তুমি আমায় বলে দিও এমনই এক জোনাক রাতের গল্প
যেই রাতের কালো চাদরে লীন হয়নি
হতভাগীর কালো কাজল রেখায় লজ্জিত সম্ভ্রমহীন ছন্দ!
অস্ফূট আওয়াজে শৃঙ্খলিত ভালোবাসার ঢেঁকুর,
একটু একটু করে হয়েছে সম্পূর্ণ!
নোনা তিতিক্ষা, জীবনের নির্যাস বয়ে করে রামধনু
জমাট বাঁধে এক সাথে দলা পাকানো সাত রঙ
বর্ণিল থেকে বর্ণিল, তীক্ষ্ণ হৃষ্ট পুষ্ট সঙ ,
ঠিক যেন নবজাতকের মত জীবন্ত উপঢৌকন!
হঠাৎ ভুবন কাঁপানো চিৎকারে হেটে চলে জীবনের লংমার্চ!
প্রজাপতি ওড়ে! ভেসে রয় আড়ষ্ট সুরে!
অন্ধকারের গালিচায় ভালোবাসা হয় ঘনীভুত, আরো, আরো তীব্র!
সতত চাওয়ায় প্রেম, পাওয়াতেই তার কি পরিণতি?
প্রশ্নের পর প্রশ্নরা গাড়ে সমাধী,বিচ্ছিন্ন হাওয়ায় ক্ষিপ্ত আর্তনাদ!
তারপর কাটে অন্ধকার! একটু একটু করে শৃঙ্খল ভাঙে অকাট্য নিয়তি!
পাড় ভাঙে নদী, ভাঙে মানব হৃদয়!
আবার জমে পলি একরোখা আকাঙ্ক্ষার ডামাডোলে!
সন্ধ্যাপ্রদীপ দপ করে নিভে কালপুরুষের মত,
আসে ভোর! বহু প্রতীক্ষিত ভোর!
বসন্তের বিলাপ হঠাৎ শুভ্র শুদ্ধতায় মুছে দেয় নির্যাতিতার রক্তক্ষরণের ক্ষত!
আমার আঁচলের ভাঁজে উঁকি দেয় নারী! এক পরিপূর্ণ নারী!