সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা।কিন্তু উপরের ছবিটার দিকে যখনই তাকাই তখনই একটা প্রশ্ন জাগে মনে।আসলেই কি যুদ্ধটা বাংলাদেশিরা করসিল??নাকি ইন্ডিয়ানরাই দেশটা স্বাধীন করে দিসিল।এই ছবিটা দেখলে তো তাই মনে হয়।আত্মসমর্পণ করতেসে পাকিস্তানিরা,বিজয়ী আমরা।তাহলে এখানে আমাদের প্রতিনিধী কোথায়??
দেখতেসি তো জগজিৎ সিং অরোরাকে।উনি তো বংলাদেশি না।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ.জি.ওসমানী কোথায়???অরোরার জায়গায় তো উনার থাকার কথা।আসল ব্যপার হল উনি এখানে ছিলেন না অনেকটা অভিমানের কারণেই।ইন্ডিয়ান আর্মি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একেবারে শেষদিকে এসে আমাদের সাহায্য করা শুরু করে।ততোদিনে পাকিস্তানিরা অনেকটাই কোঁণঠাসা।যদিও মুক্তিযুদ্ধের সারাটা সময়ই ইন্ডিয়া আমাদের সাহায্য করসে নানাভাবে।তবুও সম্মুখ সমরে যোগ দেয় যুদ্ধের একেবারে শেষে এসে।কিন্তু এই সহায়তাটুকুর বদলে ওরা আত্মসমর্পণের সময় নিজেদের প্রতিনিধীত্ব দাবি করে।এমনকি জেনারেল ওসমা্নীর বদলে মিত্রবাহিনীর পক্ষে অরোরাই চুক্তিপত্রে সই করবেন বলে ঠিক হয়।এই কারণে আত্মসম্মানবোধস
ম্পন্ন ওসমানী আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগই দেননি।এমনকি সারা দুনিয়ার কাছে বিষয়টা এমনভাবে দেখানো হয় যে ,যুদ্ধ হইসে ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানের মধ্যে।আর তার ফলেই স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম।তাই সারা দুনিয়াতে আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ইন্ডিয়া-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবেই বেশি পরিচিত।
কিন্তু বাঙ্গালীমাত্রই জানে যে ইন্ডিয়ার সাহায্য মুক্তিযুদ্ধে বড়জোড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করসিল।তার বেশি না।কিন্তু ওদের ভাবসাব দেখলে মনে হয় যে,ওরাই আমাদের দেশটা স্বাধীন করে দিসে।আসলে ইন্ডিয়ার এই বিমাতাসুলভ আচরণ অনেক আগে থেকেই দেখা যায়।বঙ্গভঙ্গের সময় থেকেই তা শুরু।পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশকে সুবিধা দেয়ার জন্যই বঙ্গভঙ্গ করা হয়েছিল।কিন্তু ইন্ডিয়ান দাদাদের চরম আপত্তিতে বঙ্গভঙ্গ বাতিল করা হয়।সেই শুরু,তারপর আরো নানাভাবে বাংলাদেশিদের বাঁশ দিসে।কিন্তু বাংলাদেশিরা ছোট ভাই এর মত সবই মেনে নিসে।ইন্ডিয়ার ওই দাদাগিরি এখন আরো বেড়ে গেছে।এখন উনাদের রাষ্ট্রদূত আমাদের মন্ত্রীকেউ ঝাড়ি মারেন।আমরা তবু নির্বিকার।শত হোক দাদা তো।সীমান্তে প্রতিদিন মানুষ মরতেসে।তবু আমরা চুপ।দাদাকে কি কিছু বলা যায়???তবে কথা হচ্ছে ছোটদের সবসময় বাঁশের উপর রাখলে বড় হয়ে তারা একদিন বড়দেরকেই বাঁশ দেয়।তাই দাদাবাজি ছেড়ে তাড়াতাড়ি ঠিক লাইনে আসাই ইন্ডিয়ার জন্য ভালো হবে।নাহলে কবে যে পাকিস্তানিদের মত ওরাও বাঁশ খেয়ে যায় তার ঠিক নাই।তখন আবার আমাদের দুষ্টু বলবেন না কিন্তু।দিলে চোট পাব।