কতযুগ ধরে দেখছি এই এক দেশ নিয়ে প্রহসন
ঘুম ভাঙেনি কারো, জেগে ওঠেনি ছোট্ট কোনো শহর
ক্রমাগত দায়সারা কিছু অনুষ্ঠান,
মঞ্চ ঘিরে বায়ান্ন আর একাত্তুরের জয়ধ্বনি
এই চলছে আমার আজন্ম দেখা দুই চোখের পাপ।
পূন্যলোভী আমি তবু হেঁটে যাই শাহবাগের দিকে
চলে যাই একটি দেশের সীমানা পথে—
চোরাকারবারীরা যেমন সুলভে দিয়ে যায় পন্য
তেমনি করে শাহবাগে খুঁজি নিজস্ব এক ঘ্রাণ, একটা যুদ্ধ
পায়েদের যুগ্ম করুণা ভিক্ষায় আমিও কেঁদে ফেলি।
পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার মার্কসবাদী অমিয়া দত্তকে
আমি অনেকবার শহীদ হতে দেখেছি এই বাংলায়—
আরেকটা ভোরের আশায় প্রজন্ম চত্বরে রেখে আসি সদ্য ফোঁটা ফুল
আমি দেখছি ক্রমাগত শিউলীবিলাপ, ঝরে যাচ্ছে অকালে সব জল
চেতনা স্বত্বান্তরিত হতে থাকে বুক থেকে বুকে।
সাম্যবাদ পরাজিত হয়ে বৈষম্যের যে সীমায় দাঁড়ানো
তাকেও আমার মৌলবাদ বলে ভুল হতে থাকে—
সব ছেড়ে চলে যাবার বাসনাকে কি পলায়নপর বলা যাবে?
হেঁটে কি আসিনি জীবনের পুরো পথ একই সুরের শ্লোগানে?
আজ তবে কেন শুনছি না স্বাধীনবাংলা বেতারে মুকুলের চরমপত্র?
ঘুম ভাঙ্গা আমি তাই বসে আছি নদীতীরে, সঙ্গীদের আশায়।
১. ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭ ০