আপনি কি হানাফী , সাফেয়ী , মালেকী , হাম্বলী , আহলে হাদীস , সালাফী , সিয়া , আহমেদী , মুতাজেলা , মুজাহেদী , আনসারী , ওহাবী, শিয়া, সুন্নি , মুসলিম ??
নিশ্চয় আপনি এখানে উল্লেখিত যেকনো ১ টি মাজহাবের মুসলিম হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেন ।
আপনি কাকে অনুসরন করেন এবং কাকে অনুসরণ করা আবশ্যক জেনে নিন ।
➡ সালামুন আলা মোহাম্মদ সাঃ ছিলেন মুসলিম।
➡ আল ইমরান (৩)৬৭ নং আয়াত – আল্লাহ বলছেন – সালামুন আলা ইব্রাহিম ছিলেন মুসলিম।
➡ সুরা ফসিলত (৪১)৩৩ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন, তার চেয়ে কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, অবশ্যই আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’?
➡ সুরা আল আনাম (৬)১৫৯ নং আয়াত আল্লাহ বলছেন নিশ্চয়ই যারা দ্বীনকে খন্ড বিখন্ড করেছেন এবং দলে উপদলে বিভক্ত হয়েছে তাদের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নেই ,তাদের বিষয়টি নিশ্চয়ই আল্লাহর হাওলায় রয়েছে।
➡ "যারা নিজেদের দ্বীনকে বিভক্ত করে ফেলেছে এবং বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে গেছে। প্রত্যেক দল নিজেদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে উল্লসিত।" (QS. Ar-Rum 30: Verse 32)
আমি বিস্মিত হই তাদের ব্যাপারে
০১. যারা ঈমানদার হয়েও নিজেদের 'মুসলিম' পরিচয় চেপে রেখে হানাফি, সালাফি, আহলে হাদিস, শিয়া, সুন্নি, ব্রেলবি ইত্যাদি সংকীর্ণ গোষ্ঠীগত পরিচয়ে পরিচিত করতে পছন্দ করে। অথচ মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুল (সা)কে নির্দেশ দিয়েছেন নিজেকে 'মুসলিম' বলে পরিচয় দিতে। (দেখুন- আল কুরআন ০৬: ১৬১-১৬৩)
০২. যারা মানুষকে 'এক আল্লাহ্র' দিকে দাওয়াত না দিয়ে গোষ্ঠীগত ধ্যানধারণার দিকে দাওয়াত দেয়। যেমন 'সহি আকিদার' দিকে, বিশেষ 'মাযহাবের দিকে', বিশেষ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর তরিকার দিকে দাওয়াত দেয়া হয়। অথচ মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুল (সা)কে নির্দেশ দিয়েছেন মানুষকে এক আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিতে। (দেখুন- আল কুরআন ১২: ১০৮)
০৩. যারা মুসলিমদের মাঝে গ্রুপিং, ফেরকাবাজি, বিভক্তি ও দলাদলি সৃষ্টি করে বেড়ায়। এমনকি এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ইসলাম থেকে খারিজ ঘোষণা করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। অথচ আল্লাহ পাক মুসলিমদের ফেরকাবাজি না করার এবং অটুট বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। (দেখুন- আল কুরআন ০৩: ১০৩)
০৪. যারা মুসলিমদের ঐক্য বিনাশ করার জন্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে তুচ্ছ বিষয়েও ফতওয়াবাজি করে বেড়ায়। অথচ রসুলুল্লাহ (সা) তাঁর সাথীদের মাঝে মুনাফিকরাও অবস্থান করছে -এটা সুস্পষ্টভাবে জানা সত্ত্বেও নিজে তাদের কখনো মুনাফিক বলেননি, এমনকি নিজের জামায়াত থেকেও তাদের খারিজ করে দেননি।
এমনকি হারুণ এবং মুসা আলাইহিমাস সালাম তাঁদের জামায়াতে মূর্তিপূজারি গোষ্ঠীর অবস্থানকেও বরদাশত করে নিয়েছিলেন কেবলমাত্র দলবিভক্তির ভয়ে। (দেখুন- আল কুরআন ২০: ৮৮-৯৪)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।
এমন সব বিষয় নিয়ে এই বইটি লিখা হয়েছে ।
চাইলে বইটি সংগ্রহ করতে পাড়েন রকমারি ডট কম থেকে
https://www.rokomari.com/book/235752/atmasuddhi?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৫১