এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস ৯৫.২৬ শতাংশ। এতে মোটেও অবাক হইনি। পাশের হার শতভাগ হলেও অবাক হতাম না। অবাক হওয়ার দিন আর নাই।
করোনা ইস্যুতে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরেও ছেলে-মেয়েরা অত্যান্ত ভালো রেজাল্ট করেছে। কে বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছেলেমেয়েরা নষ্ট হয়ে গেল? পরীক্ষার ফলাফল তো সেটা বলে না। বাবা মায়েরা ছেলে-মেয়েদের সারাক্ষণ স্মার্টফোন হাতে ইন্টারনেটে বুদ হয়ে থাকাটাই দেখে আর বলে বেড়ায়, হায় হায় রে, আমার ছেলেটা। আমার মেয়েটা এক্কেবারে গেল! স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় মোবাইল ফোনই মাথাটা খেল! পড়াশোনা তো লাটে উঠেছে। সারাক্ষণ ফোন আর ফোন! এই ফোন হয়েছে জান পরাণ!
আসলে, ফোন হাতে ইন্টারনেটে বুদ হয়ে থাকার আড়ালে পড়াশোনা করাটা কারো চোখে পড়ে না। পড়াশোনা না করলে কি আর রেজাল্টের এমন বিস্ফোরণ ঘটে!
করোনা এসে কিন্তু আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় বিন্দুমাত্রও ক্ষতি করতে পারে নাই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ছেলেমেয়েরা ঠিকই পড়াশোনা করেছে।
যে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন পাশ করেছো তাদেরকে জানাই অভিনন্দন। করোনার এই মহামারিতেও পড়াশোনা করেছো। পাশ করেছো। এটা তোমাদের এক মহান অর্জন। মহান কীর্তি। করোনা তোমাদেরকে দাবায়ে রাখতে পারে নাই। তোমরা করোনার চাইতেও শক্তিশালী।
যে ৬৪ হাজার ৯ শত ৬৩ জন পাশ করতে পারনি। তাদের প্রতিও শুভেচ্ছা থাকবে। কারণ, করোনার এই দুঃসময়ে মানুষ যখন জীবন ও জীবিকা নিয়ে সংশয়ে দিন পার করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। পড়াশোনা নাই। সেখানে পাশ করবে কেমন!
তবে যে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন এ প্লাস পেয়েছো তাদের মধ্যে এখনও যারা "আমি জিপিএ ফাইভ পেয়েছি।" এই কথাটি ইংরেজিতে বলতে পারো না। তারা দ্রুত গুগল থেকে শিখে নিও। কারণ, কখন কে জিজ্ঞেস করে বলা তো যায় না!
-সোহাগ তানভীর
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৩