ক্রিকেট এর ভক্ত হিসেবে ছোটবেলায় বেশ নাম ডাক হয়ে যায় আমার। কানে রেডিও লাগিয়ে আইসিসি ট্রফির ম্যাচগুলার ধারাভাষ্য শুনতাম। এরপর খেলা শুরু করি নিজেই। মহল্লার টিম এর ক্যাপ্টেন, মাঝে মধ্যে এদিক সেদিক খেপ খেলতে ও গেছি। জেলা পর্যায়ের ম্যাচগুলাতে ধারাভাষ্য দেয়ার জন্য ডাক আসত। এক সময় দেশের বাইরে চলে আসি। কিন্তু ক্রিকেট এর প্রতি টান টা আগের মতই আছে।
আজকের খেলার কথায় আসি। আমি কুয়েতে থাকি। বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টায় খেলা শুরু। আমার এখানে ভোর ছয়টা। আমি ঘুমাতেই যাই তিনটার দিকে। যদি তিনটার দিকে ঘুমাই তাহলে হয়ত ছয়টায় উঠতে পারবনা। তাই ঘুম এর চিন্তা বাদ দিলাম। সারা রাত জেগে রইলাম। খেলা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু এখন কোন চ্যানেলে খেলা খুজে পাচ্ছি না। বিসিবি এমন এক আবাল চো* কোম্পানীর সাথে চুক্তি করছে, ইন্ডিয়ার খেলা থাকলে নিম্বাস বাংলাদেশ এর খেলা দেখায় না। পরে ল্যাপটপ নিয়া বসলাম। এখানেও খেলা দেখার উপায় নাই।
যেইসব ওয়েবসাইট গুলা খেলা দেখায় ওদের এডমিনরা বলতেছে কোথাও খেলা না দেখালে আমরা কিভাবে দেখাব। কি আর করা। ফিরে গেলাম পুরানো পথে। মানে ক্রিকইনফো। লাইভ স্কোর দেখা শুরু করলাম। এইদিকে নেটে ট্রাই মারতে থাকি। এক সময় পেয়েও যাই। কিন্তু হায় কপাল! বিটিভি থেকে খেলা অনলাইনে দিছে কয়েকটা সাইট। বিটিভির বিজ্ঞাপন আর খবর দেখে বিরক্ত। অনেক কষ্টে অন্য একটা ব্লগ সাইটে খেলা দেখা শুরু হলো।
বোলিং; মাশরাফি কে নিয়া এত লাফালাফি ব্লগে আর পত্রিকায়। ওরে কেন ক্যাপ্টেন বানানো হলো না। আরো কতো কি? ওর বোলিং দেখে মনে হইছে ও এখনো খেলার মতো ফিট না। একজন খেলোয়ার যদি মাঠে ১০০% না দিতে পারে তাহলে তাকে দলে নেয়ার মানে কি? আরেক পেসার শফিউলকে নিয়া ও কথা আছে। রুবেল এর নাকি কি সমস্যা হইছে তাই ওরে খেলানো হইছে। তাহলে নাজমুলকে কেন নেয়া হলো না? নিউজিল্যান্ড এর সাথে প্রথম ম্যাচে কি দুর্দান্ত বোলিং করেছিল, সবাই ভুলে গেছে। সবাই বলবে এইটা স্পিন সহায়ক পিচ। আমার প্রশ্ন তাহলে ওদের পেসাররা কিভাবে ভাল বল করছে? বাংলাদেশ এর স্পিন বোলিং নিয়া কথা বলার কিছু নাই। তাদেরকে স্যলুট!
ফিল্ডিং; ভাল হয় নাই আজকে। আশরাফুল ক্যাচ মিস করলো। কয়েকটা রান আউট মিস।
ব্যাটিং; অনেক দিন ধরেই আমরা এখানে ওয়ান ম্যান শো দেখছি। আগে তামিম আর এখন সাকিব। একজন একজন করে শুরু করি।
১, তামিমঃ ভালই শুরু করেছিলো, কিন্তু আমাদের বোকাচো* আম্প্যায়ার গুলা তাদের ভুল স্বিধান্ত গুলার জন্য বরাবর বাংলাদেশকেই বেছে নেয়। লেগস্টাম্প এর এক ফুট বাইরে পড়া বলে এলবিডব্লিও দিছে।
২,কায়েসঃ কিছু রান করছে। কিন্তু ছাগলামী করে আউট হইছে। পাওয়ার প্লে এর সময় মারে নাই। তখন জুনায়েদ এর লগে মিলা টেস্ট ক্রিকেট খেলছে। আর যখন দরকার নাই তখন লফটেড শট খেলসে।
৩,জুনায়েদঃ শুরুর দিকে যখন দলে আসছে তখন ভালই ছিল। তখন ছিলো ২০-২০ প্লেয়ার। আর এখন টেস্ট প্লেয়ার হয়ে গেছে। ভাই সিট খালি করেন। নাফীস দাঁড়ায় আছে লাইনে।
৪,আশরাফুলঃ ও একটা আবাল চো* আর ওরে যারা দলে নিছে তারা বোকা চো*।
৫,সাকিবঃ আমাদের দলকে জিতাইতে হইলে সাকিব এর সুপারম্যান হইতে লাগবে। নয়ত গত দুই বছর ধরে পুরা টিম এর খেলা একাই খেলতেসে।
৬,মুশফিকঃ তোমার দিন শেষ মনে হয় ভাতিজা। তোমাকে সহ-অধিনায়ক থেকে বাদ দিছে। কিন্তু তুমি কাগু শুধরালা না। জহিরুল কিন্তু রেডি!
৭,মাহমুদুল্লাহঃ ব্যাটিং অলরাউন্ডার! কিন্তু ব্যাট হাতে ফেইল। ক্রিজে এসেই বল খাওয়া শুরু করে। আশায় থাকি লাস্ট এ পোষায় দিব। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি! আজো একই কাহিনী।
মূল ব্যাটসম্যান এই সাত জন। ব্যাটিং নিয়া বাকীদের সমালোচনা করা আমি ঠিক মনে করি না। তাদের মূল কাজ বোলিং। তারা ওইটা ঠিক ভাবে করতে পারলেই চলবে।
*** এইটা সামুতে আমার প্রথম ব্লগ। কোন ভুল ত্রুটি থাকলে শুধরে দিবেন আশা করি। ধন্যবাদ সবাইকে।