কিছুদিন পুর্বে একটি ণিউজ বাংলাদেশ বিমানকে সিঙ্গাপুরের চাঞ্জি এয়ারপোর্ট পুরষ্কৃত করেছে। ভালই লাগছিল খবরটা শুনে। অগ্যতা গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি শ্বশুর সাহেবের ইন্তেকালের খবর শুনে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই হাতের কাছে থাকা এবং দিনের সবচেয়ে প্রথম ফ্লাইট বাংলাদেশ বিমানে'ই। আগেই জানতাম বিমানে ঢাকা-সিঙ্গাপুর রূটে নতুন বিমান সংযোজন করেছে। কিন্তু ভিতরে ঢুকে বুজতে সময় লাগল আমি কোন বাজেট এয়ারএ ঢুকে পরিনি তো। একটা সিটের সাথে আর একটার গাদাগাদি (টাইগার এয়ারকে হার মানাতে পারে)। এয়ার হোস্টজ, যাত্রীদের আসন গ্রহন করাতে শুভপরিবর্তন লক্ষ্যনীয়। বৃদ্ধ আর শিশুদের আগে বোর্ডিং এর ব্যবস্থা করালে আরোও ভাল হত। কিন্তু সময় মেনে উড্ড্ য়ন আগের মতই লাউ আর কদু ।
সে যা হোক প্রদীপের নিচে অন্ধকার দেখা গেল শাহাজালাল বিমানবন্দরে পৌছানোর পর পর ই। রানওয়ে কম্পাউণ্ডেই যাত্রীদেরকে নেমে যেতে বলা হল। এরপর অপেক্ষ্যা বাসের জন্য। সাথে বাচ্চা শিশু তাই প্রথম বাসে ভীর ঠেলে না উঠার জন্য মনস্থির করলাম। কিন্তু দ্বিতীয় বাস আসার কোন নামই নেই। এদিকে শত সহশ্র মশা আগমন জানাতে চলে এল।
অনেক অপেক্ষ্যার পর দ্বিতীয় বাসে ঠাই হল টার্মিনালে।
ফিরতি পথে সেই একই ঘঠনা, ৬ই মার্চ ২০১৬। একই ভাবে টার্মিনাল থেকে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হল বিমানে। এ যেন বাংলাদেশ বিমানের বাস সার্ভিস সিঙ্গাপুর- ঢাকা-সিঙ্গাপুর।
পাশেই বিমানবন্দরে কর্মরত একলোক বলে বসল, " ভাই দেশী বিমান, মাল দেয় না তাই কাছেও ভিরতে দেয় না। অন্য গুলরে কাছে ভিরতে দেয় কারন মান দেয়"। সত্য মিথ্যা কতটুকু তা কে ভাল বলতে পারবে বা বলবে কিনা সেটাও ভাবার বিষয়।
মালে মালে দেশ মালামাল আর আমরা প্রবাসীরা থাকি প্রদীপের নিচের অন্ধকারের ভিতর যেখানে মালের চেয়ে প্রদীপের আলোর বেশী দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫