চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত অধিকৃত ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড কর্ন ওয়ালিস প্রবর্তিত একটি অভিনব ব্যবস্থা, যার মূল লক্ষ্য ছিল জমিদারদের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য অধিক হারে রাজস্ব আদায়।
এটি কোম্পানি শাসিত বাংলার রাজস্ব আদায় ব্যবস্থাকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যার কারণে বাংলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পরবর্তী দুইশ বছর এর জের থেকে যায়। এর সময়রেখা টানলে তা দাঁড়াবে এরকম-
পাঁচসালা আইন ১৭৭২, দশসালা আইন ১৭৯০-১৮০০, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৭৯৩ এর ধারাবাহিকতায় ১৮৫৯ সালে প্রণীত হয় এর সংস্কার- দশম আইন, তারপর ১৮৮৫ সালে বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ত্ব আইন। ১৯২৮ ও ১৯৩৮ সালে দুইদফায় সংশোধিত প্রজাস্বত্ত্ব আইন এবং সবশেষে ১৯৫০ সালে বিলুপ্তি।
পটভূমি
১.
১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধের পর কোম্পানি যখন ক্ষমতা দখল করে, তখন কোম্পানির ব্যক্তিরা রাজস্ব আদায়ে যথেচ্ছাচার করেন, যার ফলে নবাবি আমলের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এবং দ্বৈত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রণীত কর আদায় ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, বাংলার ১/৩ অংশ জমি জঙ্গলাকীর্ণ হয়, ১৭৬৯ সালে দুর্ভিক্ষে পড়ে জনগণের ১/৩ অংশ মারা যায়।
তাই এ ব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্য ছিল-
জমির মালিকানা জমিদারদের প্রদান>
জমিদাররা অধিক লাভ আদায়ের স্বার্থে পতিত জমি চাষাবাদের আওতাভুক্তি>
একটি কৃষিবিপ্লব সংঘটন মাধ্যমে খাদ্যসংকট মোচন>
জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং চাষাবাদে লোকবল বৃদ্ধি>
ফলত কোম্পানির রাজস্ব বৃদ্ধি।
২.
খোদ ব্রিটেনের ভূস্বামী কর্নওয়ালিস চেয়েছিলেন ব্রিটেনের আদলে বাংলায় জমির মালিকানা তৈরির মাধ্যমে এমন একটি অভিজাত শ্রেণী তৈরি করা, যারা একই সাথে কোম্পানি শাসনের অনুগত থাকবে এবং জমিতে পুঁজিবিনিয়োগের মাধ্যমে সরকারকে রাজস্ব দেবে।
৩.
সরকার চায়, জমির মালিক হিসেবে জমিদার তার জমি ব্যবহার, হস্তান্তর, ইজারা ও দান করবে, যার মূল লক্ষ্য চাষাবাদ করে রাজস্ব প্রদান।
৪.
১৭৭২ সালের পাঁচশালা বন্দোবস্ত- মানে পাঁচ বছরের জন্য জমির মালিক বা জমিদার ব্যতীত অন্য স্বচ্ছল ব্যক্তিকে সরকারের কমিটি কর্তৃক জমি ইজারা প্রদান- কিন্তু এই রাজস্ব ব্যবস্থা ব্যর্থ বলে প্রমাণিত হয়, কারণ প্রজাদের অত্যধিক অত্যাচার করা হত, ফলে কোম্পানির যথেষ্ট রাজস্ব আদায় অর্জিত হয় নি।
৫.
জমির ওপর আনুষ্ঠানিকভাবে জমিদারদের বেসরকারি মালিকানা তৈরি, এই নিয়ম আগে ছিল না। নবাব আমলে জমিদাররা তাদের নির্দিষ্ট অঞ্চল জুড়ে প্রভাব বজায় রাখত, কিন্তু জমির মালিক ছিল নবাবরাই। এখন, জমির মালিকানা জমিদারদের প্রদান করা হল, এটা ছিল অনেকটা সরকারের আইনগত স্বীকৃতি। তাছাড়া এই জমির মালিকানা লিখে দেয়া হবে বিনামূল্যে। যার কারণে, সরকার আশা করেছিল, জমিদাররা এই নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ফলে জমিদাররা হল ক্ষুব্ধ, কারণ
১.
সরকার জমির ওপর তার দাবি তুলে নিল এবং জমিদারদের একটি বিস্তীর্ণ জমির মালিক বলে ঘোষণা করল। তবে শর্ত থাকলো, জমিদারদের অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর প্রদান করতে হবে, নতুবা সূর্যাস্ত আইনের মাধ্যমে তাদের জমি তোলা হবে নিলামে।
২.
পূর্বে জমিদারদের এমন বাধ্যবাধকতা ছিল না, কাজেই জমির মালিক হয়েও তারা আসলে কোম্পানির নিয়মের অধীনে দাস হয়ে গেল, তাদের এটা মেনে নেয়া ছাড়া উপায়ও ছিল না, কারণ কোম্পানি ছিল সমরশক্তিতে বলীয়ান এবং দেশীয় রাজাদের মধ্যে ছিল অনৈক্য। তাছাড়া, তারা নিজেরাই নবাবি শাসন সরিয়ে ইংরেজদের ক্ষমতায় এনেছিল।
৩.
জমিতে যে বিনিয়োগের কথা বলা হল, তা আসলে সম্পূর্ণরূপে প্রকৃতিনির্ভর, কেননা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ হয় না বলে এবং প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা থাকে বলে, জমি থেকে আয় সর্বদা সমান থাকবে না অথচ কোম্পানিকে রাজস্ব দিতে হবে একই হারে, প্রতিবছর। তাছাড়া- কাগজশিল্প, মহাজনি ইত্যাদিতে বিনিয়োগের চেয়ে জমিতে বিনিয়োগ ছিল কম লাভজনক।
৪
রাজস্ব নির্ধারণ পদ্ধতিতে গরমিল ছিল, কোন সঠিক জরিপ না হওয়ায় একেক সাথানে তার পরিমাণ ছিল একেক রকম। এমনকি, খুব দ্রুত চালু হওয়ায় বোর্ড অফ রেভিনিউ প্রেসিডেন্ট জন শোর এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে কর্নওয়ালিসের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন।
৫
ব্রিটেনের নিয়ম বাংলায় অনুসরণ করা হল, অথচ বাংলার সামাজিক প্রেক্ষাপট তার উপযোগী নয়। যেমন- ব্রিটেনের ভূস্বামীরা বাইরের থেকে শ্রমিক ধরে এনে তার জমিতে কাজ করাতে পারত, বাংলায় তার সুযোগ ছিল না, কারণ প্রজারা প্রথাভিত্তিক ও ঐতিহাসিক অধিকার থাকায় প্রত্যেক প্রজাই একজন নির্দিষ্ট জমিদার ও নির্দিষ্ট অঞ্চলে কাজ করত।
ব্রিটেনের ভূস্বামীরা জমি ইচ্ছেমত ইজারা দিতে পারত কিন্তু বাংলায় তার প্রচলন পাঁচসালা ব্যবস্থার মাধ্যমে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছিল। তাছাড়া, জমিকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জমিদারদের এ সংক্রান্ত কোন ব্যবসায়িক জ্ঞান বা কোন সাংগঠনিক দক্ষতাও ছিল না।
পূর্বে জমিদারদের অবস্থা ভাল ছিল, কারণ
১.
মোগল আমলেও জমিদাররা মোগল সম্রাটকে রাজস্ব দিত ঠিকই কিন্তু তাতে একটা ফ্লেক্সিবিলিটি ছিল। যেমন, সম্পদ বাড়লে বা ফসল উৎপাদন বাড়লে জমিদারদের বেশি রাজস্ব দিতে হত, আবার এগুলো কমে গেলে কম দিতে হত। পক্ষান্তরে নতুন ব্যবস্থায় এই সুযোগ ছিল না।
২.
জমিদারদের একটা রাজনৈতিক প্রভাব ছিল। মোগল শাসন বিরোধী সুবাদারগণ নবাবি মসনদে বসতে চাইলে জমিদারদের সমর্থন ছিল আবশ্যক। আবার, অনেক স্থানে জমিদাররা স্থানীয়ভাবে শাসন ও সামাজিক বিচারকার্য পরিচালনা করত এবং এলাকায় একচ্ছত্র প্রভাববলে প্রতিবেশী ক্ষুদ্র জমিদারদের জমি দখল করত। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বলে কিছু রইল না।
ফলাফল হল অভূতপূর্ব, কারণ
চিরন্তন সামাজিক কাঠামোতে পরিবর্তন
১.
নায়েব এবং গোমস্তা শ্রেনীর উদ্ভব। এরা জমিদার এবং রায়তের মধ্যবর্তী শ্রেণী। এর ফলে, কোম্পানি ও জমিদারদের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল, জমিদার এবং নায়েব গোমস্তাদের মধ্যে অনুরূপ সম্পর্ক তৈরি হল।
এটা তৈরির কারণ-
*জমি থেকে অধিক লাভ অর্জনের যথাযথ জ্ঞান, পর্যাপ্ত মূলধন এবং অভিজ্ঞতা- এসব অত্যাবশ্যক জিনিস জমিদারদের না থাকায় জমিকে ছোট ছোট তালুকে ভাগ করে তালুকদারদের প্রদান করল, এটাকে বলা হল পত্তনিস্বত্ত্ব।
*মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে ঐ সকল তালুকদারদের জমিপ্রদান, ফলে অধিক টাকা প্রাপ্তি, যা সূর্যাস্ত আইন থেকে ছিল রক্ষাকবচ।
* অনাবাদি জমি সরকারের সম্পত্তি কিন্তু তা আবাদ করলেই সেই জমি হবে জমিদারদের, সরকারের এ ঘোষণা থেকে বিপুল পরিমাণ জঙ্গলাকীর্ণ জমি আবাদ করা হল তালুকদারদের মাধ্যমে, এটাকে বলা হল পতিত আবাদ তত্ত্ব।
২.
পুঁজিবাদী শ্রেণীর বদলে বহু স্তর বিশিষ্ট সামন্ত শ্রেণীর উদ্ভব, যাদের স্বত্ত্ব বা প্রভাব ছিল নিম্নস্তরের শ্রেণীর ওপর।
কোম্পানি>জমিদার>নায়েব/তালুকদার>চৌধুরী/হাওলাদার>রায়ত/কৃষক।
৩.
নতুন নতুন ভূস্বামীদের উদ্ভব। সূর্যাস্ত আইনের ফলে অনেক বনেদি জমিদার তাদের জমিজমা পুঁজিধারী আরেক দল মানুষের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়, যার ফলে রাতারাতি একটি ধনী শ্রেণীর উদ্ভব হয়, যারা মূলত সামাজিক মর্যাদা বা জমিদার উপাধি লাভেই আগ্রহী ছিল।
আইনসমূহের বিবর্তন
১৮৫৯
রায়তের তিন ধরণের শ্রেণীবিভাগ করে সরকার। এতে মূলত জোতদারদের প্রায় জমির মালিক হিসেবে ক্ষমতা দেয়া হয়। কারণ তাদের খাজনা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়, জমি থেকে উৎখাত রোধ করা হয়, খাজনা বৃদ্ধি হবে না বয়লে আশ্বস্ত করা হয় এবং তাদের অধীনস্ত রায়তদের খাজনা নির্ধারণ ও বৃদ্ধি কারণ ছাড়াই বাড়ানো যাবে বলে আইনে ব্যাখ্যা করা হয়।
এর মাধ্যমে বিক্ষুব্ধ ও সংঘবদ্ধ জোতদারদের আন্দোলন প্রশমিত করা হয়।
এই নব্য প্রভাবশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণীদের সরকারি স্বীকৃতি দেয়া হয়।
১৮৮৫
পূর্ববর্তী আইনে শোষিত রায়তরা ক্রমশ প্রতিবাদী হয়ে উঠলে এই আইন করতে সরকার বাধ্য হয়। এতে প্রজাদের ওপর কারণ ছাড়াই রাজস্ব ধার্যকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে যা ধার্য হয়েছে তার অতিরিক্ত আরোপ করা যাবে না।
অধিক রাজস্ব আদায়ের চাপ থাকায় জমিদার ও নায়েব কর্তৃক প্রজাদের ওপর অত্যাচার বৃদ্ধি ও রাজস্ব আদায় কাঠামোতে বহুস্তর তৈরি হওয়ায় কৃষকেরা তেমন লাভবান হত না।
এর মাধ্যমে বিক্ষুব্ধ ও সংঘবদ্ধ প্রজাদের আন্দোলন প্রশমিত করা হয়।
১৯২৮
প্রজাদের অধিকার আরেক দফা বাড়ানো হয়। জমিদারদের অনুমতি ব্যতীত প্রজারা জমিতে যে কোন ধরণের অর্থনৈতিক কাজ করতে পারবে। তবে জমি হস্তান্তর করলে কমিশন দিতে হবে। যা আগের আইনে ছিল না। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কোন লক্ষণীয় উন্নতি হয়নি, কারণ জমিদারদের লক্ষ্য ছিল কেবল খাজনা আদায়, তাই জমিদারদের অধিকার ক্রমশ খর্ব করা হয়।
১৯৩৮
জমির ওপর জমিদারের প্রভাব প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায় এই সংশোধনের ফলে, কারণ এই আইনে প্রজারা তাদের চাষকৃত জমির ওপর যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে, তাই শুধু নয়, জমিগুলো জমিদারদের সালামি না দিয়ে বা না জানিয়েই সতান্তর করতে পারবে।
১৯৫০
জমির মালিকানা প্রজার ওপর স্থানান্তরের পর বর্তমান নিয়মটাই তখন অনুসারিত হতে দেখা যায়। অর্থাৎ যার টাকা বেশি তার কাছে অধিক জমি, কারণ টাকা দিয়ে জমি কেনার প্রবণতা দেখা যায় এবং ঐ জমি চাষ করানো হয় প্রান্তিক চাষীদের দিয়ে। যার ফলে, এসব ভূমিহীন কৃষক বর্গাদার হিসেবে পরিচিতি পায় এবং জমির মালিকেরা ধনী কৃষকে পরিণত হয়।
বিলুপ্তি হল এক সময়
দেশভাগের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ওয়াদার কারণে ঐ বছরই জমিদারি প্রথা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়।
এভাবে, এক সময়ের প্রতাপশালী জমিদারদের প্রভাব এবং বিভিন্ন মধ্যবর্তী শ্রেণীর উদ্ভব পরবর্তীতে প্রজাদের মধ্যে নব্য ধনী কৃষক ও বর্গাদার কৃষক হিসেবে আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়।
এবং দেশভাগ
দেশভাগে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের একটি পরম্পরাযুক্ত প্রভাব অবশ্যম্ভাবী ছিল বলেই মনে করা হয়।
কারণ এর বাংলার জমিদাররা ছিল মুখ্যত হিন্দু, কোম্পানি কর্তৃক জমির মালিকানা দেবার ফলে হিন্দু এবং শোষিত গরিব ভূমিহীন মুসলিম চাষী, তারা মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে যায়। যেমন, হিন্দু জমিদাররা যখন মুসলিমদের দাড়ির ওপর কর ধার্য করেন কিংবা নীল বিদ্রোহে ইংরেজদের সঙ্গী হন, এরকম অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা তখন সাম্প্রদায়িক তিক্ততা তৈরি করে।
স্বদেশী আন্দোলনে পূর্ব বাংলার নব্য প্রতিষ্ঠিত মুসলিম জোতদাররা মূলত গ্রামাঞ্চলে তাদের প্রভাব নিশ্চিত করার জন্যই তাদের প্রভু হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে বর্গাচাষী ও ভূমিহীন মুসলিম কৃষকদের সংগঠিত করে, যা ক্রমশ বাংলার বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করে।
এমনকি, ১৯৩৭ এর নির্বাচনে এরাই মূল নিয়ামক গোষ্ঠী হয়ে দাঁড়ায়, যার কারণে বাংলার ক্ষমতায় আসে কৃষক প্রজা পার্টি এবং ১৯৩৮ এ প্রজাস্বত্ত্ব আইন প্রবর্তন করে এই জোতদার গোষ্ঠীকেই সুবিধা দেয়া হয়। এর ফলে, হিন্দু জমিদার এবং হিন্দুত্ববাদী নেতারা বাংলায় তাদের অস্তিত্বকে বিপন্ন বলে বোধ করেন, যা আরো নানা প্রভাববিস্তারকারী অনুষঙ্গ নিয়ে ক্রমেই গড়ায় দেশভাগের এক অনিবার্য পরিণতির দিকে।
সহায়ক
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ও কৃষি অর্থনীতি। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস। এশিয়াটিক সোসাইটি।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এবং কৃষক আন্দোলন। বাংলাপিডিয়া।
বাঙলা ভাগ হল। জয়া চ্যাটার্জি। ইউপিএল।