গত সপ্তাহে প্রায় চার বছর পরে গ্রামের বাড়ী গিয়ে ছিলাম। অনেক বদলে গেছে আমাদের গ্রাম। শুধু কি আমাদের গ্রাম? পুরো উপজেলায় দেখলাম অনেক পরিবর্তন। ICT তে বাংলাদেশ যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তা, গ্রামে না গেলে দেখা সম্ভব না। সবচেয়ে বিস্মিত হয়েছি 'বিকাশ'-এর ব্যাপক ব্যবহার দেখে। ব্যাংকিং এখন গ্রামের সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয়। আগে যেখানে ব্যাংকিং লেন দেনের জন্য যেতে হত উপজেলা সদরে কিংবা গঞ্জে এখন সেই কার্যক্রমই হচ্ছে পাড়ার বিকাশের এজেন্টের মাধ্যমে। এমনকি TT-মানিঅর্ডারের সময়বহুল ব্যবস্থা বাদ দিয়ে ব্যবসায়িক লেন দেন হচ্ছে বিকাশের মাধ্যমে। আমার এক গ্রাম সম্পর্কের ভাই পিন্টুর বিকাশ ব্যবহারের গল্প শুনে ওর সম্পর্কের আমার ধারণাই পাল্টে গেছে। সে গত ১০ বছর ধরে পানের ব্যবসা করে। প্রায় তাকে ঢাকায় গিয়ে পানের চালান দিয়ে আসতে হয়। টাকা নিয়ে ফেরার পথে বেশ কয়েক বার সে নানা সমস্যায় পড়ে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন করবে তাও সব সময় সম্ভব হয় না। নিরাপদ আর্থিক লেনদেনে জন্য অনেক পন্থ অবলম্বন করে শেষে বিকাশ ব্যবহার শুরু করে। ফল পেয়েছ হাতে নাতে। গত ঈদুল আজহার আগে ঢাকা থেকে ফির ছিল, পথে কয়েক জন্য ছিন্তায়কারি ওর পথরোধ করলেও ওর ব্যবসার টাকাটা ছিন্তায় করতে পারে না। মোবাইল ফোনটা খোয়া গেলেও বিকাস একাউন্টে পুরো টাকাটা থেকে যায়।
পিন্টুর মতো অনেকেই বিকাশ বেছে নিয়েছে। শুধু কি গ্রামের পুরুষেরাই বিকাশ ব্যবহার করছে! বিকাশ ব্যবহার করছে পিছিয়ে নেয় গ্রামারের নারীরাও।
বিকাশ-এ বিকশিত আমাদের গ্রামবাংলা। অবশ্যই ধন্যবাদের প্রাপ্য বিকাশের সংশ্লিষ্টরা; এমন অসাধারণ ও যুগান্তকারী উদ্যোগের জন্য।