আকাশে আজ বড় থালার মত চাঁদ। হলুদ চাঁদের বুক থেকে জ্যোৎস্না উথলে পড়ে ডুবিয়ে দিচ্ছে পুরো পৃথিবী। চাঁদটা থেকে থেকে লুকোচুরি খেলতে লুকিয়ে যাচ্ছে মেঘের আড়ালে। তৎক্ষণাৎ কিছুক্ষণের জন্য চারিদিক অন্ধকার! আবার কয়েক মিনিট পরই দেখাচ্ছে তার রুপের জৌলস!
''আহ কি মায়াবী সুন্দর! তাই না নিশি?''আবেগী কন্ঠে বলে ওসমান।
নিশি পাশে বসে স্বামীর কাধের উপর মাথা রেখে বলে,''হু''
ওদের এলাকায় ইলেক্ট্রিসিটির নতুন প্লান্ট স্থাপনের জন্য কয়েকদিন কারেন্ট থাকবে না। এর মাঝে ভরা পূর্ণিমা। তার উপর পরের দিন শক্রবার। ওসমানের অফিস ছুটি। সব মিলিয়ে সোনায় সোহাগা। তাই ওসমান তার স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির উঠোনে জ্যোৎস্না দেখতে বসেছে। ছেলে মিশুর বয়স ছয় আর মেয়ে মিলির বয়স চার বছর। আজ মা তাদের পড়তে বসায়নি বলে দু জনের খুশির সীমা নেই। মিশু একটু একটু পর হাতের বলটা মাটির টপের উপর ছুড়ে দিয়ে ক্যাচ ধরছে।
মেয়ে মিলি অনবরত মাকে প্রশ্ন করে চলেছে ,''মামনি চাঁদেল ভিতল ওতা কি? ওতা কি চাঁদেল বুলি?''
-''না মা। ওটা পাহাড়।''
-''মামনি পাহাল কি?''
-''ওমা পাহাড় কি তুমি জানো না! নানু বাড়ি যাওয়ার সময় দেখেছো না বড় বড় উচু মাটির পাহাড়?''
-''ওগুলোই চাঁদেল ভিতল?''
-''হু ওগুলোই চাঁদের ভিতর''
ওসমান মেয়েকে কাছে টেনে নেয়। অদ্ভুত ভালো লাগায় ভরে যায় তার বুক।
এমন সময় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। কে এল এত রাতে? ওসমান বিরক্ত হয়ে ঘড়ির দিকে তাকায়। রাত এখন সাড়ে দশটা। দরজা খুলতে দেরি হচ্ছে বলে আরো জোরে কড়া নাড়তে লাগল আগুন্তক। ওসমান মিলিকে নিশির কোলে দিয়ে দরজার দিকে এগোয়। পর পর কয়েকবার ''কে কে'' বলে হাক দিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে রাগত স্বরে ওসমান চেঁচায় ,'' কোন বেয়াদব এত রাতে দরজা থাপড়ায়?'' কিন্তু এবারও কোন সাড়া নেই। মনে হয় পারার কোন বোখাটে ছেলে। কারেন্ট নেই তাই ফাজলামী করছে। ওসমান দাঁতে দাঁত চেপে দরজার নব ঘোরায়। কিন্তু দরজার ওপাশের মানুষটাকে দেখে তার মুখ রক্তশুন্য!
কিন্তু আগুন্তকের মুখে হাসি। চাঁদের আলোয় চকচক করছে তার দাঁতগুলো। সে ভ্রু নাচিয়ে ওসমানকে বলল ,''আমাকে চিনতে পেরেছো ওসমান? আমি শওকত! ঐ যে ছোটবেলায় একসাথে খেলে বেড়িয়েছি। আরে এমন করছ যেন ভুত দেখছো! ভুলে গেছো আমি তোমার চাচাতো ভাই।''
ওসমানের মুখে কোন কথা আসছে না। চোখ যেন ঠিকরে বের হয়ে যাবে। বুকের ভিতর অনবরত হৃদপিণ্ডের ধুকধুকানী। বুকের পাঁজর ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে চাইছে যেন!
আগুন্তক ওসমানের বিস্মিত মুখ দেখে যেন মজা পাচ্ছে।সে সব দাঁত বের করে কুৎসিত হাসি দিয়ে বলল ,''আমাকে ভিতরে আসতে বলবে না?'' এবারও ওসমানের মুখে কোন কথা নেই। তাকে চুপ করে থাকতে দেখে সেই ওসমানকে ঠেলে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। ওসমান তার পিছু পিছু আসতে থাকে। তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না শওকত এসেছে!
এদিকে নিশি তার সন্তানদের নিয়ে ডাইনিং টেবিলে বসেছে। রাতে এখনো তাদের কারো খাওয়ানো হয়নি। সে গলা উঁচিয়ে বলল ,''কে এসেছে ওসমান?''
ওসমান ভিতরের প্রবেশ করে বলে ''শওকত! শওকত এসেছে!''
-কোন শওকত?
-আরে আমার চাচাতো ভাই শওকত! আমাদের বাসাতেই যে থাকতো!
-কি বলছ তুমি! শওকত আসবে কেমন করে! তুমি অন্ধকারে ভুল দেখেছো!
- না আমি ঠিকই দেখেছি! সত্যিই শওকত এসেছে! বিশ্বাস না হলে তুমি নিজে এসে দেখো! ড্রয়িং রুমে বসে আছে।
নিশি চিন্তিত মনে স্বামীর দিকে তাকায়। ওর আবার কোন অসুখ করল না তো? এত বড় হ্যালুসিনেশান তো হওয়ার কথা না। একটা মরা লোক কি করে তাদের বাসায় আসবে! শওকত মারা গেছে আজ প্রায় সাত বছর হয়েছে! ওরা নিজের চোখে ওর লাশ দেখেছে। বড় বীভৎস ছিল ওর মৃত্যু। রোড এক্সিডেন্টে মাথার খুলি উঠে মগজ বেরিয়ে গিয়েছিল। আজো নিশি কেঁপে ওঠে ওর মরদেহের কথা মনে হলে!
শওকত আর ওসমান দুই জনে ছিল চাচাতো ভাই। একই বাড়িতে যৌথ পরিবারে দুজনে বড়। নিশি ছিল তাদের প্রতিবেশী। তার বিয়ে প্রথমে শওকতের সাথে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের ঠিক এক সপ্তাহ আগে রোড এক্সিডেন্টে নির্মম মৃত্যু হয় শওকতের। তারপর তার বিয়ে হয় ওসমানের সাথে।
নিশির বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। সে স্বামীর সাথে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করে। সত্যি শওকত ফিরে এসেছে! নিশি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে! না এ কিছুতেই হতে পারে না! সে ভুল দেখছে! কিন্তু এক সাথে দুজনের ভুল কি করে হয়!
নিশিকে আরো অবাক করে দিয়ে শওকত বলে ওঠে ,''কেমন আছো নিশি? বহু দিন পর তোমাকে দেখলাম! তুমি এখনো আগের মতই আছো! ''
এক সময় শওকতের মুখের নিজের প্রশংসা শুনলে আপ্লুত হত নিশি। কিন্তু আজকে ভয় শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যাচ্ছে! কি করে একটা মৃত লোক ফিরে আসতে পারে! স্বামীর দিকে তাকায় নিশি। বুঝতে চায় তার মনের ভাবনা। কিন্তু ওসমানের মুখও রক্তশুন্য। বুঝতে পারে তার মনেও ভাবনার ঝড় হয়ে যাচ্ছে! এদিকে বাহিরেও ঝড়ো বাতাশ শুরু হয়েছে। পর্দা উচু করে ফুরফুর করে ঘরে ঘরে ভিতর আসছে বৈশাখী হাওয়া! এই ঋতুর প্রথম ঝড়। উত্তেজনায় দুজনে জানালা বন্ধের কথাও ভুলে গেছে যেন! শওকতই উঠে গিয়ে জানালা লাগিয়ে দিয়ে আসে।
ডাইনিং রুম থেকে মিলি ডাকে ''আম্মু আমি একা খাবো না। আমাকে খাইয়ে দাও!'' নিশি ডাইনিং এর দিকে কাঁপা কাঁপা পায়ে এগিয়ে যায়। ওসমানও তার পিছু নেয়। এ কি ঘটছে তাদের বাড়িতে! ড্রয়িং রুমে বসা কে এই লোক! এমনও তো হতে পারে শওকতের চেহারার অন্য কেউ এসেছে! আবহাওয়া খারাপ হলে অনেক সময় প্লান করে বাসা বাড়িগুলোতে ডাকাতি করা হয়! এমনও তো হতে পারে ডাকাত তাদের দলের কাউকে ছদ্মবেশে পাঠিয়ে বাকিরা বাহিরে অপেক্ষা করছে। রাত আরো বাড়লে ভিতরে প্রবেশ করবে! হাতের কাছে প্রতিরোধের অস্র খুঁজতে থাকতে ওসমান। কিন্তু ফল কাটার ছুরি ছাড়া আর কিছুই পায় না সে!
নিশি কাঁপা গলায় বলে ''খেতে বসো। আমরা ভুল দেখছি। অনেক সময় এমন হয়! ''
ওসমান খেতে বসে। নিশি পাশে বসে এক প্লেটে খাবার নিয়ে দুই সন্তানকে খাওয়াতে থাকে।
তাদের কাউকে ড্রয়িং রুমে না দেখে শওকত ডাইনিং রুমের দরজা ঠেলে ভেতরে আসে। ''এ কি তোমরা একা একা খেতে বসেছো! এদিকে আমার খিদায় পেট জ্বলে যাচ্ছে! অনেক পথ হেটে এসেছি তো!'' শওকত নিজেই একটা প্লেট টেনে নিয়ে খাওয়া শুরু করে। মোমের আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে শওকট প্লেটে ভাত আর তরকারী নিয়ে খাচ্ছে আর তার মুখের এক সাইড থেকে খাবার বেরিয়ে পড়ছে। কিন্তু সে দিকে তার খেয়াল নেই। সে গভীর মনোযোগে খাওয়ায় ব্যস্ত!
-''আনতেল তোমাল মুক থেকে ভাত পলে যাততে'' বলে মিলি হিহি করে হেসে উঠে। মিশুও শওকতের খাওয়া দেখে মিটিমিটি হাসছে। ওদের হাসি দেখে শওকতও হাহা করে সশব্দে হেসে ওঠে। ,''বাবুরা তোমরাও খাও আমার মত করে!''
মিলি, মিশু প্লেট থেকে হাত মুঠো করে ভাত নিয়ে মুখে পুড়ে দিয়ে শওকতের মত করে খেতে লাগল। গালের দুপাশ থেকে ঝোল আর ভাত গড়িয়ে পড়ছে। এটা দেখে শওকত আবার হেসে উঠলো। মিলি,মিশুও অনবরত হাসছে।
ওসমান আর সহ্য করতে না পেরে বলে উঠল ,''স্টপ ইট!!! কে তুমি? তুমি কিছুতেই শওকত হতে পারো না! শওকত মারা গেছে!''
-''আমিই শওকত। আমি আসলে মরিনি। আমি মরে গিয়েছি ভেবে সবাই আমাকে কবর দিয়ে এসেছে। কিন্তু আমি জীবিত ছিলাম!'' শওকতের চেহারার কোন পরিবর্তন নেই। সে আগের মত করে খেয়ে যাচ্ছে। খাওয়ার মাঝে কথা বলায় আরো বেশি করে ভাত মুখের দুই সাইড দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে।
-''মামনি কবল কি?'' মিলির প্রশ্ন। উত্তরটা মিশু দিয়ে দিল ,'' মানুষ মরে গেলে তাকে গর্ত খুড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। ঐটা হল কবর। তোমার মনে নেই ঐ দিন যে আমরা একটা মরা ইদুর কবর দিলাম ?''
-হু
- ''আংকেল তুমি কিভাবে মারা গিয়েছিলে?'' মিশুর চোখে কৌতুহল।
''আমাকে গাড়ি চাপা দিয়েছিল! একদম মাথার খুলি ফেটে মগজ বের হয়ে রাস্তায় পড়েছিল! অনেক লোক জড়ো হয়েছিল সেই মগজ দেখতে!''
নিশির পেট গুলিয়ে আসে। কিন্তু মিলি আর মিশুর কোন ভাবান্তর নেই। ওরা গভীর বিস্ময়ে শওকতের মারা যাবার গল্প শুনছে। শওকতও মুগ্ধ শ্রোতা পেয়ে একনাগারে বলে চলেছে ''জানো তারপর কি হল? ওরা আমাকে কবর দিয়ে দিল আমার মগজ ছাড়াই! ঐ মগজ রাস্তা খালি হতেই কুকুর এসে চেটে পুছে খেয়ে গেলো!''
নিশি দৌড়ে বাথরুমের দিকে ছুটে গেলো বমি করতে।
-''কুকুল মগত খায়? আমি কুকুলের মগত খাওয়া দেখবো।'' মিলি বাহানা ধরে বসল। মিশুও তাতে সুর মেলালো ,''আমিও দেখবো!''
শওকত যেন খুব মজা পেয়েছে। সে অনবরত হো হো করে হেসে যাচ্ছে। ''তোমরা জানো তারপর থেকে আমার মগজ নেই। তাই বুদ্ধিও একটু কমে গেছে''
-''তোমার মগজ নেই? এহ তুমি মিথ্যে বলছো!'' মিশুর কন্ঠে সন্দেহ।
তার সন্দেহ দূরীভূত করতে সব থেকে বীভৎস কাজটা এবার শওকত করল। তার মাথার উপর থেকে খুলির উপরিভাগটা তুলে এনে সবার সামনে মেলে ধরল ,''এই দেখো আমার মাথায় মগজ নেই। ঐ এক্সিডেন্টের পর থেকে একদম খালি!''
ওসমানের কথা বলার শক্তিও যেন হারিয়ে গেছে। মিশু, মিলি বিস্মিত! অবশেষে মিলি বলল ,''আনতেল তুমি মাথা খুলতে পালো? আমি পালি না!''
-''কোন অসুবিধা নেই মিলি। আমি তোমাকে শিখিয়ে দেব!''
ওসমানের আর সহ্য হল না। সে চিৎকার করে বলল,''কে তুই? বেরিয়ে যা! এক্ষুনি বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে! নয়ত তোকে জানে মেরে ফেলব। তুই ভুত হলে আমি তোর জম! চাবকে তোর পিঠের ছাল তুলে ফেলব!''
হঠাৎ বাবাকে রেগে যেতে দেখে মিলি ভয় পেয়ে কান্না জুড়ে দিল। কিন্তু শওকত আগের মতই প্রফুল্য। সে খুলিটি তার মাথা লাগিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখছে ঠিকমত লেগেছে কিনা । সে শান্ত কন্ঠে বলল ,''বাহিরে অনেক ঝড় হচ্ছে। ঝড় একটু কমলেই চলে যাবো।''
শওকতের এতক্ষণে খেয়াল হল। বাহিরে প্রচন্ড ঝড় বইছে। শা শা শব্দে বাতাশ তুমুল গর্জন তুলে সব কিছু ভেঙে ফেলতে চাইছে যেন! এদিকে নিশি সেই যে বাথরুমে গেছে তার আর কোন খবর নেই। ওসমান সন্তানদের এমন জলজ্যান্ত একটা ভুতের সামনে ফেলে নিশির খোঁজ নিতেও যেতে পারছে না। ভুতটা না আবার বাচ্চাদের কোন ক্ষতি করে বসে।
মিলি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেদেই চলেছে। ওসমান গিয়ে তাকে কোলে নিল।
মিশু তার হাতের বলটা শওকতের দিকে ছুড়ে দিচ্ছে। শওকত আবার তার দিকে ছুঁড়ে দিলে সে ক্যাচ ধরে খিলখিল করে হাসছে।
ওসমান নিরুপায় হয়ে চেয়ার টেনে মিলিকে কোলে নিয়ে বসে পড়ে। ঝড় না থামা পর্যন্ত কিছুই করার নেই। আপাতত সে সন্তানদের পাহারা দিক। এই ভালো।
এমন সময় ওসমানের মনে হয় বাথরুম থেকে নিশি তাকে ডাকছে। সে মিলিকে কোলে নিয়ে ধীর পায়ে বাথরুমের দিকে এগোয়। মোমের আলোয় মনে হয় বাথরুমের দরজা থেকে চিকণ রক্তের স্রোত গড়িয়ে আসছে! ওসমানের বুক ধক করে ওঠে। সে দৌড়ে দরজা খুলে দেখে নিশি বাথরুমের মেঝেতে পড়ে আছে। তার সারা দেহ রক্তে মাখামাখি। নিশি বাথরুমে পা পিছলে পড়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেছে। সেখান ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে। মিলি মায়ের শরীরে রক্ত দেখে চিৎকার করে কান্না শুরু করেছে। ওসমান শার্ট খুলে নিশির মাথায় বেঁধে দেয়। সে হেল্প হেল্প বলে চিৎকার দিতে গিয়ে বুঝতে পারে তার কন্ঠ থেকে আওয়াজ বেরোচ্ছে না। কান্না, ভয় সব মিলিয়ে সে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। বাথরুমের কল থেকে পানি নিয়ে নিশির মুখে ছিটায়। কিন্তু নিশির কোন সাড়া শব্দ নেই। ওসমান তার পালস দেখে। নিস্পদন! নিশি মারা গেছে!
এদিকে মিলি সমানে কেঁদে চলেছে। সে ভীষণ ভয় পেয়েছে। ওসমান মিলিকে কোলে নিয়ে ড্রয়িং রুমের দিকে ছুটে যায়। যে করেই হোক সন্তানদের নিয়ে এ বাড়ি থেকে পালাতে হবে। কিন্তু ড্রয়িং রুমে কেউ নেই। ফাঁকা! শওকত চলে গেছে। সাথে মিশুকেও নিয়ে গেছে। ওসমান চিৎকার করে ডাকে ,''মিশু, মিশু। বাবা তুই কই!'' তার চিৎকার ঝড়ের গর্জনে হারিয়ে যায়। কেউ শুনতে পায় না।