যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফলে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তা নেই
ট্রাম্প হচ্ছে একজন আপাদমস্তক বিজনেসম্যান। কমলা হ্যা্রিস যেহেতু ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাই ইন্ডিয়ান ভোটার টানার জন্য সে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে টেনে জাস্ট একটা টূইট করেছে। এর পেছনে লবিস্টদের হাত থাকতে পারে। তবে ভারতীয় জনগনের বাংলাদেশ বিষয়ে কোন মাথাব্যথা নাই , আর আমেরিকান ইন্ডিয়ানদেরতো নয়ই। ইন্ডিয়ান পত্র পত্রিকা পড়লেই দেখা যায় যে , তারা কি পরিমান উত্তেজিত ছিল কমলা হ্যরিসকে নিয়ে। একজন ভারতীয় সুপার পাওয়ার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারাতো অনেক গর্বের বিষয়। তাদের ভোট যে কমলার পক্ষে যাবে , এটা জানাই কথা। তবে কমলা হ্যরিস একজন মহিলা এবং সাদা আমেরিকান নয়। এই বিষয়টাই ট্রাম্প এর পক্ষে বেশি কাজ করেছে যেহেতু সে হোয়াইট সুপ্রিমেসীতে বিশ্বাষী । আমেরিকাতে আজতক কোন মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়নি। সেখানে একজন নন -হোয়াইট মহিলা প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা এমনিতেই ক্ষীন ছিল।
এবার আসা যাক বাংলাদেশ প্রসঙ্গে । বাংলাদেশ যুক্তরাস্ট্রের কাছে নেহাতই একটা দরিদ্র ক্ষুদ্র দেশ। আমেরিকার মুল মাথাব্যথা রাশিয়া। ভারতের সাথে যুক্তরাস্ট্রের সম্পর্ক খারাপ এই ইস্যূতে। সম্প্রতি ভারতের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। view this link
পতিত স্বৈরাচারের এই দেশের জনগনকে দমন করে রাখার অন্যতম একটা অস্ত্র ছিল ভয়ের রাজ্য তৈ্রী করা। স্বৈরাচারের দোসররাও একই কায়দায় মানুষকে ভয় দেখিয়ে দমাতে চাইছে। তারা চারদিকে বলে বেড়াচ্ছে যে, ট্রাম্প এসে নাকি শেখ হাসিনাকে পুর্নবাসিত করবে !!! এরপর উপদেষ্টারা নাকি সব দৌড়ে পালাতে থাকবে!! বাস্তবতা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বর্তমানে ভাল সম্পর্ক আমেরিকা প্রসাষনের। গনতান্ত্রিক আমেরিকায় প্রেসিডেন্টদের স্বেচ্ছাচারী হবার সুযোগ একেবারেই নাই। জাতিসংঘ যেখানে বাংলাদেশের পাশে আছে , সেখানে ট্রাম্প কোন দুঃখে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে? কি কারনে ? স্বৈরাচারের দোসরদের যুক্তি হল মোদি - ট্রাম্প খুব ভাল বন্ধু !! কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বন্ধু বলে কোন কথা নাই , রাস্ট্রের স্বার্থই সব দেশের ক্ষমতাসীনদের কাছে মূখ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯