"এক নীল ছোঁয়া কিংবদন্তী বিপ্লবী হেনা দাস"
শ্রমিক দিয়াছে আজি সাড়া
উঠিয়াছি মুক্তির আশায়........ মোরা মিলি একসাথ।"
কমিউনিস্ট পার্টির সন্মেলন আর হেনা দাসের গাওয়া এই গান, যেন একই তন্ত্রীতে ধ্বনিত বারংবার।২০০৯ সালের ২০ শে জুলাই তার জীবনাবসান ঘটে, সেদিন থেকে হঠাৎ করেই আমরা হয়ে গেলাম উদ্বাস্ত, আশ্রয়হীন।
অবিভক্ত বাংলার নারী আন্দোলনকে যারা অগ্রসর করে ন্রিয়ছেন, তাদের মধ্যে হেনা দাস অন্যতম। সিলেটে ১৯২৪ সালের ১২ ই ফেব্রুয়ারী তার জন্ম। ভারতীয় উপমহাদেশে ত্রিশের দশক ছিল বিক্ষোভ, বিদ্রোহ আর আন্দোলনের সূচনাকাল। নবম ও দশম শ্রেনীতে পড়ার সময়ই প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কাজ শুরু করেন।১৯৪০ সালে ম্যাট্রিক পাশ করার পর তিনি সুরমা ভ্যালি গার্লস স্টুডেন্টস কমিটি গঠনের কাজে যুক্ত হন।১৯৪২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। একই বছরের আগস্টে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি আইনসঙ্গত বলে ঘোষিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে সারাদেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়তে থাকে, দেখা দেয় ভয়ঙ্কর মন্বন্তর ( বাংলা ১৩৫০)। একদিকে ফ্যাসিস্ট শক্তির আক্রমন প্রতিরোধ করার প্রশ্ন, অন্যদিকে আত্মরক্ষার প্রশ্ন। ওই অবস্থায় সারা বাংলায় গড়ে উঠে নতুন মহিলা সংগঠন 'মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি'। সিলেটে এই সংগঠনের নেতৃত্ব দেন হেনা দাস। নারী আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি গননাট্যেরও নেতৃত্ব দেন। জনগন বিপুল ভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল সেই নতুন ধরনের সাংস্কৃতিক চেতনায়। সে সময় কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে এবং উদ্যোগে সারা ভারতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক নতুন প্রগতিশীল ধারার সৃস্টি হয়েছিল। এ ধারা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রবল জোয়ারকে নতুন রসে সঞ্জীবিত করেছিল। ১৯৪৬ সালে সিলেট জেলায় ছাত্র আন্দোলনকে আরো জোরদার করার কাজে যোগ দেন হেন দাস। ১৯৪৪ সালে তিনি বি,এ পাশ করেন। ১৯৪৮ সালে রোহিনী দাসের সঙ্গে হেনা দাসের বিয়ে হয়। রোহিনী দাস ছিলেন সিলেট জেলায় কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা। দুইজনের চিন্তায় আরো ঋদ্ধ হয়েছে তৎকালিন সমাজ। স্বাধীনতা আন্দোলনের পাশাপাশি হেনা দাস যুক্ত হয়েছিলেন নানাকার আন্দোলনের সঙ্গে। নানাকার নারীদের সচেতন করে তোলা ও আন্দোলন সংগঠিত করার দায়িত্বে ছিলেন হেনা দাস।
১৯৫০ সালে মুসলিম লীগ সরকারের উস্কানিতে পূর্ব পাকিস্তানে দাঙ্গা বাধানো হয়েছিল। তখন ঢাকাতেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছিলো। এ সময় তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ১০ বছর আত্মগোপন থাকার পর হেনা দাস শিক্ষকতায় ফিরে আসেন ১৯৫৮ সালে। শুরু হয় নতুন জীবন। এরপর ৬৯ এর গন- অভ্যুত্থান এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য।
তার জীবনাবসানের এক বছর পেরিয়ে গেছে গত কিছুদিন আগে, কিন্তু তার প্রতি, তার কাজের প্রতি আমরা কতোটুকু সন্মান প্রদর্শন করতে পেরেছি। তাকে নিয়ে কোনো স্মারক গ্রন্থ আমার জানা মতে এখনো প্রকাশিত হয়নি। অথচ তিনি আমাদের জন্য এক অনির্বাণ অনুপ্রেরনা। হেনা দাস আজো আমাদের স্মৃতিতে- কর্মে উজ্জ্বল হয়ে আছে, এক নীল ছোঁয়া কিংবদন্তীর মতো।
তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক
কৃজ্ঞতায়: গোলাম রসুল মারুফ
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন