
পর্ব : ৩ -- বাগেরহাট
পর্ব : ৪ -- বগুড়া
------------------------
বগুড়া যাবার কোনো প্লান ছিলোনা এই মাসে। ঝামেলা লাগাইলো শামসীর ভাই



যাবার ইচ্ছা আছিলো সোহাগ বিজনেস ক্লাসে, কলাবাগানে গিয়া কলিগ শুনে বগুড়ায় হেগো গাড়ি নাই



একে তো লারেলাপ্পা প্রাচীন আমলের ভলভো আর তার উপরে কয়দিন আগে শুনছিলাম এদের একখান ভলভো নাকি যমুনা ব্রীজের উপ্রে আগুন লাইগা পুইড়া গেছিলো -- সব মিলায় হালকা আতংকের উপ্রে আছিলাম





কি আর করি, খাওনের চিন্তায় তাও তো রোজা একটু শক্ত হইলো


আমরা গেছিলাম তিন জন, এগো নাকি সব ডাবল রুম, ট্রিপল কিংবা সিঙ্গেল রুম নাই



অফিসের কাম কাজ কইরা বিকালে গেলাম মহাস্থানগড়ে... প্রাচীন পূন্ড্রনগরীর আড়াই হাজার বছর আগেকার শহর। সারাদিন জার্নি, কাজ কাম, রোজা - সব মিলিয়ে সবাই কাহিল। তাই বেশী ঘুরাঘুরি হয় নাই







গোবিন্দ ভিটাতেও যেতে পারি নাই, গেট বন্ধ ছিলো






এইখানে দেখা তিনটা পিচ্চি গাইডের লগে। বিশটাকা দিয়া ইতিহাসের বই আর মাত্র পাঁচ টাকা দিলেই এরা বই এর বেহুলা লখিন্দরের গল্প বলে দিতে পারে


ফেরার পথে বিখ্যাত লালমিয়ার কটকটি কিনে শহরে ফিরলাম.... চালের গুড়ার কটকটি, মন্দ না খেতে


আকবরিয়ায় ইফতারি করে আবার কাজে ফেরত গেলাম.... সারা সন্ধ্যা কাজ করে অনেক রাতে ফিরে হোটেলেই সেহেরী। পরদিন সকালে গেলাম দই কিনতে, পাবনায় যাবো কলিগের বাসায় তার জন্য। এশিয়ার দই সবচেয়ে ভালো (তবে শেরপুর হলো অলটাইম গ্রেট, বগুড়ায় শেরপুরের টেষ্টটা আসে না), তবে আদি মহররম আলিও খারাপ না




সব শেষে সাত রাস্তা ছেড়ে আবার রাজপথে... এবারের গন্তব্য নাটোরের রাজবাড়ি... তবে সেই গল্প আরেকদিন

পর্ব : ৫ -- নাটোরের রাজবাড়ী হয়ে পাবনার পথে
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫