তালেবান যোদ্ধাদের লাশের ওপর প্রস্রাব করা দুই মার্কিন সেনাকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এই ঘটনায় জড়িত মেরিন সেনা ইউনিটটির পরিচয়ও মিলেছে।
মার্কিন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, অভিযুক্ত সেনা ইউনিটটি নর্থ ক্যারোলাইনার লিজিউন ঘাঁটির। ২০১১ সালের প্রথম দিকে ওই ইউনিটটি আফগানিস্তানে নিযুক্ত করা হয়। প্রত্যাহার করা হয় একই বছরের সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবরে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দ্বিতীয় মেরিন রেজিমেন্টের তৃতীয় ব্যাটালিয়নের সদস্য।
তবে মেরিন সেনাদের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোসেফ প্লেনজার বার্তা সংস্থা ‘এএফপি’কে জানিয়েছেন, ‘আমরা ওই ঘটনার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইউনিটের নাম প্রকাশ করতে পারি না।’
পেন্টাগন (মার্কিন সামরিক সদর দপ্তর) জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা এ বিষয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কারজাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আপত্তিকর ভিডিও চিত্রটি দেখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের এমন আচরণ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। আমাদের সামরিক বাহিনী যে মূল্যবোধ ও মানদণ্ড সমুন্নত রেখে কাজ করে, ওই ঘটনা তার পরিপন্থী।’
প্যানেট্টা বলেন, মেরিন এবং কাবুলভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিসট্যান্স ফোর্সের (আইএসএফ) মাধ্যমে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এ ধরনের কাজে যারা জড়িত, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ভিডিও চিত্রটি মার্কিন মূল্যবোধ ও আচরণের পরিপন্থী। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে যে ধরনের আচরণ আমরা আশা করি, এটি তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’ বিবিসি ও এএফপি।