

আমার কপালটা এতই খারাপ যে আমার জন্মদিনের টাইমিংটা খুবই বাজে। ছোটবেলা থেকেই আমার যত পরীক্ষা সব আমার জন্মদিনের সময়। আজ পর্যন্ত মনের মত করে একটা জন্মদিনও পালন করতে পারলাম না। পরীক্ষা না থাকলেও ক্লাস থাকবে শিউর।


যাইহোক গতকাল রাতে বিছানায় যেতে যেতে দেরী হয়ে গেলো। চোখটা লেগে আসতে দেরী মশার চুম্মা দিতে আর দেরী হলো না। এ্যাজ ইউজুয়্যাল সারারাত ঘুমাতে পারি নাই মশার পিরিতের চোটে। এরপর সকালের দিকে যাও চোখটা লেগে আসলো দেখি একটা ফোন আসলো। ফোন রিসিভ করতেই "শালার পো শালা আজকে নাকি তোমার বার্থডে?"


আমি বিরক্তি নিয়া কইলাম কে? জবাবে বলল তোমার দুলাভাই। বুঝতে আর বাকি রইলো না উনি সত্যি সত্যি আমার দুলাভাই। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে আমাকে উইশ করার জন্য ফোন করেছে। দুলাভাই এবং আপুর সাথে কথা বলতে বলতে ঘুম আকাশে উড়ে গেলো।


এরপর ফেইসবুকে ঢুকে প্রোফাইলে এবং ইনবক্সে সবাইকে থ্যাংক্স জানাতে জানাতে ২ ঘন্টা পার। জন্মদিনে এই বুঝি ছিল আমার কপালে। শেষে ক্লান্ত হয়ে ঘুম দিয়ে একটু আগে ঘুম থেকে উঠলাম সবাইকে বার্থডের ট্রিট দিবো বলে। বাই দ্যা ওয়ে আজকে ভার্সিটিতে যাই না। কারন ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। লাস্ট ইয়্যার ফ্রেন্ডরা পকেটের সব টাকা রেখে মাত্র ৫০ টাকা বাস ভাড়া এবং একটা সিগারেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমাকে বাসায় পাঠাইয়া দিছিল। তাই এইবার ঐ ভুল আর করিনাই।


ইতিমধ্যে ২/৩ টা গ্রুপের ফ্রেন্ডরা ফোন দিয়ে ব্যাপক হুমকি ধামকি দিয়ে দিল। ওদের ট্রিট না দিলে কত কি কইরা ফেলবো। ঐটা সামাল দেয়ার জন্য বের হব একটু পর। তাই চিন্তা করলাম আপনাদের ট্রিটটা দিয়া যাই আগেভাগে। পরে যদি আবার টাকা পয়সা শর্ট পরে বলা তো যায় না।


প্রথমেই জন্মদিনের কেক

এবার ভারী কিছু খেয়ে নিলে কেমন হয়?


আরে যান কই? কোল্ড ড্রিংস খাবে কে?

এবার দেখতেছি অনেকের মন আনচান করতাছে অন্য কিছুর লাইগা। মন যে কি চায় সেটা তো বুঝছি। এই লন টাকিলা শট দেন যত খুশি।

সবাই খাওয়া দাওয়া করতে থাকেন আমি গেলাম ফ্রেন্ডদেরকে ঠান্ডা করতে। ভালো থাকবেন। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ গতকাল রাতে আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। বিশেষ করে "ব্লগার সামুর পাগল" কে। আমি উনাকে চিনিনা তারপরও আমাকে নিয়ে কষ্ট করে পোষ্ট দিয়েছেন।
