১



তুবার লাশটা তখনো এসে পৌঁছোয়নি। আমি সামনের গোল বারান্দাটার সামনে উন্মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। চারপাশে অনেক লোকের ফিসফিস। গভীর নিঃস্তব্ধতার মাঝেও যেমন শব্দের কিছু কারুকাজ থেকেই যায় যাকে ঠিক সরব বলা যায় না আবার নীরবও বলা চলে না তেমনি একটা শান্ত সময়ের ভেতর দাঁড়িয়ে আমি তুবাকে বিদায় জানাবার সকল আচার মনে... বাকিটুকু পড়ুন

সব নদী কথা বলে না

মন্টুর যাবার তাড়া ছিল না কিনতু ওকে বিদায় দেবার তাড়া আমারই ছিল। প্রথম যখন ওর চোখে তাকিয়েছিলাম বর্ষার নদী থেকে মাছের লাফিয়ে ওঠা একটা চমক দেখে বলেছিলাম, ‘তোমার চোখ দু’টো খুলে আমাকে দিয়ে দাও।‘



ও হেসে বলেছিল, ‘যতক্ষন এগুলো আমার ভুরুর নীচে ততক্ষনই ওরা মনোরম, হাতে নিলে... বাকিটুকু পড়ুন

মারমেইড



খুব একটা তাড়া ছিল না—

পোস্টার থেকে নেমে আসবার সময়ে,

একটু শুধু টেনে নামিয়েছিল স্কার্টের ঘের।



এটুকু দেখবার পর ... বাকিটুকু পড়ুন

আমরা তবে মিছিলে যাই

মিটিং এ যাবার, কথা শুনবার নেই অবসর

গোল বৈঠক বা উদাত্ত ডাকের আর কি প্রয়োজন?

আমরা তো আত্মায় আত্মায় টেলিফোন।



পোড়াও তবে এই শরীর

যুক্তিহীন যেভাবে পোড়াও বই, বইয়ের মেলা ... বাকিটুকু পড়ুন

কতযুগ ধরে দেখছি এই এক দেশ নিয়ে প্রহসন

ঘুম ভাঙেনি কারো, জেগে ওঠেনি ছোট্ট কোনো শহর

ক্রমাগত দায়সারা কিছু অনুষ্ঠান,

মঞ্চ ঘিরে বায়ান্ন আর একাত্তুরের জয়ধ্বনি

এই চলছে আমার আজন্ম দেখা দুই চোখের পাপ।



পূন্যলোভী আমি তবু হেঁটে যাই শাহবাগের দিকে ... বাকিটুকু পড়ুন

পাশাপাশি ছায়াটাও হাঁটছিল

জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় যাবে?

জানিয়েছে, একই পথে যাত্রা আমাদের; একই গন্তব্য

স্ট্রীট ল্যাম্পগুলো তখনো অলস।



কিছুটা যেতেই অরণ্য, সেখানে সাধুর ডেরা

গাঁজার কল্কিতে ভীষন তোড়জোর ... বাকিটুকু পড়ুন

আমাকে আমার কখনোই ভাল লাগেনি

সেই ছেলেবেলা থেকে আমার কানগুলো খরগোসের মতো

নাকের উপরকার তিলটা ভয়াবহ যন্ত্রনাদায়ক

আর চোখের ভাষা তো আমি নিজেই পড়তে পারিনি জীবনে।



গ্রীবায় একটা ভাঁজ যা দেখে মা বলেছিল নানাভাইয়ের ভাগ্য

আমার কেবলই মনে হতো আমি এদের কেউ নই ... বাকিটুকু পড়ুন

আমার মা আর বোন এখনো বিশ্বাস করে

আমার চাচা আসলে মারা যাননি

যেমন যুদ্ধ থেকে না ফেরা বাবার লাশটাও

আদতে তার লাশ ছিল না।



প্রতিবার বলতে বাধ্য হয়েছি, এরা নাবালক

প্রতিবারই আমাদের শিঙ্গারদানীর নীচে ... বাকিটুকু পড়ুন

সে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কি একা?

বলা যায় অনেক কিছুই

বলা যায় পাহাড় বেষ্টিত উপত্যকার কথা

ক’একজন ভাইয়ের নাম অথবা

মৃত কিছু আত্মীয়স্বজন যারা পাড়া বেড়াতে গেছেন।



তাকেই জিজ্ঞেস করা যেত, আপনি এত একা কেন? ... বাকিটুকু পড়ুন

শুধুমাত্র ঝাঁপ দেবার সময়ে আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়িয়ে যায়

বাকী সময়টা শূন্য থেকে শূন্য, শূন্য---

প্রথমবার বাতাস পাশ কাটিয়ে চলে গেল

কানের ভেতর মৃদু গুঞ্জন, ইঞ্জিনের তৃতীয় মাত্রার স্বর।



হঠাৎ ভয়, হঠাৎ অচেনা লাগল সবকিছু

তারপরই কাঁপা হাতে দড়ির গিঁট খুলে দূরে ছুঁড়ে ফেলা ... বাকিটুকু পড়ুন

ও দাদা কোথায় গেলি?

দ্যাখ এভাবে ভয় দেখাবি না

কত্তো কাঁদছি তোকে না পেয়ে, জানিস?

কেন গেলি রে দাদা? কেন?

তুই ছুঁয়ে দিয়ে যা কান্নার রঙ, জ্যোৎস্নার ছায়া

আমি তোকেই বলে দেব, ‘কত একা দীর্ঘ রাত, আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে’ ... বাকিটুকু পড়ুন

পাগল হবার ঠিক আগের দিনটাতে

বাছাই করা লোকেরা ছিল পাশে

এপ্রিল ভয়াবহ নীরব এক মাস

এমন একাকী সময়ে জন্মেছি বলে স্বস্তি ছিল মনে

প্রিয় কিছু লোক কফিনের ডালা খুলে রাখছিল।



আলঝেইমারের খপ্পরে পড়ে এটুকুই লাভ হলো ... বাকিটুকু পড়ুন

হেঁটে যাওয়া পায়ের শব্দ রেখে যায় যে ছন্দরসিক

সে-ই চেনে দুঃখ আক্রান্ত রাত আর ক’য়েক টুকরো চাঁদ

ইরানী কার্পেটের স্টল এতরাতে বন্ধ থাকে

বন্ধ হয়ে যায় হৈ চৈ-য়ের শহর

অবলীলায় শুধু জেগে থাকে ছাতিম ফুল-ঘ্রান বাতাসে বাতাসে।



কুকুরটার পাশে কোন মানুষ নেই নুলো ভিখেরী ছাড়া ... বাকিটুকু পড়ুন

ইলশে গুঁড়ি হয়ে কুচি কুচি কষ্ট নামছে

তাপটুকু না থাকলে জমানো যেত বরফ

কালাপাহাড় জাতের বিশাল চাঁই নয়

ছোট্ট একটা টুকরো শুধু

হাতের মুঠোয় নিলে

দুঃখ থেকেই এক ধরনের সুখ বেরুতো। ... বাকিটুকু পড়ুন

ইদানীং একজন বৈজ্ঞানিক তার সমস্ত জ্ঞান ঢেলে দিচ্ছে অন্তরে। যতই বলছি অন্তরে নয় ওসব আমার মগজে ঢালো হে পাগল---সে ততই অদৃশ্য এক বৈদ্যুতিক তারের সংযোজ নিয়ে ব্যাস্ত। খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছি তার কলা কৌশল। রিভলভিং চেয়ার থেকে উপচে পড়ছে মহাসাগরের জলরাশি। কুচকাওয়াজ করে কখনো বেহালায় সুরও উঠছে। যত রকমের নৌযান... বাকিটুকু পড়ুন