর্থমন্ত্রী আলোচনা করবেন।
তথ্যসুত্রঃ - Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:২২