যখন তারা আন্দলন শুরু করে তখন অনেকেই পাশে ছিল। ছিল কিছু কাঁচা পাকা দাড়ি গোফওয়ালা ব্যাক্তি। যাদেরকে বলা হয় সুশিল সমাজ। বলা হয়েছিল আপনারা এখানে কেন? তরুণদের এখানে আপনারা কি করেন? তারা বলল আমরা এ তরুণদের অভিভাবক। কিন্তু আজ যখন ছেলেরা কঠিন সময় পার করছে তখন আর এই অভিভাবকদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজীব হত্যার পর প্রত্যেককে একটা করে গানম্যান দেওয়া হয়েছিল, দেওয়া হয়েছিল পুলিশী প্রটেকশন। আর আজ সেই পুলিশের গানের বাটের আঘাতে ছেলেদের পিছন লাল হচ্ছে।
মিডিয়া দিনের পর দিন তাদের কভারেজ দিয়েছিল। রাস্তা বন্ধ করে নাচানাচি করেছিল। একই কম্বলের নিচে তরুণ তরুণীরা ঘুমিয়েছিল। ছিল সুপেয় পানি, বিরানি আর শৌচাগারের ব্যবস্থা।
আজ আর কিছুই নেই। আছে পুলিশের প্যাদানী আর বৈরি আচরণ।
মিডিয়া গোটা বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল বিকল্প সরকার হিসেবে। আজ সে মিডিয়া তাদের নিউজ করতে কার্পণ্য করে।
যে রোকেয়া প্রাচী আবির্ভূত হয়েছিল তাদের একজন খুব কাছের হিতাকাংখি হিসেবে সেই প্রাচীর মূখে আজ অন্য সুর।
যাদেরকে সবাই জানত সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে আজ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে টাকা আত্মসাতের।
আজ এ তরুণরা কোথায় গিয়ে দাড়াবে? আজ কেন সবাই তাদের পাশ থেকে সরে গেল? কিসের স্বার্থে? কি হবে এসব তরুণের? যেখানে স্বয়ং ইমরান এইচ সরকারের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ। যে অভিযোগ করেছে খোদ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরাই।