মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে যে ভাষণটি আপনি দিতে চলেছেন, সেই ভাষণটি যদি দুদিন আগে দিতেন তাহলে মনে হয় এতগুলো মায়ের বুক এভাবে খালি হতো না, আর এতগুলো মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাতোও না। আন্দোলনকারীদের ডেকে নিয়ে তাদের দাবীর ব্যাপারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে তাদেরকে শিক্ষাঙ্গনে ফেরত পাঠাতে পারতেন। কিন্তু আপনি সেটা না করে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবটা যেভাবে দিলেন সেটা কি আপনার মত দেশের অভিভাবককে মানায়? যে রাজাকার শব্দটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তা দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোণঠাসা করা যেত সেই হাতিয়ারটি কি আর ভবিষ্যতে আগের মতই ধারাল আর তীক্ষ্ণভাবে তাদেরকে ঘায়েল করতে পারবে? মনে হয় না। আগে তো স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজাকার শব্দটাকে যমের মতো ভয় করত কিন্তু এখন কি আর আগের মতো ভয় করবে? এখন তো রাজাকার শব্দটার ওজন একেবারে হালকা হয়ে গেল। এখন কাউকে রাজাকার বললে সে যদি উল্টো বলে বসে যে হ্যাঁ, আমি রাজাকার! তাহলে সিচুয়েশনটা কেমন হবে?
আজকের ভাষণে আপনার নমনীয়তা আশা করি। আর ছাত্রদের বিরুদ্ধে দয়া করে অন্য ছাত্রদের লেলিয়ে দেওয়ার চিন্তাটা সবাইকে মাথা থেকে দূর করতে বলুন। এ কাজটি করার কারণে আপনার ভাবমূর্তি কতটুকু ক্ষুণ্ণ হয়েছে তা কি আপনি বুঝতে পারছেন?
দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক আপনার সন্তানের মতো। আপনার একটি সন্তান যদি কোনো অন্যায্য জিনিসও আবদার করে তাহলে তার আবদারকে কি আপনি আপনার অন্য সন্তান দ্বারা দমন করার চেষ্টা করবেন নাকি তার আবদারটি যুক্তিসঙ্গত হলে এবং তাতে আপনারও সম্মতি থাকলে তা বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে সময়মতো তা পূরণ করার অঙ্গীকার করবেন?
আমি একজন সাধারণ মানুষ, আপনাকে কোনো পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রাখি না। তারপরও আমার মনের কথাগুলো লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করার দুঃসাহস করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮