শিশুর কৈশোরে লালন-পালন আর পাঁচ বছরের নীচের বয়সে লালন-পালন এক নয়। শিশুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সন্তান লালন-পালনে তার দক্ষতা বাড়ে, কিন্তু শিশু পরিবর্তিত পৃথিবীতে পরিবেশ অনুযায়ী সমন্বয় করে জীবন চলার এমনসব দক্ষতা অর্জন করে যা মা-বাবা অজর্ন করতে পারে না।
কৈশোরে শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তনের জন্য সে প্রস্তুত থাকে না। কৈশোরে শিশুর এই পরিবর্তনে বাবা-মা কি ভূমিকা রাখবে তা তারা বুঝতে পারে না ও তাকে সহায়তা করতে পারে না। বিদ্যালয়ে, খেলার মাঠে, আড্ডায়, চলার পথে রাস্তায় কিশোর-কিশোরীরা কি করে পরিবর্তিত যোগাযোগ ও প্রযুক্তির এই যুগে মা-বাবা তা জানে না বা ভাবতেও পারে না।
ছেলেদের দাঁড়ি-মোচ গজানো নিয়ে তাদের যে কৌতুহল তৈরী হয় অথবা শারীরিক পরিবর্তন ও বিভিন্ন অঙ্গে লোম গজানো নিয়ে মনে যে ভাবনা বা কৌতুহল সৃষ্টি হয় তা বাবা-মা ভাবতে পারে না। নিজেদের কৈশোরে তারা কি করেছে তা বড় হয়ে ভুলে যায়, আদর্শ কিছুর সাথে তুলনা করে সন্তানকে ভুল বুঝে।
কিশোর-কিশোরী সন্তানসহ মা-বাবা বেড়াতে যাচ্ছেন। এসময় মা-বাবা কি নিজেরা একসাথে বসবেন না কি সন্তানের সাথে মিলে-মিশে বসবেন। দাড়ি-গোপ ও বিভিন্ন স্থানের লোম সেভ করা, স্বপ্ন দোষ বা মাসিকে সন্তানকে পরামর্শ দিবেন কি দিবেন না, কি ভাবে তাদের সহায়তা করা য়ায় ইত্যাদি বিষয়গুলোর জন্য পিতা-মাতা প্রস্তুত থাকে না।
কিছু ছেলে আছে যারা মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে চায়। ক্ন্তিু প্রাকৃতিক কারণেই মেয়েদের প্রতি তাদের আগ্রহ থাকার কথা। বিষয়টি মা-বাবার খেয়াল করা উচিত।
বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক বাড়াতে। প্রতিদিন কোথায় কি ঘটছে তা যেন সন্তান তার বাবা-মায়ের সাথে আলোচনা করে তা নিশ্চিত করতে হবে। কৈশোরে মা-বাবা যদি বন্ধু হতে পারে তা হলে কিশোর-কিশোরীদের ভুল পথে যাবার সম্ভাবনা কম। সন্তান কার সাথে স্কুলে গেছে, কার সাথে খেলেছে, কার সাথে কি গল্প করেছে তা ঘরে বাবা-মা গল্প করে করে জেনে নিতে হবে।