৫ই নভেম্বর অন্তবর্তীকালীন সরকারের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। চারিদিকে আলোচনা চলছে এই সরকারের সময়ে কোন মন্ত্রণালয় কেমন পারফরম্যান্স করেছে তা নিয়ে। আলোচনা হচ্ছে অতি গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন।
একটি দেশের সরকার কি করে, কি ভাবে তা অন্য দেশকে জানানোর একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এম্বাসী বা হাইকমিশন। তাছাড়া প্রবাসী বাঙালিদের সুবিধা অসুবিধা দেখভালের দায়িত্ব এম্বাসীর! এম্বাসীগুলোতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ নিয়ে হযবরল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আগের সরকারের অনেক রাষ্ট্রদূত কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।বিভিন্ন সূত্রমতে মোট তেইশটি দেশ ও সংঘে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এর মধ্যে আমেরিকা, চীন, ব্রাজিল, অষ্ট্রেলিয়া সহ প্রভাবশালী দেশের নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রদূতদের নাম জনসম্মুখে আসার পর ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ করা হয় বিগত সরকারের সাথে সুসম্পর্ক থাকা ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। অনেক দেশ আবার সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রদূত হিসাবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে । ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছে অষ্ট্রিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত তোহিদুল ইসলাম কে। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ করা হয়েছিল। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন চিঠি লিখে তোহিদুল ইসলামের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র মার্কা টাইপ কথা বলেছিলেন।অন্যদিকে রাষ্ট্রদূত হিসাবে এমন কিছু নাম সুপারিশ করা হয়েছে যারা শুধু ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে এবং আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সুপারিশ পেয়েছেন। অনেক রাষ্ট্রদূতের আবার আগের সরকারের সাথে কানেকশন খুজে পেয়ে সকালে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দিয়ে বিকালে বাতিল করা হয়েছে। অনেক রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আছে।
আন্দোলনের পক্ষে থাকা বা নিরব থাকা যদি রাষ্ট্রদূতের যোগ্যতার মাপকাঠি হয় তাহলে অন্য দেশের সাথে কিভাবে কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে আলোচনার দাবী রাখে। আপনি সারাজীবন এক প্রফেশনে ছিলেন হটাৎ করে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পেলে যতই দক্ষতা থাকুক সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবেন না। কূটনৈতিক দক্ষতা একদিনে গড়ে উঠে না। সবার এরকম দক্ষতা থাকেও না।
সরকারের মূল লক্ষ্য নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন । যারা ডিসিশন নিচ্ছেন তাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।