কী বদলায়, কতোটুকু বদলায়?
তারপরেও বারাক ওবামার বিজয়কে বদলের সূচনা বলে ঢাকঢোল কম পেটানো হচ্ছে না। এই ঢাকের আওয়াজ সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে আমাদের কানেও যে আসছে। সেই অপার মহিমা যে আমরাও আস্বাদন করছি। কিন্তু আসলে কী বদলায়, কতোটুকু বদলায়- তা তো পরিষ্কার। সারা বিশ্বে নানা পদের অসংখ্য ঘটনা-দুর্ঘটনার পেছনে থাকা সিআইএ নামক সংস্থাটি কি ওবামার দায়িত্ব নেবার পর বদলে যাবে? নিজেদের কর্তৃত্ব জাহির করতে বিশ্বব্যাপী এই সংস্থাটি কি তাদের কূটচাল অব্যাহত রাখবে না? পররাষ্ট্র নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন চাল গ্রহণ করবে বলে শোনা যাচ্ছে, তা কি অবশিষ্ট বিশ্বে লহমায় শান্তির বাতাস বইয়ে দেবে? অন্য রাষ্ট্রের খনিজ সম্পদের ওপর লালসার জিভ কি ফিরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র? যদি এসব হয়, তাহলে কি ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা আর অবশিষ্ট থাকবে? তা যদি না থাকে তাহলে কি যুক্তরাষ্ট্র নামক রাষ্ট্রব্যবস্থাটি তা মেনে নেবে? এই রাষ্ট্রের পরতে পরতে যে নীতি নির্ধারক আমলা, আধা আমলা আর পুঁজির মালিক গোষ্ঠী রয়েছে তাদের পসার আর আয় উপার্জন তো তাহলে হুমকির মুখে পড়ে যাবে। ওবামা তো রাষ্ট্রপতি হিসেবে একটি পদের ধারক মাত্র। কিন্তু রাষ্ট্রের কলকব্জা যে আরো অনেক গভীরে। তাহলে সমগ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা না বদলালে ওবামার কাছ থেকে আমরা কী বদল আশা করতে পারি? আর সেই আশা কেন করবো?
না, সেই আশা করতে হবে। কারণ, গত প্রায় দু'বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র তার সাম্রজ্যবাদী প্রক্রিয়ার নতুন চেহারা আমাদের সামনে হাজির করার খেলা একটু একটু করে ছাড়তে শুরু করেছে। কাজেই তাদের ছক মতোই আমরা সেই বদলের আশা করবো। এই আশা আমাদের করানো হবে। তাই হচ্ছে। পুঁজিবাদ যেহেতু নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে, সেহেতু তার কর্মপ্রক্রিয়ায় মাঝে মধ্যেই হালকা ধরনের বদল প্রয়োজন হয়। পুরানো চুনকাম তুলে আধুনিক প্লাস্টিক পেইন্ট আর কী। সেই প্লাস্টিক পেইন্টের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করানোর জন্য সমাজের মধ্যেই নানা নামে সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোর সব রকম ব্যবস্থা পুঁজিবাদই করে রাখে। কাজেই কখনো কখনো একেকটি শব্দ সেই সৃজনশীলতার উপলক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। এখন যেমন সেই শব্দ 'বদল'। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ওপর পুরানো চুনকাম তুলে সেই প্লাস্টিক পেইন্ট লাগাতে দুনিয়াজুড়ে তার সেই 'বদল' সব সমাজের হৃদয়ে নিতে সমাজের প্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বদলের কথা বলতে থাকবে।
এভাবে আমরা 'বদল' হুজুগে ভেসে যাবো। কিন্তু খাওয়া-না খাওয়া, অধিকার পাওয়া- না পাওয়ার প্রশ্ন অমীমাংসিত রয়ে যাবে। ঝকঝকে ছবি আর তকতকে লেখায় সবকিছু বদলে যাবে। কিন্তু আসলে ভেতরে সব পুরনোই থেকে যাবে। চুনকাম থাকলে তবু আস্তরণ পাতলা হয়। প্লাস্টিক পেইন্ট যে অনেক পুরো! সেই আস্তরণ ভেদ করা তো আরো দুর্ভেদ্যই হয়ে উঠবে।


আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন বন্ধ করা নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত ভাবনা
সম্প্রতি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বহুল আলোচিত "ডিপার্টমেন্ট অফ এডুকেশন" বন্ধ করা নিয়ে অনেককেই উদ্বিগ্ন দেখতে পাচ্ছি। বিষয়টি আমাদের মতো সাধারণ আমেরিকান নাগরিকদের জন্য কিছুটা হলেও চিন্তার কারণ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ: গণতন্ত্র ও আইনের আলোকে বিশ্লেষণ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ: গণতন্ত্র ও আইনের আলোকে বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগ বিশেষ ভূমিকা পালনকারী দল। দলটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও গণতন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি....
আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি....
বিএনপি জানে তাদের মূল প্রতিপক্ষ কারা.....
ছাত্রসমন্বয়করা জানে রাজনীতিতে তাদের দৌড় কতদূর...
তারেক রহমানের যখন দেশে ফেরার সময় ঘনিয়ে আসছে তখনই হাসনাত গং নানান কাহিনী শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
২০৫০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা সংক্রান্ত পূর্বাভাস
পিউ রিসার্চের ২০১৫ সালের একটা জরীপের ফলাফল নিয়ে এই পোস্ট দিলাম। পিউ রিসার্চ একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সামাজিক জরীপ এবং গবেষণা সংস্থা। এই জরীপের বিষয় ছিল, ২০৫০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
শ্বেতশুভ্র সোর্ড লিলি
সোর্ড লিলি বা মেক্সিকান সোর্ড লিলির নামের সাথে লিলি থাকলেও এটি আসলে লিলি বা লিলি পরিবারের কোনো ফুল নয়। কিভাবে কিভাবে যেনো এর নামের সাথে লিলি জুড়ে গেছে। এতো... ...বাকিটুকু পড়ুন